ম্যারি অ্যান্ড ম্যাক্স | |
---|---|
Mary and Max | |
পরিচালক | অ্যাডাম ইলিয়ট |
প্রযোজক | মেলানি কুম্বস |
রচয়িতা | অ্যাডাম ইলিয়ট |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
বর্ণনাকারী | ব্যারি হামফ্রিস |
সুরকার | ডেল কর্নেলিয়াস |
চিত্রগ্রাহক | জেরাল্ড থমসন |
সম্পাদক | বিল মার্ফি |
প্রযোজনা কোম্পানি | মেলোড্রামা পিকচার্স |
পরিবেশক | আইকন এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৯০ মিনিট |
দেশ | অস্ট্রেলিয়া |
ভাষা |
|
নির্মাণব্যয় | $৮.২ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার[১] |
আয় | মার্কিন$১.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার[২] |
ম্যারি অ্যান্ড ম্যাক্স অ্যাডাম ইলিয়ট রচিত ও পরিচালিত ২০০৯ সালের অস্ট্রেলীয় স্টপ মোশন প্রাপ্তবয়স্ক অ্যানিমেটেড হাস্যরসাত্মক নাট্য চলচ্চিত্র। এটি ইলিয়টের প্রথম অ্যানিমেটেড পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন মেলানি কুম্বস ও মেলোড্রামা পিকচার্স এবং এর সুরারোপ করেন ডেল কর্নেলিয়াস। এতে বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠ প্রদান করেন ফিলিপ সিমোর হফম্যান, টনি কোলেট, এরিক ব্যানা, ও বেটানি হুইটমোর এবং এটি বর্ণনা করেন ব্যারি হামফ্রিস। চলচ্চিত্রে নিঃসঙ্গ অস্ট্রেলীয় মেয়ে মেরি এবং তার মার্কিন পত্রবন্ধু ম্যাক্সের সাথে সম্পর্কের কাহিনি দেখানো হয়েছে, যিনি অ্যাসপারগারের লক্ষণে রোগে আক্রান্ত অতিশয় স্থূল মানুষ। চলচ্চিত্রটি নিউ ইয়র্কে পরিচালক ইলিয়টের সাথে তার পত্রবন্ধুর সম্পর্ক থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে। এলিয়ট এটি রচনায় কুড়ি বছরেরও বেশি সময় নিয়েছিলেন।
২০০৯ সালের ১৫ই জানুয়ারি ২০০৯ সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী রাতে এই চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়।[৩] এটি ২০০৯ সালের জুনে অ্যানেসি আন্তর্জাতিক অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র উৎসব থেকে অ্যানেসি ক্রিস্টাল এবং ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অ্যানিমেটেড পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে। চলচ্চিত্রটি আইকন এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারন্যাশনালের পরিবেশনায় ২০০৯ সালের ৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয়। ম্যারি অ্যান্ড ম্যাক্স চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের নিকট থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা অর্জন করে এবং এর ৮.২ মিলিয়ন অস্ট্রেলীয় ডলার নির্মাণব্যয়ের বিপরীতে মার্কিন$১.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।
১৯৭৬ সালে আট বছর বয়সী ম্যারি ডেইজি ডিঙ্কল (বেটানি হুইটমোর) অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার মাউন্ট ওয়েভারলিতে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিল। তার কপালের জন্মদাগের কারণে বিদ্যালয়ে তার সহপাঠিরা তাকে জ্বালাতন করত, এবং বাড়িতে তার পিতা নোয়েল এবং মদ্যপ ও চৌর্যন্মাদ মাতা ভেরা তাকে খুবই অল্প সময় দিত। তার একমাত্র স্বস্তিদায়ক সঙ্গী ছিল তার পোষা মোরগ ইথেল; তার প্রিয় খাদ্য মিষ্টি ননীযুক্ত দুধ; এবং দ্য নবলেটস নামে একটি স্মার্ফ-ধরনের কার্টুন অনুষ্ঠান। একদিন তার মায়ের সাথে ডাক অফিসে ম্যারি নিউ ইয়র্ক শহরের টেলিফোন বই দেখতে পান, এবং মার্কিনীদের সম্পর্কে কৌতুহলদীপ্ত হয়ে তিনি কোন একজনের কাছে চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ফোন বই থেকে উদ্দেশ্যবিহীনভাবে ম্যাক্স জেরি হরোউইট্জের নাম নির্বাচন করেন এবং তাকে তার নিজের সম্পর্কে চিঠি লিখেন ও তাকে তার কলম বন্ধু বানানোর আশায় তার ঠিকানায় সেটা পাঠিয়ে দেন।
ম্যাক্স জেরি হরোউইট্জ (ফিলিপ সিমোর হফম্যান) ৪৪ বছর বয়সী অতিশয় স্থূলকায় ইহুদি নাস্তিক, যিনি বিভিন্ন মানসিক ও সামাজিক সমস্যার কারণে অন্য কারও সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারছিলেন না। ম্যারির চিঠি তাকে শুরুতে উদ্বিগ্ন করে, তিনি তার চিঠির উত্তর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং তারা দ্রুতই একে অপরের বন্ধু হয়ে যান (আংশিকভাবে তাদের মধ্যকার চকলেট ও দ্য নবলেটস প্রীতির কারণে)। ভেরা অপছন্দের কারণে ম্যারি ম্যাক্সকে তার মুক্তস্থানাতঙ্কিত প্রতিবেশী লিন হিসলপের ঠিকানায় চিঠি পাঠাতে বলেন, যার চিঠিগুলো সে নিয়মিত সংগ্রহ করে। ম্যারি পরবর্তীকালে যখন ম্যাক্সের কাছে প্রেমের ব্যাপারে জানতে চায়, তিনি গুরুতর উদ্বিগ্ন হন এবং আটমাস হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি কিছু সময়ের জন্য ম্যারির নিকট চিঠি লিখতে দ্বিধাগ্রস্থ ছিলেন। তার ৪৮তম জন্মদিনে তিনি নিউ ইয়র্ক লটারি জিতেন এবং এই অর্থ দিয়ে তিনি আজীবনের জন্য চকলেট ও নবলেট ফিগারিনের সমগ্র সংকলন ক্রয় করে রাখেন। তার বাকি অর্থ তিনি তার বয়োবৃদ্ধ প্রতিবেশী আইভিকে প্রদান করেন। আইভি এই অর্থের অধিকাংশই নিজের বিলাসের জন্য ব্যবহার করেন এবং একটি নষ্ট জেট প্যাকের দুর্ঘটনায় মারা যান। ইতোমধ্যে, ম্যাক্স তাকে ছেড়ে গেছে এই ভেবে ম্যারি হতাশ হয়ে পড়ে।
চিকিৎসকের উপদেশে ম্যাক্স অবশেষে ম্যারির নিকট চিঠি লিখেন এবং জানান তিনি অ্যাসপারগারের লক্ষণে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ম্যারি তার নিকট থেকে চিঠি পেয়ে উল্লসিত হয় এবং পরবর্তী কয়েক বছর তারা দুজন একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। নোয়েল চায়ের ব্যাগ বানানোর ফ্যাক্টরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ধাতব পদার্থ সনাক্তকরণের ফ্যাক্টরিতে কাজ নেন, কিন্তু তিনি সৈকতে বিশাল জোয়ারকালীন জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যান। ম্যারি (টনি কোলেট) এখন মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন এবং শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে তার জন্মদাগ সারিয়ে ফেলেছেন। সে তার গ্রিক অস্ট্রেলীয় প্রতিবেশী ড্যামিয়েল পপোডোপোলসকে (এরিক ব্যানা) পছন্দ করে। স্বামীর মৃত্যুতে মদ্যপ ও পাপাসিক্ত ভেরা দুর্ঘটনাক্রমে কুকিং শেরির পরিবর্তে মমি করার ফ্লুইড খেয়ে মারা যান। ভেরার মৃত্যুর পর ম্যারি ও ড্যামিয়েন আরও ঘনিষ্ঠ হন এবং পরবর্তীকালে তারা একে অপরকে বিয়ে করেন।
ম্যাক্সের সাথে তার বন্ধুত্বের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ম্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং অ্যাসপারগারের লক্ষণ নিয়ে তার ডক্টরাল সন্দর্ভ লিখেন, যার পরীক্ষণমূলক বিষয় ছিল ম্যাক্স। সে তার সন্দর্ভটি বই আকারে প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেন, কিন্তু ম্যাক্স যখন তার নিকট থেকে বইয়ের একটি কপি পান তিনি তার অবস্থার সুযোগ নেওয়ার জন্য তার উপর ক্রোধোন্মত্ত হন। তিনি মনে করেন এটি তার ব্যক্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি কোন প্রকাশের অক্ষমতা নয় যার শুশ্রূষা প্রয়োজন। ম্যাক্স তার টাইপরাইটারের "এম" অক্ষরটি তুলে ফেলে দেওয়ার মাধ্যমে ম্যারির সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। ম্যারি তার বইয়ের সমগ্র কপি মণ্ড বানিয়ে ফেলেন, যার ফলে তার বিকাশোন্মুখ কর্মজীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। সে হতাশায় নিমজ্জিত হয় এবং তার মায়ের মত কুকিং শেরি খাওয়া শুরু করে। ক্যাবিনেট খুঁজে একটি ননীযুক্ত দুধের কৌটা পেয়ে সেটা ম্যাক্সের কাছে পাঠিয়ে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখে। সে প্রতিদিন উত্তরের আশায় ডাক বাক্স নিরীক্ষণ করে এবং একদিন সে ড্যামিয়েনের কাছ থেকে একটি চিঠি পায় যেখানে সে লিখেছে সে তার কলম বন্ধু নিউজিল্যান্ডের ভেড়াপালক ডেসমন্ডের জন্য তাকে ত্যাগ করে চলে গেছে।
ইতোমধ্যে, ম্যাক্স সিগারেট ছুড়ে ফেলার জন্য রাগে এক গৃহহীন ব্যক্তিকে (ইয়ান "মলি" মেলড্রাম) প্রায় শ্বাসরোধ করে ফেলার ঘটনার পর বুঝতে পারে ম্যারিও তার মত একজন অপূর্ণ ব্যক্তি এবং তিনি তাকে ক্ষমার চিহ্ন হিসেবে তার নবলেট ফিগারিনের সংগ্রহ পাঠান। ম্যারি ড্যামিয়েনের চলে যাওয়ার পর হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়ে এবং কয়েকদিন ধরে তার দরজার সামনে পড়ে থাকা প্যাকেজটি দেখতে পায়নি। তাদের মায়ের রেখে যাওয়া কিছু ভ্যালিয়াম পাওয়ার পর তার গর্ভে ড্যামিয়েনের ঔরসজাত সন্তান রয়েছে সেই বিষয়ে অজ্ঞাত ম্যারি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ভ্যালিয়াম গ্রহণ করে এবং দড়িতে ঝুলার পূর্ব মুহূর্তে লেন বাইরে যাওয়ার ভীতি জয় করে ম্যাক্সের প্যাকেজ সম্পর্কে ম্যারিকে জানাতে তার দরজায় কড়া নাড়ে। ম্যারি প্যাকেজের ভিতরে ম্যাক্সের কাছ থেকে আসা নবলেট ফিগারিন ও একটি চিঠি পায়, যাতে লেখা আছে যে তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে তারা কেউ নিখুঁত নন এবং তিনি তার ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি আরও জানান তাদের বন্ধুত্ব তার কাছে কতটা মূল্যবান এবং তিনি আশা করেন একদিন তাদের দেখা হবে।
এক বছর পর ম্যারি তার বাচ্চাকে নিয়ে ম্যাক্সের সাথে দেখা করতে নিউ ইয়র্ক যান। তার অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশ করে ম্যারি দেখতে পায় ম্যাক্স তার কাউচে হাসিমাখা মুখে শুয়ে আছে, তিনি সেদিন সকালে মারা গেছেন। অ্যাপার্টমেন্টের চারপাশে তাকিয়ে ম্যারি বিগত বছরগুলোতে তার পাঠানো সকল চিঠি প্লাস্টিকের কাগজ দিয়ে ল্যামিনেট করা ও ছাদে টেপ দিয়ে আটকানো দেখতে পেয়ে ভয়াপ্লুত হয়। সে বুঝতে পারে ম্যাক্স মৃত্যুর সময় তার চিঠিগুলোর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন এবং তাদের বন্ধুত্বকে তিনি কতটা গুরুত্ব দিতেন তা বুঝতে পেরে ম্যারি চোখে আনন্দে অশ্রু চলে আসে ও কাউচে তার পাশে গিয়ে বসে।
পর্দায় শুরুতে দেখানো হয় চলচ্চিত্রটি একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। ২০০৯ সালের এপ্রিলে এক সাক্ষাৎকারে লেখক-পরিচালক ইলিয়ট জানান ম্যাক্স চরিত্রটি তার নিউ ইয়র্কের এক কলম বন্ধু হতে অনুপ্রাণিত যার নিকট তিনি ২০ বছরের অধিক সময় ধরে চিঠি লিখেছেন।[৫] ১৩৩টি ভিন্ন অবস্থান, ২১২টি পুতুল এবং একটি পূর্ণ কর্মক্ষম আন্ডারউড টাইপরাইটার-সহ ৪৭৫টি অনুচিত্র সংবলিত সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে এর মূল চিত্রগ্রহণে সময় লাগে ৫৭ সপ্তাহ।[৬]
চলচ্চিত্রটি একাধিক বিষয়বস্তু নিয়ে আলোকপাত করে, যেমন শৈশবে অবহেলা, বন্ধুত্ব, আসক্তি, মদ্যপান, আরোগ্যলাভ, জীবনের অস্পষ্টতা, জ্বালাতন, নিঃসঙ্গতা, মানসিক অসুস্থতা, আত্মসংবৃতি (বিশেষ করে অ্যাসপারগারের লক্ষণ), অতিশয় স্থূলতা, আত্মহত্যা, বিষাদগ্রস্থতা, একাকিত্ব ও উদ্বেগ।[৭]
সমষ্টিগত স্কোর | |
---|---|
উৎস | মূল্যায়ন |
রটেন টম্যাটোস | ৯৫%[৮] |
পর্যালোচনা স্কোর | |
উৎস | মূল্যায়ন |
অলমুভি | [৯] |
আইএমডিবি | [১০] |
আলোসিনে | [১১] |
এম্পায়ার | [১২] |
দ্য গার্ডিয়ান | [১৩] |
ম্যারি অ্যান্ড ম্যাক্স খুবই ইতিবাচক পর্যালোচনা অর্জন করে।[১৪][১৫][১৬] রটেন টম্যাটোস চলচ্চিত্রটিকে ৬৪টি পর্যালোচনার ভিত্তিতে ৮.১১/১০ গড় রেটিঙে ৯৫% স্কোর প্রদান করে। ওয়েবসাইটটির পরিসংখ্যানে লেখা হয়েছে, "ম্যারি অ্যান্ড ম্যাক্স সুন্দর দক্ষতা-সম্পন্ন শিল্প, অ্যানিমেশনের চমকপ্রদ সৃজনশীল কাজ যার শিল্পকৌশল এর অনুভূতিপূর্ণ প্রতিক্রিয়ার সমতুল্য।"[৮] ইন ফিল্ম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাট রেভিয়ার লিখেন, "গল্পটি কাগজের মত হালকা এবং এতে টেনে বাড়ানোর কিছুটা প্রবণতা রয়েছে যা খুবই দীর্ঘ, তবে যখন এর বর্ণনার ভঙ্গি কান্নার উদ্রেক করে, নিছক অকৃত্রিমতা ও চরিত্রাবলির প্রবল সততা একে নিষ্কৃতি দেয়।" লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস একে "অসামান্য ও মর্মভেদী" চলচ্চিত্র বলে অভিহিত করে যা "ম্যাক্সের ক্ষেত্রে কালো, সাদা ও ধূসর বর্ণের ফিল্ম নোয়ার এবং ম্যারির ক্ষেত্রে সেপিয়া সাবআর্বিয়া" উপস্থাপন করে।[১৭] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলচ্চিত্রটির ডিভিডি প্রকাশের পর স্ল্যান্ট ম্যাগাজিন লিখে, "ম্যারি অ্যান্ড ম্যাক্স চলচ্চিত্র জুড়ে অ্যাডাম ইলিয়টের শুষ্ক বোধশক্তি পরিব্যাপক এবং এই অদ্বিতীয় রসবোধ অতিরিক্ত শিল্পীদের মধ্যে ছিল তা দেখতে দারুণ। লেখক-পরিচালক মজাদার ও তথ্যবহুল অডিও ভাষ্য এবং কয়েকটি হাস্যকরভাবে তৈরি পর্ব দিয়েছেন যা নির্মাণের বিদ্রূপাত্মক স্বর উপস্থাপন করে। বড় একটি পুরস্কার হল ইলিয়টের অস্কার বিজয়ী স্বল্পদৈর্ঘ্য হার্ভি ক্রুমপেট। জেফ্রি রাশ বর্ণিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্যটি টুরেট লক্ষণের ভুক্তভোগীর গল্প যা ইলিয়টের অনুভবশক্তির এবং ম্যারি ও ম্যাক্স-এর বিশেষ স্বরের চমৎকার উপস্থাপন।"[১৮]
ম্যারি অ্যান্ড ম্যাক্স অস্ট্রেলীয় বক্স অফিসে $১,৪৪৪,৬১৭ অস্ট্রেলীয় ডলার আয় করে।[১৯] চলচ্চিত্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সাধরন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি, তবে এটি কয়কটি মার্কিন চলচ্চিত্র উৎসবে এবং লস অ্যাঞ্জেলেস এলাকার লিয়ামল প্রেক্ষাগৃহে স্বল্প সময়ের জন্য প্রদর্শিত হয়েছিল।[১৭] চলচ্চিত্রটির মার্কিন পরিবেশক আইএফসি ফিল্মস ডিভিডি ও ভিডিও অন ডিমান্ডে চলচ্চিত্রটি প্রকাশ করে।[১৮] চলচ্চিত্রটি ফ্রান্সে গোমঁ[২০] কর্তৃক ও জার্মানিতে এমএফএ[২১] কর্তৃক মুক্তি দেওয়া হয়, এবং সেখানে সমালোচনামূলক ও বক্স অফিসে সফলতা অর্জন করে।
আয়োজক/সংগঠন | অনুষ্ঠানের তারিখ | বিভাগ | প্রাপক/মনোনীত | ফলাফল | তথ্যসূত্র |
---|---|---|---|---|---|
এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন পুরস্কার | ২০০৯ | শ্রেষ্ঠ অ্যানিমেটেড পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র | মেলানি কুম্বস | বিজয়ী | [২২] |
অস্ট্রেলিয়ান ডিরেক্টর্স গিল্ড | ২০০৯ | শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা | অ্যাডাম ইলিয়ট | বিজয়ী | |
বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | ফেব্রুয়ারি ২০০৯ | গ্লাস বিয়ার | সম্মানসূচক উল্লেখ | [২৩] | |
অটোয়া আন্তর্জাতিক অ্যানিমেশন উৎসব | অক্টোবর ২০০৯ | গ্র্যান্ড প্রাইজ[২৪] | বিজয়ী | [২৫] | |
এএসিটিএ পুরস্কার | ৫ ডিসেম্বর ২০০৯ | এএফআই সদস্যদের পছন্দ পুরস্কার | মেলানি কুম্বস | মনোনীত | [২৬] |
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মনোনীত | ||||
শ্রেষ্ঠ মৌলিক চিত্রনাট্য | অ্যাডাম ইলিয়ট | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ নির্মাণ পরিকল্পনা | মনোনীত | ||||
বিএএফআইসি পুরস্কার | এপ্রিল ২০১০ | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | মনোনীত | [২৭] | |
আন্তর্জাতিক সিনেফাইল সোসাইটি পুরস্কার | ২০ জানুয়ারি ২০১০ | শ্রেষ্ঠ অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র | মনোনীত | [২৮] | |
অস্ট্রেলিয়া চলচ্চিত্র সমালোচক সার্কেল | ২০১০ | শ্রেষ্ঠ পরিচালক | মনোনীত |
২০১০ সালের ২৬শে জুলাই আইকন এন্টারটেইনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল ম্যারি অ্যান্ড ম্যাক্স চলচ্চিত্রটির ডিভিডি প্রকাশ করে।[১৮]
চলচ্চিত্রটির শিল্পকৌশল ও বিভিন্ন ক্ষুদ্রভিডিও সংবলিত একটি প্রদর্শনী ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ায় উপস্থাপন করা হয়। ফ্রান্সে চলচ্চিত্রটি মুক্তির অংশ হিসেবে গোমঁ এই প্রদর্শনী পরিচালনা করে।[২০] অস্ট্রেলিয়ায় শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর দ্য মুভিং ইমেজ ২০১০ সালের মার্চ থেকে শুরু করে তিন মাস প্রদর্শন করে[২৯] এবং পরে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে ২০১০/২০১১ সালে প্রদর্শনী সফর করে।[৩০]