ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | যজুর্বিন্দ্র সিং | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১ আগস্ট, ১৯৫২ রাজকূট, গুজরাত, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | সানি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৪০) | ২৮ জানুয়ারি ১৯৭৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১১ সেপ্টেম্বর ১৯১৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ জুলাই ২০২০ |
যজুর্বিন্দ্র সিং (হিন্দি: यजुरविंद्र सिंह; জন্ম: ১ আগস্ট, ১৯৫২) গুজরাতের রাজকূট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকের শেষদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১]
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মহারাষ্ট্র ও সৌরাষ্ট্র দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘সানি’ ডাকনামে পরিচিত যজুর্বিন্দ্র সিং।
সৌরাষ্ট্রের জুনাগড় জেলার বিল্খার রাজকুমার পরিবারের সন্তান তিনি।[২] শৈশবে সানি ডাকনামে পরিচিত ছিলেন। রাজকূটের অভিজাত রাজকুমার কলেজে অধ্যয়ন করেছেন তিনি।[৩] বিদ্যালয় দলে তিনি অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। একই সময়ে রাজকূটেরই সন্তান ও পরবর্তীকালে ভারতের ক্রিকেটার কর্ষণ ঘাবরী বিরাণী হাই স্কুল দলের অধিনায়কত্ব করেছেন। তারা দু’জন প্রায়শঃই একে-অপরের বিপক্ষে স্থানীয় বিদ্যালয় দলে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেন।
১৯৭১-৭২ মৌসুম থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত যজুর্বিন্দ্র সিংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি ব্যাটসম্যান যজুর্বিন্দ্র সিং দূর্দমনীয়ভাবে বলকে মোকাবেলা করতেন কিংবা স্ট্রোক খেলতেন। খেলার পরিবেশের সাথে একাত্মতা পোষণ করে মাঝেমধ্যে মিডিয়াম-পেস বোলিংয়ে অগ্রসর হতেন তিনি। কাছাকাছি এলাকায় দর্শনীয় ভঙ্গীমায় ফিল্ডিং করতেন।
১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে রঞ্জী ট্রফিতে সেরা মৌসুম অতিবাহিত করেন। ৯৭.১৭ গড়ে ৫৮৩ রান তুলেন। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় ৪৯.২০ গড়ে ২৫৬৭ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে পুরনো দল মহারাষ্ট্রের বিপক্ষে সৌরাষ্ট্রের সদস্যরূপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২১৪ রানের মনোমুগ্ধকর ইনিংস খেলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন যজুর্বিন্দ্র সিং। ২৮ জানুয়ারি, ১৯৭৭ তারিখে বেঙ্গালুরুতে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৯ তারিখে চেন্নাইয়ে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
খুবই দূর্লভ ঘটনা হিসেবে মাত্র চারটি টেস্টে অংশ নিয়ে দুইটি বিশ্বরেকর্ডের সাথে যৌথভাবে অবস্থান করছেন যজুর্বিন্দ্র সিং। অভিষেক টেস্টেই এ ঘটনাগুলো ঘটিয়েছেন। ব্যাটিং কিংবা বোলিং বিভাগে নয়; বরঞ্চ ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে এ কীর্তিগাথা রচনা করেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ফিল্ডিং করে দুইটি রেকর্ড করেন। ইনিংসে ৫টি ক্যাচ ও খেলায় সাতটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন তিনি।[৪]
১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল ভারত সফরে আসে। বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত টেস্টে মাঝারিসারিকে শক্তিশালীকরণে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে কিছু সাফল্যের প্রেক্ষিতে তাকে দলে রাখা হয়। ব্যাট হাতে তিনি ব্যর্থতার পরিচয় দেন। কিন্তু, প্রথম ইনিংসে পাঁচটি ক্যাচ তালুবন্দী করে ১৯৩৫-৩৬ মৌসুমে অস্ট্রেলীয় ভিক রিচার্ডসনের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রেকর্ডের সাথে সমকক্ষ করে তুলেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আরও দুইটি ক্যাচ পান। এরফলে, ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রিচার্ডসনের নাতি গ্রেগ চ্যাপেলের সাথে তিনিও যৌথভাবে রেকর্ড গড়েন।
১৯৭৯ সালে ইংল্যান্ড গমন করেন। কেবলমাত্র সিরিজের সর্বশেষ টেস্টে তাকে খেলানো হয়। এ পর্যায়ে তিনি তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৩ রান তুলেন।