যমুনাপাড়ি ছাগল বা রামছাগল[পদটীকা ১] হলো ছাগলের একটি প্রজাতি যার আবাসস্থল ভারতীয় উপমহাদেশ। ১৯৫৩ সালে এই জাতের ছাগল আমদানি করে ইন্দোনেশিয়া যা সেদেশে "এতাওয়া ছাগল" নামে পরিচিতি পায়। স্থানীয় ছাগলের সাথে যমুনাপাড়ি ছাগলের সংকরায়নের ফলে উদ্ভূতা ছাগল "পেরানাকান এতাওয়া" নামে পরিচিয়ি পায়। যমুনাপাড়ি ছাগল দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনের জন্য পালন করা হয়।[১] যমুনাপাড়ি ছাগল নামটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর নাম থেকে।[২] ছাগলের এই জাতটি মার্কিন নুবীয় জাতের জ্ঞাতিগোষ্ঠী।[৩]
এই জাতীয় ছাগলের মাথা বড় হয়ে এর নাককে উত্তলাকৃতি প্রদান করে। সাধারণত এই ছাগল হয় লালচে রঙের। তবে এরা অন্য রঙেরও হতে পারে। এর কানের দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটারের কাছাকাছি। পুরুষ স্ত্রী — দু ধরনের ছাগলের শিং বিদ্যমান। এই জাতের ছাগলের পা লম্বা।[৪] পুরুষ ছাগলের ওজন ১২০ কিলোগ্রাম ও স্ত্রী জাতের ছাগলের ওজন ৯০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।[১]
ছাগলটি প্রতিদিন দুগ্ধ প্রদানের পরিমাণ দুই লিটারের কাছাকাছি।[১] এই জাতীয় ছাগলের মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম।[৫] এদের হৃৎস্পন্দনের গড় মান প্রতি মিনিটে ১২৭±৩.৪৬।[৬]
এই জাতের ছাগলের প্রজনন হার উচ্চ। ৯০% ক্ষেত্রে ছাগলটি একসাথে তিনটি বা চারটি বাচ্চা দিয়ে থাকে। এই জাতের ছাগল দেড় বছর বয়সেই গর্ভধারণ করে থাকে।[৩]