খ্রিস্টধর্ম |
---|
ধারাবাহিক নিবন্ধের অংশ |
![]() |
![]() |
যিশুর কুমারীগর্ভে জন্ম খ্রিস্ট ও ইসলাম ধর্মে প্রচলিত একটি বিশ্বাস। এই মত অনুসারে, মেরি কুমারী অবস্থাতেই অলৌকিক উপায়ে যিশুকে গর্ভে ধারণ করেছিলেন। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যে খ্রিস্টমণ্ডলীতে এই মতবাদ সর্বজনীনভাবে প্রতিষ্ঠালাভ করেছিল।[১] অ্যাংলিক্যানিজম, চার্চ অফ দি ইস্ট, ইস্টার্ন অর্থোডক্সি, ওরিয়েন্টাল অর্থোডক্সি, প্রটেস্ট্যান্টবাদ ও রোমান ক্যাথলিকবাদে এই মত স্বীকৃত।
খ্রিস্টানদের দুটি সর্বাধিক প্রচলিত বিশ্বাস হল এই যে, যিশু হলেন "পবিত্র আত্মা ও কুমারী মেরির অবতার" (বর্তমানে নাইসীয় বিশ্বাস নামে পরিচিত) [২] এবং যিশু "কুমারী মেরির গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন" (শিষ্যমণ্ডলীয় বিশ্বাস)।[৩] অষ্টাদশ শতাব্দীর এনলাইটেনমেন্ট ধর্মতত্ত্বের পূর্বে কয়েকটি অপ্রধান সম্প্রদায়ের ব্যতিক্রমী উদাহরণ ছাড়া কেউই এই মতবাদটিকে সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলেনি।[১]
মথি (1:18) ও লুক (1:26-35) লিখিত প্রামাণ্য সুসমাচার দুটির বর্ণনা অনুসারে, কুমারী অবস্থাতেই মেরি পবিত্র আত্মার প্রভাবে গর্ভধারণ করেছিলেন। এই দুই সুসমাচার, পরবর্তীকালের প্রচলিত বিশ্বাস ও সাম্প্রতিক মতবাদ অনুযায়ী, মেরির গর্ভধারণের জন্য কোনো জৈব পিতা, যৌনসংগম বা বীর্যপাতের প্রয়োজন হয়নি; পবিত্র আত্মার প্রভাবেই যিশু মেরির গর্ভে এসেছিলেন।[৪][৫][৬][৭]
রোমান ক্যাথলিক ও পূর্ব ও প্রাচ্যদেশীয় অর্থোডক্স পরিভাষায় "কুমারীগর্ভে জন্ম" শব্দবন্ধটির দ্বারা কেবলমাত্র যিশুর কুমারীগর্ভে জন্মই বোঝায় না, তা মেরির জীবনব্যাপী কৌমার্যব্রত উদযাপনেরও নির্দেশক। খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে এই বিশ্বাস খ্রিস্টানদের মনে বদ্ধমূল হয়ে আছে।[৮] (দেখুন মেরির জীবনব্যাপী কুমারীত্ব)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যিশুর কুমারীগর্ভে জন্ম ও রোমান ক্যাথলিকদের নিষ্কলুষ গর্ভধারণ মতবাদ দুটি এক নয়। শেষোক্ত মতবাদটি, মেরির মায়ের গর্ভে মেরির জন্ম-সংক্রান্ত। মেরির জন্ম সাধারণভাবেই হয়েছিল, অলৌকিক উপায়ে নয়। তবে রোমান ক্যাথলিকদের নিষ্কলুষ গর্ভধারণের মতবাদটির প্রতিপাদ্য বিষয় হল, মেরি আদি পাপের "কলুষ" (লাতিন macula) মুক্ত হয়েই জন্মেছিলেন।
কুমারী মরিয়ম (আ:) এর গর্ভে অলৌকিকভাবে ঈসা (আ:) এর আবির্ভাব কুরআনেও সুম্পষ্ট ভাষায় বর্ণিত হয়েছে।[৯][১০][১১][১২] মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে ঈসা (আ:) আল্লাহ্র প্রেরিত একজন রাসুল। কুরআনে তাকে মাতৃপরিচয়ে অর্থাৎ "মরিয়ম-পুত্র ঈসা" (ঈসা ইবনে মারিয়াম) হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঈসা বিন মারিয়াম এই নামটি কুরআনে বারবার ব্যবহৃত হয়েছে।[১৩]
যিশুর জীবন: যিশুর গর্ভে আগমন | ||
গ্যাব্রিয়েল জাকারিয়ার গৃহে জোহনের জন্ম ঘোষণা করেন |
ঘটনাবলি |
মেরি সাক্ষাৎ করেন ইলিসাবেতের সঙ্গে |