যেনবুক | |
---|---|
উন্নয়নকারী | এসুস |
ধরন | আল্ট্রাবুক |
অপারেটিং সিস্টেম | উইন্ডোজ |
ওয়েবসাইট | zenbook |
যেনবুক এসুস কর্তৃক প্রস্তুতকৃত একটি আল্ট্রাবুক কম্পিউটার। প্রথম যেনবুকগুলো প্রস্তুত করা হয় ২০১১ সালের অক্টোবরে এবং ২০১২ সাল জুড়ে এ পন্যটির প্রধান সারির পণ্যগুলো পরিবর্ধন করা ও বাজারজাতকরণ করা হয়। এদের মধ্যে ছিল ১২ ইঞ্চি ল্যাপটপ, যাতে শক্তি সঞ্চয়ে কার্যকর সুবিধা ছিল। এছাড়াও শুধুমাত্র সম্বনিত গ্রাফিক্স প্রসেসর এবং সংযোগ সুবিধাহীন এমন ল্যাপটপ থেকে শুরু করে ১৫ ইঞ্চির আলাদা গ্রাফিক্স প্রসেসর ইউনিট ও অপটিক্যাল ডিস্ক ড্রাইভ সংযুক্ত আছে এমন সারির ল্যাপটপও ছিল। বেশিরভাগ যেনবুকে ইন্টেল কোর আল্ট্রা লো-ভোল্টেজ প্রসেসর ব্যবহৃত হয় এবং গ্রাফিক্সের জন্য এনভিডিয়া জিপিইউ ব্যবহার করা হত। এসুস নতুন মডেল ছাড়ে যেগুলো স্পর্ষ পর্দা দিয়ে চলে এবং উইন্ডোজ ৮ সমর্থন করে। বেশিরভাগ মডেলই ম্যাকবুক এয়ার সারির ল্যাপটপগুলোর সাথে তুলনার যোগ্য ছিল। সাম্প্রতিক মডেল হল যেনবুক ইনফিনিটি ইউএক্স৩০১ সারির মডেল।[১]
এসুস যেনবুকের প্রস্তুতে সাধারণত ল্যাপটপ প্রস্তুতে যে প্লাসিক উপাদান ব্যবহার করা হয় তার বদলে ব্যবহার হয় ব্রাশড এ্যালুমিনিয়াম চেসিস এবং দৃঢ় উপাদান। "যেন দর্শন" বা যেন অনুভূতি আনার জন্য ল্যাপটপের পর্দার উপরিভাগে বৃত্তাকারে নকশা করা হয় যা দেখতে অনেকটা জলের ফোঁটা পড়লে জলের উপর সৃষ্ট জলের ঢেউয়ের মত দেখতে লাগে। পরের মডেলগুলো উচ্চ মানসম্পন্ন পর্দা, এ্যালুমিনিয়ামের চেসিস ও দৃষ্টিনন্দন নকশার জন্য দৃষ্টিআর্কষন করে। কিন্তু বিশেষভাবে তাদের প্রথমদিকের মডেলগুলোর টাচপ্যাড সফটওয়্যার ছিল যেনতেনভাবে তৈরী এবং তাদের কিছু মডেল দামের জন্যও সমালোচিত হয়। কিছু মডেল (যেমন ইউএক্স৩২) বন্ধ হয়ে যেত আপনাআপনি যখন ব্যাটারি নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে চলে যেত উদাহরণসরূপ, যদি ডিভাইসটিকে ব্যবহার না করে খোলা রাখা হয় তাহলে এমনটি হত। কারণ চার্জারটি লাগানো থাকা সত্ত্বেও চার্জ হত না, যার ফলে ডিভাইসটি একেবারে ব্যবহার না করা অবস্থায় চলে যেত এবং বন্ধ হয়ে যেত। এরপর পাওয়ার চাবিটিতে ১০ সেকেন্ড চাপ দিয়ে রাখতে হত চার্জ পুনরায় শুরু হওয়ার জন্য।[২]
২০০৯ সালে এসুস ইউএক্স৫০ভি নামক ১৫ ইঞ্চি ল্যাপটপ বাজারে ছাড়ে, এটিতে জোর দেয়া হয় শক্তি কার্যকরী বৈশিষ্ট্য ও সরু ধাঁচের নকশার উপর।[৩] নিরীক্ষকরা একে গুণগত মানে অকার্যকর মনে করেন কারণ শক্তি সঞ্চয়ের সহায়ক হার্ডওয়্যার থাকার পরও ব্যাটারি কম থাকত[৪] যা গুনমান কম নির্দেশক। যদিও একই রকমভাবে ব্রান্ড করা হয়নি তবুও ইউএক্স সারির অন্যান্য পণ্য একইরকম বিরক্তকর বৈশিষ্ট্য পায়। এছাড়া এগুলো ছিল তাদের আল্ট্রাপোর্টেবল বাজারে প্রবেশের সূচনা মডেল মাত্র।
এসুস চেয়ারম্যান জনি শিহ যেনবুক নামটি প্রস্তাব করেন যাতে "যেন দর্শন" বিষয়টি প্রয়োগ করা হয় নকশার মাধ্যমে।[৫] প্রধান নকশাকারী লোঅই চেন দামি ঘড়ি থেকে তার নকশা করা পণ্যের নকশা উপাদান অন্য কোথাও ব্যবহার করতে চাইতেন অনেক আগে থেকেই। যেনবুক তাকে এই সুযোগ করে দেয়[৫], নকশার বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হবে যখন ল্যাপটপকে যখন পাশ থেকে খোলা হবে। এটি মিনিট ও ঘণ্টার কাটা ঘোরার বিষয়টি মনে করিয়ে দেবে।[৬] ঘড়ির সাথে সংযোগের বিষয়টি তাদের বাজারজাতকরণেও প্রভাব ফেলে। এসুস ঘড়ির মধ্যে যেনবুকের স্কেচের মাধ্যমে নকশা করে প্রকাশ করে এবং ভিডিও বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও একই রকম ধারনার বিষয়টি প্রকাশ পায়।[৭][৮] যেনবুকের পর্দার উপরিভাগে করা বৃত্তকারের জলের ঢেউ প্রকাশ করে "যেন" রূপক চিন্তা যা প্রকৃতির অসীম ধারণা এবং আত্মউন্নয়নের দার্শনিক ধারনাকে চিত্রায়িত করে।[৫][৬]
যেনবুক নির্মাণ করা হয় এ্যালুমিনিয়াম দ্বারা যার ফলে এটি কম ওজনের, পাতলা, শক্তিশালী, কম্পন সহ্য সম্পন্ন, দৃশ্যত সুন্দর এবং শ্রবণ সহায়ক গুণাবলীর।[৫] পর্দার উপরিভাগ ও ল্যাপটপের গায়ে বসানো এ্যালুমিনিয়ামগুলো সিএনসি মিলিং করা এবং ব্রাশ করা।[৫] নিরীক্ষকরা এটির দৃঢ়তা এবং দৃষ্টিনন্দন বৈশিষ্ট্যকে প্রশংসা করেন।[৯][১০][১১] পর্দার উপরিভাগে তিনটি রং দেখা যায় গাঢ় রূপা/রক্তবর্ণ, গোলাপি স্বর্ণময় এবং গোলাপি।[৫]
জায়গা কমানোর জন্য যেনবুকগুলোতে দুটি পিসিবি ব্যবহার করা হয়। এগুলো যোগাযোগ রিবন দ্বারা যুক্ত থাকে যাতে যন্ত্রটির দুদিকেই পোর্ট পাওয়া যায়। মধ্যভাগে থাকত তাপশোষক ও ফ্যান ব্যবস্থা।[১২][১৩]
২০১১ সালের ১১ অক্টোবর যেনবুকের প্রথম প্রজন্মের ঘোষণা আসে, তার একদিন পরেই এগুলো বাজারে ছাড়া হয়। কিন্তু সেই বছরের মে মাসে[১৪] অনুষ্ঠিত কম্পুউটেক্স ২০১১ নামক মেলায় এগুলোর প্রদর্শন করা হয়। দুটি মডেল ছাড়া হয় এগারো ইঞ্চির ইউএক্স২১ই (ইউএক্স২১) এবং তের ইঞ্চির ইউএক্স৩১ই (ইউএক্স৩১) এবং ইতিবাচক নিরীক্ষা ফলাফল পায়। ইউএক্স২১ মডেলকে ম্যাকবুক এয়ার আল্ট্রাবুকের সাথে তুলনায় করা হয় এবং সিনেট একে চমৎকার প্রতিদ্বন্ধি বলে মন্তব্য করে।[১০][১১] অন্য যেসকল বৈশিষ্ট্য নিরীক্ষকরা প্রছন্দ করে সেগুলো হল ব্যাং এন্ড ওউলফসেন স্পীকার, দ্রুত বুট সময় (এসুস বাইওস নকশার কারণে) এবং সাধারণ কাজের দ্রুততা (এসএসডি ও স্যান্ডি ব্রিজ প্রসেসর ব্যবহারের ফলে[৯][১১][১৫])। যদিও পর্দার কন্ট্রাস্ট রেশিও, রংয়ের সামঞ্জস্য এবং পর্দার কৌনিক দৃষ্টি ও তীক্ষ্ণতা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে এসুস[৯][১৬][১৭]। তাছাড়া অগভীর ধাতুর কিবোর্ড এবং ব্যাকলাইট আলো না থাকার জন্য নিরীক্ষকরা সমালোচনা করেন।[৯][১৮]
২০১২ সালের এপ্রিলে এসুস দুটি নতুন যেনবুক বাজারে ছাড়ে এইবার তারা এতে আইভি ব্রিজ[১৯] মাইক্রোআর্কিটেকচার প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এগারো ইঞ্চির ইউএক্স২১এ এবং ১৩ ইঞ্চির ইউএক্স৩১এ মডেল দুটিকে যেনবুক প্রাইম নামে ডাকা হয়।[১৯] নতুন ধারার যেনবুকে আইভি ব্রিজের পাশাপাশি এইচএম৭৬ চিপসেট সূচনা করা হয়। এছাড়া নতুন ইউএসবি ৩.০, ১৯২০×১০৮০ আইপিএস পর্দা, ইন্টেল সেন্ট্রিনো ওয়াইফাই কন্ট্রোলার, একটি উন্নত ট্র্যাকপ্যাড এবং নতুন ব্যাকলাইটসহ প্লাষ্টিক কিবোর্ড লাগানো হয়।[২০] নতুন পর্দাটির বেশ প্রশংসা করা হয় ঔজ্জ্বল্য, কন্ট্রাষ্ট রেশিও, কৌণিক দৃষ্টি এবং রংয়ের যথার্থতার জন্য।[১৮][২০][২১] ইউএক্স২১এ মডেলের কন্ট্রাষ্ট রেশিও হয় ৯৩৯ এবং অন্যটির ১০৮৫ এর ফলে এটিই হয় সেসময়ের সবচেয়ে বেশি কন্ট্রাষ্ট রেশিওযুক্ত আল্ট্রাবুক।[২১][২২] নতুন উন্নিত করা কিবোর্ড প্রশংসা পায় ব্যাকলাইট সুবিধা ও দ্রুত লিখন সহযোগীতার জন্য অন্যদিকে ওয়াইফাই সুবিধার জন্য ব্যবহৃত ইন্টেল ওয়াইফাই কন্ট্রোলার আগের মডেলে ব্যবহৃত কোয়ালকম থেকে বেশি কার্যকর হয়।[২০][২১][২৩] তারপরও যেনবুক প্রাইমের কিছু সমালোচনা করা হয় যেমন ট্যাকপ্যাড উন্নত হলেও বিরক্তিকর[২৪][২৫], শব্দ মান কমে যাওয়া (আগের মডেল থেকেও)[২৩][২৫]। এতসব সত্ত্বেও এই মডেলগুলোকে ইতিবাচক মনোভাব পায় নিরীক্ষকদের কাছ থেকে এবং এদেরকে "বর্তমানের সেরা আল্ট্রাবুক" ও "অন্যদের থেকে সেরা আল্ট্রাবুক" বলা হয় বাজারে ছাড়ার সময়।[২৬][২৭]
২০১২ সালের মার্চের শুরুর দিকে এসুসের নতুন যেনবুক সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ পায় এবং মে'র শুরুর দিকে এসুস ইউএক্স৩২ উন্মোচন করে। মে মাসের ২১ তারিখে এগুলো ছাড়া হয়[২৮][২৯]। দুটি মডেল ছাড়া হয় ইউএক্স৩২এ এবং ইউএক্স৩২ভিডি দুটোই আগের মডেলগুলো থেকে পুরু ধারার চেসিস সংযুক্ত, যাতে করে ৫০০ জিবি/২৪ জিবি ফ্ল্যাশ হার্ড ড্রাইভ ব্যবহার করা হয়। ইউএক্স৩২ভিডিতে এনভিডিয়া জিফোর্স জিটি ৬২০এম লাগানো হয়।[২৯] ইউএক্স৩২এ নকশা করা হয় পুরনো স্যান্ডি ব্রিজ[note ১] প্রসেসর দিয়ে, কম রেজুলেশনের পর্দা ও হাইব্রিড ড্রাইভ দিয়ে যাতে দাম কমানো যায়।[২৮]
ইউএক্স৩২ভিডি যেনবুক প্রাইমের মতই ভালভাবে গ্রহণ করা হয়। এটিও কিবোর্ড, পর্দা, চেসিসের কারণে প্রশংসিত হয় যদিও বিক্রির অন্যতম কারণের একটি হল আলাদা জিপিইউ।[৩০][৩১][৩২] হাইব্রিড ড্রাইভ কম কার্যকারিতা ও ট্যাকপ্যাডের সমস্যার কারণে একে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।[৩০][৩১][৩২] যেনবুক প্রাইম থেকে, এতে ৪% ভাগ ছোট মাপের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়। নতুন জিপিইউ ব্যবহার করায় এটি বেশি শক্তি খরচ করত কিন্তু ব্যাটারি ছোট হওয়ায় ক্ষমতা কমে যায় এটির কারণেও এটি আকর্ষণ হারায়।[৩০][৩৩] এসএলআর লাউঞ্জ কম গতির হার্ড ড্রাইভ এবং ৪ জিবি র্যামের সমালোচনা করেন এবং প্রয়োজন অনুসারে পরিবর্তন করার কথাও উল্লেখ্য করেন। কারণ সব আল্ট্রাবুকেই এই পরিবর্তন সুবিধা থাকে না।[৩৪]
পিসি এডভাইসরের ক্রিস মার্টিন কম দামি যেনবুক ইউএক্স৩২এ মডেলের প্রশংসা করে বলেন "কম দামে সেরা অনুভূতি" ও "আরেকটু বেশি সামর্থ্যে বিলাশিতা"।[৩৫][৩৬] যে এ্যালুমিনিয়াম চেসিস ব্যবহার করা হয়েছিল দাম কমাতে, তা মান ও শক্তিশালী যন্ত্র হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে।[৩৫][৩৬][৩৭][৩৮][৩৯] অন্যদিকে স্যান্ডি ব্রিজ চিপ ব্যবহারের ফলে আকর্ষণ কমে যায়[৩৬][৩৮] , যেমনটা ইউএক্স৩১ই মডেলের কম ব্যাটারি ক্ষমতার কারণে হয়েছিল। যদিও ইউএক্স৩২ভিডি ও ইউএক্স৩১এ মডেলের থেকে পর্দা ছিল টিএন প্যানেলের এবং কম রেজুলেশনের তবুও কম দামের জন্য এটি গ্রহণযোগ্য হয়।[৩৬][৩৭] পর্দাটির ছিল ম্যাট ফিনিশ বৈশিষ্ট্য এবং উচ্চ ঔজ্জ্বল্য ক্ষমতা যা বাইরে কাজ করা জন্য উপযুক্ত বলে মন্তব্য করেন নোটবুক চেক নিরীক্ষক ক্রিশ্চিয়ান হেপ। তিনি আরো বলেন এটির ভাল কন্ট্রাষ্ট রেশিও থাকলেও রংয়ের সীমা কম।[৩৯]
২০১২ সালের ২৩ অক্টোবর, এসুস উইন্ডোজ ৮ তাদের পণ্যে সূচনা অনুষ্ঠানে প্রকাশ করে ইউএক্স৪২ভিএস এবং ইউএক্স৫২ভিএস মডেল এবং জানায় এগুলো নভেম্বরে ছাড়া হবে[৪০][৪১]। ইউএক্স৪২ভিএস হল ১৪ ইঞ্চি মাপের আল্ট্রাবুক এবং ইউএক্স৫২ভিএস হল একটি ১৫ ইঞ্চি মাপের ল্যাপটপ এতে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য বাছাইয়ের মাধ্যমে একে আল্ট্রাবুক করার সুযোগ রয়েছে[note ১][৪১] (আল্ট্রাবুক হিসেবে গ্রহণ করার জন্য যে সংজ্ঞা রয়েছে তা হিসেবে)। ইউএক্স৪২ভিএস ছাড়া হয় ইন্টেল কোর আই৩, আই৫ ও আই৭ প্রসেসর দিয়ে, সাথে সর্বোচ্চ ৬ জিবি র্যাম নিয়ে। সবকিছু নিয়ে ওজন দাড়ায় ১.৯ কেজি (৪.২ পাউন্ড)।[৪১]
ইউএক্স৫২ভিএস মডেলে ইন্টেলের আল্ট্রা লো-ভোল্টেজ আই৫ বা আই৭ মোবাইল প্রসেসর, ১০ পর্যন্ত র্যাম ও অপটিক্যাল ড্রাইভ লাগানোর জন্য নির্বাচনের সুযোগ রয়েছে। অপটিক্যাল ড্রাইভ লাগানোর সুবিধা যেনবুকের জন্য এটাই প্রথম।[৪২] এটি বেশি দাম ও স্পর্ষ পর্দা না থাকার জন্য সমালোচিত হয় কিন্তু গতি, কিবোর্ড ও পর্দার জন্য প্রশংসিত হয়।[৪৩][৪৪] ব্যাটারির ক্ষমতাকে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয় আকার, আলাদা জিপিইউ বিবেচনায় নিয়ে যদিও এটি ইউএক্স৩১এ থেকেও কম।[৪৪]
২০১২ সালের জুনে অনুষ্ঠিত কম্পুউটেক্সে প্রথম প্রদর্শন করা হয়। এতে স্পর্ষ পর্দা লাগানো রয়েছে যাতে উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা যায়।[৪৫] ইউএক্স৩১এ মডেলের যেনবুক স্পর্ষ ক্ষমতা সংবলিত যদিও এই নামে যেনবুক প্রাইমের একটি মডেল রয়েছে। এছাড়া ইউ৫০০ভিজেড নামে আরেকটি ১৫ ইঞ্চি পর্দার মডেল রয়েছে।[৪৫][৪৬] অন্য আরেকটি মডেল ইউএক্স২১এ স্পর্ষ ক্ষমতার মডেল দেখানো হয় কম্পুউটেক্সের প্রদর্শনীতে এবং এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আগস্টের শেষের দিকে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২০১২ সালের অক্টোবরে পণ্য সূচনা অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র ইউএক্স৩১এ ও ইউ৫০০ভিজেড মডেল দুটি দেখানো হয়।[৪৫][৪৭][৪৮] ইউ৫০০ভিজেড মডেলটি আগের যেনবুকগুলো থেকে ২০এমএম বেশি পুরু ছিল এবং আইভি ব্রিজ মোবাইল প্রসেসর দিয়ে চালানো হত। অন্য যেনবুকগুলো যেমন আল্ট্রা লো-ভোল্টেজ সিপিইউ দিয়ে চালানো হয় এতে তা করা হয়নি ফলে আল্ট্রাবুক শ্রেণী থেকে এটি বাদ পড়ে যায় (আল্ট্রাবুক হতে হলে নির্দিষ্ট মাপের যন্ত্রপাতি থাকতে হবে) যদিও এতে অন্য যন্ত্রপাতি আল্ট্রাবুকের মতই ছিল।[note ১][৪৬][৪৯]
এন্যান্ডটেক নিরীক্ষক জেসন ইনোফুয়েনটেস যেনবুকের টাচ এত পছন্দ করেন যে ট্যাকপ্যাডের ব্যবহার বন্ধ করে দেন এসুস পণ্য সূচনা অনুষ্ঠানে।[৫০] দ্যা অষ্ট্রেলিয়ানের ক্রিস গ্রিফিথ টাচ পর্দা ও উইন্ডোজের জেষ্চারগুলো ঠিকমত কাজ করছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এবং শুধুমাত্র দাম নিয়েই সমালোচনা করেন।[৫১]
২০১৩ সালে প্রথম প্রদর্শন করা হয় কম্পিউটেক্সে। যেনবুক ইনফিনিটিতে রয়েছে গরিলা গ্লাসের কাঠামো, একটি মোবাইল হ্যাজওয়েল সিপিইউ (আই৫ বা আই৭); কমপক্ষে ৮ জিবি র্যাম; একটি ১৩.৩ ইঞ্চি মাপের স্পর্ষ পর্দা যার সর্বোচ্চ রেজুলেশন ২৫৬০x১৪৪০। একক এসএসডির পরিবর্তে এতে ব্যবহার করা হয় একই আরএআইডি ০ তে দুটি এসএসডি।
মডেল তালিকা | |||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মডেল | ইউএক্স২১ই[৫২] | ইউএক্স৩১ই[৫৩] | ইউএক্স২১এ[৫৪] | ইউএক্স৩১এ[৫৫] | ইউএক্স৩২এ[৫৬] | ইউএক্স৩২ভিডি[৫৭] | ইউএক্স৩২এলএন[৫৮][৫৯] | ইউএক্স৪২ভিএস[৬০] | ইউএক্স৫২ভিএস[৪২] | ইউ৫০০ভিজেড[৪৬] | ইউএক্স৩০১এলএ | এনএক্স৫০০ | |||||||||||||
সূচনা তারিখ | অক্টোবর ১২, ২০১১[৬১] | জুন ২০১২[৬২] | মে ২১, ২০১২[৬৩] | মে ২১, ২০১২[৬৪] | ফেব্রুয়ারি ২০১৪[৬৫] | নভেম্বর ২০১২ | নভেম্বর ২০১২ | টিবিএ | নভেম্বর 2013 | টিবিএ
- |
প্রদর্শনী ম্যাট |
২৯.৫ সেমি (১১.৬") টিএন ১৩৬৬ × ৭৬৮ | ৩৩.৮ সেমি (১৩.৩") টিএন ১৬০০ × ৯০০ | ২৯.৫ সেমি (১১.৬") টিএন ১৩৬৬ × ৭৬৮ ২৯.৫ সেমি (১১.৬") আইপিএস ১৯২০ × ১০৮০ |
৩৩.৮ সেমি (১৩.৩") টিএন ১৬০০ × ৯০০ ৩৩.৮ সেমি (১৩.৩") আইপিএস ১৯২০ × ১০৮০ |
৩৩.৮ সেমি (১৩.৩") টিএন ১৩৬৬ × ৭৬৮ | ৩৩.৮ সেমি (১৩.৩") টিএন ১৩৬৬ × ৭৬৮ ৩৩.৮ সেমি (১৩.৩") আইপিএস ১৯২০ × ১০৮০ |
৩৩.৮ সেমি (১৩.৩")
আইপিএস এফএইচডি ১৯২০x১০৮০ |
৩৫.৬ সেমি (১৪.০") টিএন ১৩৬৬ × ৭৬৮ | ৩৯.৬ সেমি (১৫.৬") আইপিএস ১৯২০ × ১০৮০ | ৩৩.৮ সেমি (১৩.৩") আইপিএস ২৫৬০ × ১৪৪০ | ৩৯.৬ সেমি (১৫.৬") আইপিএস ৩৮৪০ × ২১৬০ | |||
প্রসেসর | ইন্টেল কোর আই৩-২৩৬৭ ইন্টেল কোর আই৫-২৪৬৭এম ইন্টেল কোর আই৭-২৬৭৭এম |
ইন্টেল কোর আই৫-২৫৫৭এম ইন্টেল কোর আই৫-২৫৫৭এম ইন্টেল কোর আই৭-২৬৭৭এম |
ইন্টেল কোর আই৫-৩৩১৭ইউ ইন্টেল কোর আই৭-৩৫১৭ইউ |
ইন্টেল কোর আই৫-৩৩১৭ইউ ইন্টেল কোর আই৭-৩৫১৭ইউ ইন্টেল কোর আই৭-৩৫৩৭ইউ |
ইন্টেল কোর আই৩-২৩৬৭এম ইন্টেল কোর আই৫-৩৩১৭ইউ |
ইন্টেল কোর আই৭-৩৫১৭ইউ | ইন্টেল কোর আই৩-৪০১০ইউ | ইন্টেল কোর আই৩-৩২১৭ইউ ইন্টেল কোর আই৫-৩৩১৭ইউ ইন্টেল কোর আই৭-৩৫১৭ইউ |
ইন্টেল কোর আই৫-৩৩১৭ইউ ইন্টেল কোর আই৭-৩৫১৭ইউ ইন্টেল কোর আই৭-৩৬১০কিউএম |
ইন্টেল কোর আই৭-৩৬১২কিউএম | ইন্টেল কোর আই৭-৪৫৫৮ইউ ইন্টেল কোর আই৭-৪৫০০ইউ ইন্টেল কোর আই৫-৪২০০ইউ |
ইন্টেল কোর আই৭ | |||||||||||||
গ্রাফিক্স কার্ড | ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স ৩০০০ | ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স ৪০০০ | ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স ৩০০০ ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স ৪০০০ |
এনভিডিয়া জিফোর্স জিটি ৬২০এম | ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স ৪৪০০ এনভিডিয়া জিফোর্স ৮৪০এম |
ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স ৪০০০ এনভিডিয়া জিফোর্স জিটি ৬৪৫এম |
এনভিডিয়া জিফোর্স জিটি ৬৪৫এম | এনভিডিয়া জিফোর্স জিটি ৬৫০এম | ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স ৪৪০০, অথবা আইরিশ গ্রাফিক্স ৫১০০ | এনভিডিয়া জিফোর্স জিটিএক্স ৮৫০এম | |||||||||||||||
মেমোরি | ৪ জিবি ১৩৩৩ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩ | ৪ জিবি ১৬০০ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩ | ৪ জিবি ১৬০০ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩ পরিবর্ধনযোগ্য | ৪ জিবি ১৬০০ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩এল | 6 জিবি ১৬০০ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩ পরিবর্ধনযোগ্য | ৪–১০ জিবি ১৬০০ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩ | ৪ জিবি ১৬০০ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩ | 8 জিবি ১৬০০ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩এল | ৪/৮ জিবি ১৬০০ মেগাহার্টজ ডিডিআর৩এল | ||||||||||||||||
হার্ড ডিস্ক | ৬৪/১২৮/২৫৬ জিবি সাটা ৩ এসএসডি | ১২৮/২৫৬জিবি সাটা ৩ এসএসডি | ৫০০ জিবি হাইব্রিড ড্রাইভসহ (২৪ জিবি এসএসডি/২৫৬ জিবি এসএসডি) | ১টিবি এইচডিডি / ৫০০জিবি এসএসডি / ১২৮জিবি এসএসডি | ৩২০/৫০০/৭৫০/১০০০ জিবি এইচডিডি | ৩২০/৫০০/৭৫০ জিবি হাইব্রিড ড্রাইভ (২৪/৩২ জিবি এসএসডি) | ৫১২ জিবি সাটা ৩ এসএসডি পর্যন্ত | ২x১২৮জিবি বা ২x২৫৬জিবি এসএসডি একটি আরএআইডি ০ কনফিগারেশনে | ১২৮/২৫৬/৫১২ জিবি এসএসডি | ||||||||||||||||
তারবিহীন |
৮০২.১১ বি/জি/এন ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ৪ | ৮০২.১১ এ/বি/জি/এন ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ৪ | ৮০২.১১ এ/বি/জি/এন বা ৮০২.১১এসি এবং ব্লুটুথ ৪ |
৮০২.১১ বি/জি/এন ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ৪ | ৮০২.১১ এ/বি/জি/এন ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ৪ | ৮০২.১১ এ/বি/জি/এন/এসি ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ ৪ | টিবিএ | ||||||||||||||||||
ব্যাটারি | ৬ সেল, ৪৮০০ এমএএইচ, ৩৫ ডব্লিউএইচ | ৪ সেল, ৬৮৪০ এমএএইচ, ৫০ ডব্লিউএইচ | ৬ সেল, ৪৮০০ এমএএইচ, ৩৫ ডব্লিউএইচ | ৪ সেল, ৬৮৪০ এমএএইচ, ৫০ ডব্লিউএইচ | ৬ সেল, ৬৫২০ এমএএইচ, ৪৮ ডব্লিউএইচ | ৩ সেল, ৫০ ডব্লিউএইচ | ৪ সেল, ৬১৮০ এমএএইচ, ৪৫ ডব্লিউএইচ | ৮ সেল, ৪৭৫০ এমএএইচ, ৭০ ডব্লিউএইচ [৬৬] | ৬ সেল, ৫০.৬ ডব্লিউএইচ | ৬ সেল, ৯৬ ডব্লিউএইচ | |||||||||||||||
ওজন | ১.১ কেজি (২.৪২ পাউন্ড) | ১.৩ কেজি (২.৮৭ পাউন্ড) | ১.১ কেজি (২.৪২ পাউন্ড) | ১.৩ কেজি (২.৮৭ পাউন্ড) | ১.৪৫ কেজি (৩.২০ পাউন্ড) | ১.৪৫ কেজি (৩.২০ পাউন্ড) | ১.৪৫ কেজি (৩.২০ পাউন্ড) | ১.৮৮ কেজি (৪.১৫ পাউন্ড) | ২.২ কেজি (৪.৯৪ পাউন্ড) | ২.০ কেজি (৪.৪ পাউন্ড) | ১.৪ কেজি | ২.২ কেজি (৪.৯৪ পাউন্ড) | |||||||||||||
আকৃতি প্রস্থ × উচ্চতা × পুরুত্ব (বন্ধ থাকা অবস্থায়, সর্বোচ্চ পুরুত্ব) |
২৯৯ মিমি × ১৯৬ মিমি × ১৭ মিমি (১১.৮" × ৭.৭" × ০.৬৭") | ৩২৫ মিমি × ২২৩ মিমি × ১৭ মিমি (১২.৮" × ৮.৮" × ০.৬৭") | ২৯৯ মিমি × ১৯৬ মিমি × ১৭ মিমি (১১.৮" × ৭.৭" × ০.৬৭") | ৩২৫ মিমি × ২২৩ মিমি × ১৭ মিমি (১২.৮" × ৮.৮" × ০.৬৭") | ৩২৫ মিমি × ২২৩ মিমি × ১৮ মিমি (১২.৮" × ৮.৮" × ০.৭১") | ৩২৫ মিমি × ২২৩ মিমি × ১৮ মিমি (১২.৮" × ৮.৮" × ০.৭১") | ৩২৫ মিমি x
২২৩ মিমি x ৫.৫~১৮ মিমি |
৩৪০ মিমি × ২৩৯ মিমি × ২১ মিমি (১৩.৪" × ৯.৪" × ০.৮৩") | ৩৮০ মিমি × ২৫৪.৫ মিমি × ২১ মিমি (১৪.৯৬" × ১০.০" × ০.৮৩") | ৩৮০ মিমি × ২৫৪.৫ মিমি × ২০ মিমি (১৪.৯৬" × ১০.০" × ০.৭৯") | ৩২৫ মিমি x ২২৬ মিমি x ১৫.৫ মিমি (১২.৮" x ৮.৯" x ০.৬২") | ৩৭৮ মিমি x ২৫৫ মিমি x ১৯ মিমি (১৪.৮৮" x ১০.০" x ০.৭৫") | |||||||||||||
পেরিফেরাল সংযোগসমূহ | ১ × ৩.৫ মিমি অডিও ইন/আউট জ্যাক ১ × ইউএসবি ৩.০ পোর্ট ১ × ইউএসবি ২.০ পোর্ট ১ × মাইক্রো এইচডিএমআই ১ × মিনি ভিজিএ এসডি কার্ড স্লট (শুধুমাত্র ইউএক্স৩১ই) |
১ × ৩.৫ মিমি অডিও ইন/আউট জ্যাক ২ × ইউএসবি ৩.০ পোর্ট ১ × মাইক্রো এইচডিএমআই ১ × মিনি ভিজিএ এসডি কার্ড স্লট (শুধুমাত্র ইউএক্স৩১এ) |
১ × ৩.৫ মিমি অডিও ইন/আউট জ্যাক ৩ × ইউএসবি ৩.০ পোর্ট ১ × এইচডিএমআই ১ × মিনি ভিজিএ এসডি কার্ড স্লট |
১ x ৩.৫মিমি অডিও ইন/আউট জ্যাক ৩ x ইউএসবি ৩.০ পোর্ট(s) |
১ × ৩.৫ মিমি অডিও ইন/আউট জ্যাক 2 × ইউএসবি ৩.০ পোর্ট ১ × মাইক্রো এইচডিএমআই ১ × মিনি ভিজিএ এসডি কার্ড স্লট ১ × আরজে৪৫ ল্যান পোর্ট |
১ × ৩.৫ মিমি অডিও ইন/আউট জ্যাক ৩ × ইউএসবি ৩.০ পোর্ট ১ × এইচডিএমআই ১ × মিনি ভিজিএ এসডি কার্ড স্লট ১ × আরজে৪৫ ল্যান পোর্ট |
১ × ৩.৫ মিমি অডিও ইন/আউট জ্যাক ৩ × ইউএসবি ৩.০ পোর্ট ১ × এইচডিএমআই ১ × এক্সটারনাল সাবউফার সংযোগকারী ১ × মিনি ভিজিএ এসডি কার্ড স্লট ১ × আরজে৪৫ ল্যান পোর্ট |
১ × ৩.৫ মিমি অডিও ইন/আউট জ্যাক 2 × ইউএসবি ৩.০ পোর্ট ১ × মাইক্রো এইচডিএমআই এসডিএক্সসি কার্ড স্লট |
টিবিএ |