ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | জোহানসবার্গ, গুটেং, দক্ষিণ আফ্রিকা | ২ মে ১৯৮২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বোটস, স্টোন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ২ জানুয়ারি ২০০৬ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২০ নভেম্বর ২০১০ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক | ১৬ নভেম্বর ২০০৫ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৫ মার্চ ২০১১ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই শার্ট নং | ২২ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩-বর্তমান | দিল্লি ডেয়ারডেভিলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-বর্তমান | সাউথ অস্ট্রেলিয়া (জার্সি নং ২২) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২-বর্তমান | অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স (জার্সি নং ২২) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | নর্দাম্পটনশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯-২০১২ | রাজশাহী রয়্যালস (জার্সি নং ২২) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-বর্তমান | শেভ্রলেট ওয়ারিয়র্স (জার্সি নং ২২) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৪-২০০৫ | বর্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১-২০০৪ | ইস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৪ মার্চ ২০১৮ |
যোহান বোথা (ইংরেজি: Johan Botha; জন্ম: ২ মে, ১৯৮২) জোহেন্সবার্গে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, অস্ট্রেলীয় বিগ ব্যাশ লীগ ক্রিকেটে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ও অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স, ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দাম্পটনশায়ার, বাংলাদেশী ক্রিকেটে রাজশাহী রয়্যালস এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাদেশিক পর্যায়ের ক্রিকেটে শেভ্রলেট ওয়ারিয়র্স, ইস্টার্ন প্রভিন্স ও বর্ডারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলারের দায়িত্ব পালন করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে কার্যকরী ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখতেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে সাধারণ মানের পেসার হিসেবে ইস্টার্ন কেপ ওয়ারিয়র্সের ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার গতিবেগে বোলিং করতেন। তবে, জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশগ্রহণের প্রাক্কালে আবদ্ধ জালে প্রশিক্ষণ গ্রহণকালে সাবেক কোচ মিকি আর্থারের পরামর্শ মোতাবেক স্পিনের দিকে ঝুঁকে পড়লে গতিময় বোলিংয়ের স্বপ্ন দেখা বাদ দেন। এরফলে বোথা তার বোলিং ভঙ্গীমা পরিবর্তন করেন ও মুত্তিয়া মুরালিধরন এবং হরভজন সিংয়ের দোসরা অনুসরণ করতে থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা সফরে যান। সেখানে তিনি প্রধান উইকেটগুলো নেয়ার পাশাপাশি রান তোলার দিকেও নজর দেন।
প্রতিযোগিতাধর্মী খেলায় দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ভারত সফরে পাঁচটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন। এ সফর থেকে পাতানো খেলার দায়ে অভিযুক্ত নিকি বোয়ের সম্পৃক্ততায় ভারত সফরে না যাবার সিদ্ধান্তই তাকে এ সুযোগ এনে দেয়। হায়দ্রাবাদে সিরিজের প্রথম খেলায় ছয় ওভার বোলিং করে ইরফান পাঠানের একমাত্র উইকেট লাভ করেছিলেন যোহান বোথা। মিকি আর্থার ও গ্রেইম স্মিথের পরামর্শক্রমে বিশ্বকাপে অন্তর্ভূক্তি ঘটে তার।
২০০৫-০৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। ২ জানুয়ারি, ২০০৬ তারিখে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে যোহান বোথার। মাইক হাসি তার প্রথম টেস্ট উইকেট শিকারে পরিণত হন। তবে, খেলা শেষ হবার পর বল নিক্ষেপের দায়ে অভিযুক্ত হন তিনি।[১]
২০০৫-০৬ মৌসুমের ভিবি সিরিজের বেশ কয়েকটি খেলায় তাকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু, ফেব্রুয়ারি মাসে বোলিংয়ে অভিজ্ঞ ব্রুস এলিয়টের বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে বোলিং থেকে তাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়।[২] আগস্ট, ২০০৬ সালে আইসিসি পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে তাকে দোষমুক্ত ঘোষণা করা হলেও পুনরায় ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকানো থাকার কথা তুলে ধরা হয়।[৩]
২১ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখে আইসিসি থেকে বোথার বোলিং ভঙ্গীমাকে নির্দোষ ঘোষণা করা হলে জাতীয় দলে খেলার জন্য তাকে মনোনীত করা হয়।[৪]
২০০৭ সালের আফ্রো-এশিয়া কাপে খেলেন ও ২০০৭-০৮ মৌসুমে পাকিস্তানে একদিনের দলে ফিরে আসেন। পোর্ট এলিজাবেথে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ ওডিআই শেষে ১৪ এপ্রিল, ২০০৯ তারিখে আবারও অভিযুক্ত হন তিনি তার সন্দেহজনক বোলিং ভঙ্গীমার জন্য। খেলায় নিযুক্ত কর্মকর্তারা দ্রুতগতিতে বল করা ও দোসরার কথা তুলে ধরেন।[৫] ১২ মে, ২০০৯ তারিখে আইসিসি বোথার দোসরা বলকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করে ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার বোলিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
২০ আগস্ট, ২০১০ তারিখে গ্রেইম স্মিথ টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে দল পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেন, তবে এ স্তরের ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবার কথা বলেন। ফলশ্রুতিতে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা কর্তৃপক্ষ তার সহকারী বোথাকে এ দায়িত্বভার অর্পণ করেন। এছাড়াও, ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর স্মিথ দায়িত্ব ছেড়ে দিলে এ দায়িত্বভার তার কাঁধে আসে। ২০১০ সালের শুরুর দিকে আঘাতের কারণে স্মিথের অনুপস্থিতিতে বোথা দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় করেছিলেন।[৬]
৭ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্থায়ীভাবে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন। ১৬৮ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে জিম্বাবুয়ে দল। তবে, জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণ বেশ কয়েকবার প্রাধান্য বিস্তার করলেও পাঁচ ওভার বাকী থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকা দল সাত উইকেটে জয় তুলে নেয়।