যৌনতা ও আইনমূলতঃ মানব যৌনাচার সংক্রান্ত আইন নিয়ে আলোচনা করে। যৌন আইন আর অন্যান্য দশটি আদালতীয় আইনের চেয়ে আলাদা। সময়ের সাথে, বেআইনি যৌন কার্যক্রমকে যৌন অপরাধ বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
কিছু আইন এক বা একাধিক অংশগ্রহণকারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে করা হলেও, অনেক ক্ষেত্রেই নির্ধারিত কিছু আচরণকে যৌন অপরাধ বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি অংশগ্রহণকারীদের একজনের কোন যৌনবাহিত রোগ থাকে তবে অন্য অংশগ্রহণকারীর নিরাপত্তার জন্য একটি আইনে অনিরাপদ যৌনমিলনকে; অথবা বিনা-সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যকার সম্পর্ক ইত্যাদির ভিত্তিতে যৌন কর্মকাণ্ডের উপর নির্ভর করে আইন তৈর করা হয়। সাধারণত, সামাজিকভাবে অনুচিত কিংবা নির্দিষ্ট সমাজব্যবস্থার সাথে বেমানান আচরণ অথবা যৌন নির্যাতনের বিরূদ্ধে করা আইনগুলোই যৌন অপরাধ সংক্রান্ত আইনের তালিকায় পড়ে।
যৌন অপরাধ হল মানুষের যৌন আচরণের মাঝে অপরাধ মূলক আচরণ। যে ব্যক্তি যৌন অপরাধ করে থাকে তাকে যৌন অপরাধী বলা হয়। কিছু কিছু যৌন অপরাধ সহিংস আবার কিছু কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন আচরণ। অন্যান্য অপরাধের মাঝে আছে সামাজিক ট্যাবু বা গতানুগতিক ধারণার বিরুদ্ধে আচরণ যেমন অজাচার, সডোমি, প্রদর্শনকামনা ইত্যাদি। সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধের পার্থক্যের ভিত্তিতে কিছু কিছু যৌন আচরণকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এমনকি যৌন অপরাধের শাস্তির মাত্রাও দেশ, জাতি ভেদে ভিন্ন হতে পারে।
সাধারণত, আইনত ভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্বে বাচ্চাদের সাথে কিংবা কিশোর বয়েসীদের সাথে যৌন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া, অজাচার, পশুর ক্ষতি করা,মৃতদেহের সাথে সংগম ( নিক্রোফিলিয়া), যৌন নির্যাতন, ভয়-ভীতি প্রয়োগে যৌন সম্পর্ক কিংবা সহিংস আচরণ ইত্যাদি যৌন অপরাধ হিসেবে গন্য হয়। আলাদাভাবে এই আইন পর্নগ্রাফির ও অশ্লীলতার সেন্সর করার দায়িত্ব নিয়ে থাকে। ধর্ষণের অভিযোগ শুধুমাত্র তখনই গ্রহণ করা হয় যখন যেকোন বয়সী ব্যক্তি যৌনকর্মে নিজের সম্মতি দেয় না।
এই কর্মকাণ্ডগুলো সাধারণত শর্তস্বাপেক্ষে আইনবিরোধী এবং অপরাধ হিসেবে মানা হয়। তবে প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণকারীদের সম্মতি থাকার ভিত্তিতে কিছু কিছু কর্মকাণ্ড রোল-প্লে হিসেবে গণ্য হয়।
যৌন আচরণের ক্ষেত্রে সাধারণত "সম্মতি প্রদানের বয়স"[১] যৌন কর্মকাণ্ডে আইনগতভাবে অংশ নেয়ার বয়সকে মানা হয়। সম্মতি প্রদানের বয়স কোনভাবেই বিবাহযোগ্য বয়সের সাথে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
বিভিন্ন আইনে "সম্মতি প্রদানের বয়স" বিভিন্ন রকমের। তবে গড়ে ১৬ থেলে ২১ বছর বয়সকে "সম্মতি প্রদানের" বয়স বলে মানা হয়ে থাকে। আবার মানসিক বয়স যদি সম্মতি প্রদানের উপযোগী না হয়ে থাকে, তাহলে ফাংশনাল বয়স বিবেচনায় আনা হয় না। অর্থাৎ, ফাংশনাল এবং মানসিক উভয় বয়সি এক্ষেত্রে বিবেচনায় নেয়া হয়।[২][৩]
অনেক দেশেই সমকামিতা বেআইনি। বাংলাদেশে ৩৭৭ ধারার ব্যাখ্যায় পায়ুসঙ্গমজনিত যে কোন যৌথ যৌন কার্যকলাপকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একারণে, পরস্পর সম্মতিক্রমে বিপরীতকামী মুখকাম ও পায়ুমৈথুনও উক্ত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে। ২০১৩ সালে সমকামিতাকে অবৈধ ঘোষণা করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ।[৪] ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সমকামিতাকে অপ্রাকৃতিক বলেছে ।[৫][৬] বর্তমানে সমকামীদের সাজা ওই ৩৭৭ দণ্ড বিধি অনুযায়ী প্রচলিত।[৭]
অজাচার হলো ঘনিষ্ঠ রক্তীয় সম্পর্ক আছে এমন আত্মীয়ের সঙ্গে যৌনকর্ম বা যৌনসঙ্গম[৮][৯]। সাধারণত অজাচার তিনটি যৌনসম্পর্কে ইঙ্গিত করে; যথা: কন্যার সঙ্গে পিতার, পুত্রের সঙ্গে মাতার এবং বোনের সঙ্গে ভাইয়ের যৌনকর্ম বা যৌনসঙ্গম। সকল প্রধান ধর্মে অজাচার নিষিদ্ধ ও গর্হিত হিসাবে ধীকৃত।
সৌদি আরব, পাকিস্তান[১০], আফগানিস্তান[১১][১২], কাতার[১৩], মৌরিতানিয়া[১৪], সংযুক্ত আরব আমিরাত[১৫][১৬], সুদান[১৭], ইয়েমেন[১৮], ওমান[১৯], মরক্কো[২০], মালদ্বীপ[২১], কুয়েত ও ইরানে[২২] ব্যভিচার অপরাধ হিসেবে গণ্য।
|কর্ম=
এবং |সংবাদপত্র=
উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)একের অধিক |work=
এবং |newspaper=
উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
|কর্ম=
এবং |সংবাদপত্র=
উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)একের অধিক |work=
এবং |newspaper=
উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)
|কর্ম=
এবং |সংবাদপত্র=
উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)একের অধিক |work=
এবং |newspaper=
উল্লেখ করা হয়েছে (সাহায্য)