রংপুর জেলাবাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক ও গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ভাওয়াইয়া গানের আকরভূমি বাংলাদেশের দ্বিতীয় জেলা রংপুর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৭৬৫ সালে এবং বর্তমান রংপুর শহর ১৬ ডিসেম্বর, ১৭৬৯ সালে রংপুর জেলার বিভাগীয় সদর দপ্তর হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। উপজেলার সংখ্যানুসারে রংপুর বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা।[২] ৭০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক বাহক বর্তমানে জিআই পণ্য শতরঞ্জি রংপুরের বিখ্যাত বস্তু। এছাড়া, হাড়িভাঙ্গা আম এবং তামাক জন্যও রংপুর বিখ্যাত। রংপুরকে বাহের দেশ বলা হয়।
রংপুর জেলাকে বৃহত্তর বঙ্গপ্লাবন ভূমির অংশ মনে করা হয়। কিন্তু ভূতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর গঠন দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আলাদা। এ জেলার ভূগঠন অতীতে উত্তরাঞ্চল প্রবহমান কয়েকটি নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং ভূকম্পনজনিত ভূমি উত্তোলনের সাথে জড়িত। তিস্তা নদীর আদি গতিপথ পরিবর্তন ছিল রংপুর জেলার ভূমি গঠনের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তা নদী ১৭৮৭ সালের পূর্বে গঙ্গানদীর একটি উপনদী ছিল। তিস্তা সিকিম বা হিমালয়ে পরিচিত রাংগু ১৭৮৭ সাল পর্যন্ত দিনাজপুর জেলার নিকট আত্রাই এর সাথে মিলিত হয়ে নিম্ন গঙ্গা নদীতে পতিত হতো। ১৮শ শতকে তিস্তা, আত্রাই নদীর পথ ধরে গঙ্গা ও বিছিন্ন কিছু খাল বিলের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্র, উভয় কিছু নদীর সাথে ঋতু ভিত্তিক সংযোগ করত। অপর নদী ধরলাতিস্তা থেকে নিম্ন হিমালয় অঞ্চল বৃহত্তর রংপুর জেলার পূর্ব দিক দিয়ে (বর্তমান কুড়িগ্রাম) ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়েছে। ঘাঘট এ জেলার অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ নদ । ঘাঘট তিস্তার গর্ভ থেকে উৎপন্ন হয়ে রংপুর জেলার মধ্য দিয়ে দক্ষিণে গাইবান্ধা জেলা অতিক্রম করে করতোয়া নদীতে পতিত হয়। আত্রাই নদী এ সময় করতোয়া ও গঙ্গার মধ্যে সংযোগ রক্ষা করত।
নামকরণের ক্ষেত্রে লোকমুখে প্রচলিত আছে যে পূর্বের ‘রঙ্গপুর’ থেকেই কালক্রমে এই নামটি এসেছে। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে উপমহাদেশে ইংরেজরা নীলের চাষ শুরু করে। এই অঞ্চলে মাটি উর্বর হবার কারণে এখানে প্রচুর নীলের চাষ হত। সেই নীলকে স্থানীয় লোকজন রঙ্গ নামেই জানত। কালের বিবর্তনে সেই রঙ্গ থেকে রঙ্গপুর এবং তা থেকেই আজকের রংপুর। অপর একটি প্রচলিত ধারণা থেকে জানা যায় যে রংপুর জেলার পূর্বনাম রঙ্গপুর। প্রাগ জ্যোতিস্বর নরের পুত্র ভগদত্তের রঙ্গমহল এর নামকরণ থেকে এই রঙ্গপুর নামটি আসে। রংপুর জেলার অপর নাম জঙ্গপুর । ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব থাকায় কেউ কেউ এই জেলাকে যমপুর বলেও ডাকত। তবে রংপুর জেলা সুদূর অতীত থেকে আন্দোলন প্রতিরোধের মূল ঘাঁটি ছিল। তাই জঙ্গপুর নামকেই রংপুরের আদি নাম হিসেবে ধরা হয়। জঙ্গ অর্থ যুদ্ধ, পুর অর্থ নগর বা শহর। গ্রাম থেকে আগত মানুষ প্রায়ই ইংরেজদের অত্যাচারে নিহত হত বা ম্যালেরিয়ায় মারা যেত। তাই সাধারণ মানুষ শহরে আসতে ভয় পেত। সুদূর অতীতে রংপুর জেলা যে রণভূমি ছিল তা সন্দেহাতীত ভাবেই বলা যায়। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগে এ জেলায় কৃষক আন্দোলন যে ভাবে বিকাশ লাভ করে ছিল তার কারণে রংপুরকে লাল রংপুর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।
রংপুর অঞ্চলকে তামাকের জন্য বিখ্যাত বলা হয়। এখানে উৎপাদিত তামাক দিয়ে সারা দেশের চাহিদা মেটানো হয়। রংপুরে প্রচুর পরিমাণ ধান-পাট-আলু ও হাড়িভাঙ্গা আম উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয় বাজার তথা সারাদেশের বাজারে সমান হারে সমাদৃত। তাছাড়াও সম্মিলিত খামার গড়ে উঠছে যা অর্থনীতিতে ব্যাপক হারে প্রভাব ফেলছে। এছাড়া ৭০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক বাহক বর্তমানে জিআই পণ্য শতরঞ্চি এর রংপুর মুঘল আমল থেকে বিখ্যাত।
রংপুর জেলার কেল্লাবন্দ নামক স্থানে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠেছে। সেখানে বিভিন্ন ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো হল-
আর.এফ.এল (রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড)
প্রাইম পুষ্টি লিমিটেড (সামুদা গ্রুপ)
মিল্ক ভিটা বাংলাদেশ
আরডি মিল্ক
বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজ
প্রাণ
কনফিডেন্স পাওয়ার রংপুর লিমিটেড
এছাড়া হারাগাছ নামক স্থানে বিড়ি (সিগারেট) তৈরির একাধিক কারখানা রয়েছে। রংপুর শহরের আলম নগর নামক স্থানে আছে আর,কে ফ্যান কারখানা। বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর নামক স্থানে গড়ে উঠেছে শ্যামপুর চিনিকল লিমিটেড এবং রংপুর ডিষ্টিলারিজ এন্ড কেমিক্যাল কোঃ লিঃ। পীরগাছা উপজেলার দেবী চৌধুরাণীতে একটি পাটকল আছে। রংপুরের ৭০০ বছরের ঐতিহ্য শতরঞ্জি বিশ্ব সেরা।
এ অঞ্চলের লোকসংস্কৃতি ও খেলাধুলা অন্য অঞ্চলের খেলার চেয়ে স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য ও ঐতিহ্য ধারণ করে।[৪]এ অঞ্চলের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার সাথে জড়িয়ে আছে যে খেলাগুলোর তার মধ্যে অন্যতম হল- হাডুডু, কাবাডি (কাপাটি), লাঠি খেলা, দাঁড়িয়া বান্ধা, গোল্লাছুট, এক্কা-দোক্কা, বউ-ছুট, লুকোচুরি, চেংকুডারা বা চেংগু-পেন্টি (বলা যায় বর্তমান ক্রিকেটের এ দেশীয় আদিরূপ), তরবারি খেলা, পাতা খেলা, গুড্ডি বা ঘুড়ি উড়ানো খেলা, কেরাম খেলা, নৌকাবাইচ, ঘোড়দৌড়, ফুটবল, আটকোটা, উরূণ-গাইন, লুডু, পিংপং, পিন্টু-পিন্টু, লুকোচুরি প্রভৃতি। নিজস্ব ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এই খেলাগুলো এ অঞ্চলের মানুষের একদা শরীর চর্চা ও আনন্দ বিনোদনের মাধ্যম ছিল। অবশ্য এখন আধুনিক খেলাধুলার মধ্যে প্রচলিত ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল, টেনিস, ক্রিকেট, মার্শাল আর্ট প্রভৃতির চর্চাই বেড়েছে অনেক বেশি। এগুলোর অধিকাংশই শহর কেন্দ্রিক। এ জনপদে অধিকাংশ মেলায় জুয়া খেলার অস্তিত্ব লক্ষ করা যায়। জুয়া নির্দিষ্ট একটি খেলার নাম নয়, যে খেলাটি বাজি ধরে খেলা হয় এবং বিনিময়ে আর্থিক সুবিধা লাভ করা যায় তাকেই বাজী যা স্থানীয়ভাবে জুয়া খেলা বলা হয়। এ খেলাটি মেলার সময় ব্যাপক রূপ পায়। সাধারণত যে বিষয়গুলি আমাদের কাছে আদিকাল থেকে জুয়া হিসেবে দৃশ্যমান সেগুলো হচ্ছে তাসখেলা, চুড়ি খেলা, ডাব্বু খেলা, পাশা খেলা, হালের হাউজি খেলা প্রভৃতি। এ খেলাগুলো বিনোদন অপেক্ষা পারিবারিক ও অর্থনৈতিক বৈকল্য সৃজনে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। মেলায় খেলাধুলা ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে যারমধ্যে লোক নৃত্য, ভাওয়াইয়া, আধূনিক, রবীন্দ্র নজরুল সঙ্গীত প্রভৃতি লক্ষ করা যায়। এখানে জারি গান, পুঁথি, যাত্রা, পালাগান, কুশানগান, সার্কাস, পুতুলনাচ প্রভৃতি দৃশ্যমান।[৫][৬][৭][৮]রংপুর এমন একটি অঞ্চল যে জায়গার মানুষের রয়েছে স্বতন্ত্র ঐতিহ্যবাহী খেলা। যা গ্রামাঞ্চলের ছোট বড় সবাই খেলে আনন্দ উপভোগ করে। এই খেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্ঞানবিকাশের ক্ষেত্র। নিচে এই খেলাগুলোর নাম ও পরিচয় দেয়া হলো :
বৌ-ছি : কয়েকজন মেয়ে একত্রে মিলে একজনকে বৌ বানায়ে এই খেলা খেলে। বৌ-কে ধরা বা ছোঁয়ার মধ্যে জয় পরাজয় হয়।
গোল্লা ছুট : একে ছুট গোল্লা খেলাও বলা হয়। ছেলেরা দু’দলে ভাগ হয়। একদল লম্বাভাবে দাঁড়ায়ে বাঁধার দেয়াল তৈরী করে; অপর দল একটি কেন্দ্রে একজনকে বুড়ি বানায়ে অন্যরা দৌঁড়ে প্রতিপক্ষের দেয়াল পার হতে ধরে। এভাবে সুযোগমত বুড়ি দেয়াল পার হলে বিজয় হয়। আর বুড়িকে ছুঁতে পারলে পরাজয় হয়। একে বুড়ি খেলাও বলা হয়।
গাদন: খেলোয়াড়ের সংখ্যা অনুযায়ী মাটিতে ঘর তৈরী করে এই খেলা হয়। একদল একটি ঘরে থাকে এবং অন্যদল প্রতিটি ঘরে বাঁধার দেয়াল তৈরী করে। দেয়াল পার হতে পারলে বিজয় হয়। আর প্রতিপক্ষ কাউকে ছুঁতে পারলে পরাজয় হয়।
কড়ি খেলা : কড়ি বা পাটকাটি দিয়ে এই খেলা হয়। মোট ৪ জনে খেলতে হয়। ইহা প্রায় লুডু খেলার মত।
খোলাপাট্টি : কতিপয় খোলা একটির উপর একটি দিয়ে সাঁজায়ে উঁচু করতে হয়। এর চতুর্দিকে প্রতিপক্ষ দাঁড়ায়ে থাকে। একজন একটি বল দিয়ে এই খোলাকে ঢিল দিয়ে ভাঙ্গাতে চেষ্টা করে। বলটি ধরে প্রতিপক্ষ নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে ফেলে। এই বল দিয়ে ঢিল ছুঁড়া দলের কাউকে ঢিল দিতে পারলে বিজয় হয়।
চ্যাংকুপ্যান্টি: বাঁশের কঞ্চি কেঁটে একটি বড় (যাকে প্যান্টি বলা হয় ) ও একটি ছোট (যাকে চ্যাংকু বলা হয়) করে খেলা হয়। একদল মাটিতে গর্ত খুঁড়ে তাতে চ্যাংকু রেখে প্যান্টি দিয়ে চ্যাংকুকে ডাঙ দিয়ে উড়ায়ে দেয়। ইহা প্রতিপক্ষের কঞ্চি বা ঝাড়ে লাগলে পরাজয়; আর না লাগলে চ্যাংকুটিকে গর্ত বরাবর ঢিল দেয়। প্যান্টির চেয়ে কম দূরত্বে চ্যাংকু পরলে সে খেলোয়াড় আউট হয়। আর প্যান্টি দিয়ে চ্যাংকুকে আঘাত করতে পারলে বা প্যান্টির মাপের চেয়ে বেশি দূরত্বে পরলে খেলা চলতে থাকে।
হাতা-পাতা-হা-হা : দু’জন সামনা সামনি দাঁড়ায়ে হাত দিয়ে একে অপরকে আঘাত করতে থাকে আর বলে-হাতাপাতা হা-হা/কাক ডাকে কা-কা। আর অন্যান্যরা হাতের নিচ দিয়ে চলতে থাকে।
ধাপরিবেছন : এই খেলাটি শিশুরা বিছানায় হাত রেখে খেলায়। আর বলে, ধাপরি বেছন ধাপরি বেছন/তার তলে নেওছা বেছন।
চকচ্ছাল/পাইত: এই খেলা দু’টি মাটিতে দাগ দিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক গুটি দিয়ে খেলে হয়।
মারবেল খেলা: মাটিতে মারবেল ছুঁরে দিয়ে এই খেলা হয়।
কয়া (আঁটি) খেলা : আমের কয়া দিয়ে মাটিতে গোল দাগ দিয়ে কয়া দিয়ে কয়াকে মেরে খেলা হয়।
গোলা খেলা: মাটিতে ১২টি ছোট গর্ত খুঁড়ে তাতে নিম গাছের ফল দিয়ে খেলা হয়।
বাক্বকরি খেলা : মাটিতে আড়াআড়ি দাগ টেনে খেলা হয়।
ফুল খেলা : পাথরের টুকরা বা ইটের খোয়া দিয়ে মেয়েরা খেলে। খেলার সময় বলে-ফুল ফুল ফুলটি/একে দোলটি/সুরুশাম সুরুশাম সুরুশামটি/একে জোড় সুরুশামটি। একে তেলটি।
হাড়ি খেলা : ছেলে-মেয়েরা পুকুরে ডুব দিয়ে এই খেলা খেলে।
কিত্কিত্ খেলা : মেয়েরা মাটিতে আয়তাকারে কয়েকটি দাগ টেনে পা দিয়ে একটি ছোট খোলাকে আঘাত করে খেলে; আর বলে কিত্কিত্কিত্।
পানপাতা খেলা : পান পাতার মত মাটিতে দাগ টেনে একটি ছোট খোলা দিয়ে খেলা হয়। আর বলতে থাকে পানপাতা হা হা।
ধুলাপাট্টি খেলা : ধুলা দিয়ে একটি ছোট আইল তৈরী করে এর ভিতরে একটি ছোট্ট কুটা লুকিয়ে রেখে দু’হাত একত্র করে কুটাটিকে ধরার জন্য মাটিতে হাত রেখে খেলা হয়।
এমনিভাবে আরও কিছু খেলা দেখা যায় যেমন-হাড়িভাঙ্গা, আমশু-বাঘাশু, হাতেকোচে, রুমালখেলা, টিলা খেলা ইত্যাদি। এই সব আঞ্চলিক খেলা ছাড়াও ফুটবল, কাবাডি, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেট, ভলিবল, সাঁতার, দীর্ঘ জাম্প, হাই জাম্প, সুঁই-সুতা, বিস্কুট দৌঁড় ইত্যাদি খেলা প্রচলিত আছে।[৯]
ফকিরবাড়ি, মিঠাপুকুর (ফকিরবিদ্রোহের মহানায়ক ফকির মজনু শাহ্-এর বংশধরদের ঐতিহ্যবাহী আবাসস্থল ও দেশের প্রথম পল্লী জাদুঘর)।
শতাব্দী প্রাচীন কুতুব্বস চৌধুরী-বাড়ি জামে মসজিদ, দেবী চৌধুরাণী, পীরগাছা।
মিঠাপুকুর শালবন
মিঠাপুকুর উপজেলার রানিপুকুর ও লতিবপুর ইউনিয়নের নিঝাল, ভিকনপুর, মামুদপুর তিন গ্রামের সীমানায় অবস্থিত মোঘল আমলের "নির্মিত তনকা মসজিদ"। একই উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের ফুলচৌকির মোঘল আমলের নির্মিত মসজিদ, সুড়ুং পথ, শালবনের ভিতরের মন্দির, সহ অনেক পুরাতন স্থাপনা আছে এই গ্রামে।
শিক্ষা ব্যবস্থার দিক থেকে রংপুর জেলা প্রাচীন কাল থেকেই বাংলাদেশের একটি অন্যতম জেলা। এখানে গড়ে উঠেছে অনেক প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই জেলায় ২৮২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭২২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৯৩টি বেসরকারী সংস্থা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বিদ্যালয় এবং ৩২০টি মাদ্রাসা। তার মধ্যে অনতম্য হল:
রংপুর বিভাগ এর মধ্যে রয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এটি একটি পূনাঙ্গ সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ, যা ১৯৬৯ সালে স্থাপিত হয়। এছাড়াও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে রয়েছে মা ও শিশু হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও রংপুর সদর হাসপাতাল যা কলেরা হাসপাতাল নামেও পরিচিত। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টিয়ান মিশনারি হাসপাতাল, রংপুর ডেন্টাল কলেজ, প্রাইম মেডিকেল কলেজ, ডক্টরস ক্লিনিক এবং কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ।
নূরলদীন বা নুরুল উদ্দীন (মৃত্যু- ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৭৮৩) হলেন কৃষক বিদ্রোহের নেতা। তিনি ইংরেজ বেনিয়াদের নিষ্ঠুর শাসন ও তাদের সহযোগী দেবী সিংহ ও অন্যান্য জমিদারদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলে পরিচিতি পান।
রংপুর জেলার বধ্যভূমির তালিকা মুক্তি যুদ্ধর সময় রংপুর ৬ নং সেক্টর ছিল এখানকার সেক্টর আধিনায়ক ছিল উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার।এখানকার প্রথম শহিদ শংকু সমজদার।
↑বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (২৭ জুন ২০১৮)। "একনজরে রংপুর জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৮।