রজঃস্রাব স্বাস্থ্যবিধি দিবস | |
---|---|
![]() | |
অন্য নাম | এমএইচডি, বা এমএইপ ডে |
পালনকারী | বিশ্বব্যাপী জনগণে |
তাৎপর্য | ঋতুস্রাব সম্পর্কে প্রচলিত ধ্যানধারণার পরিবর্তন ও বিশ্বব্যাপী ভাল রজঃস্রাব স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি |
তারিখ | ২৮ মে |
সংঘটন | বার্ষিক |
সর্বপ্রথম | ২৮ মে ২০১৪ |
সম্পর্কিত | বৈশ্বয়িক হাতধোয়া দিবস |
রজঃস্রাব স্বাস্থ্যবিধি দিবস (সংক্ষেপে: এমএইচডি, বা এমএইপ ডে) হলো মাসিক রজঃস্রাব বা ঋতুচক্র কালীন স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পালিত একটি দিবস। ২০১৪ সালে জার্মানি ভিত্তিক এনজিও ওয়াশ ইউনাইটেড কর্তৃক বিশ্বব্যাপী নারী এবং মেয়েদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য শুরু হয়েছিলো এই দিবসের। রজঃচক্র গড়ে প্রতি ২৮ দিন পর পর ঘটার ফলে ২৮ তারিখটিকে গ্রহণ করা হয় দিবসটি পালনের জন্য।[১] নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে ঋতুকালীন স্বাস্থ্যবিধির উপকরণগুলি নারীরা আর্থিক সামর্থ্য, প্রাপ্যতা এবং সামাজিক নিয়মাবলীর কারণে সীমিত ভাবে পেয়ে থাকে।[২][৩] গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিদ্যালয়গুলোতে রজঃচক্রের সময় স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনার পণ্যগুলির সহজলভ্যতা না থাকার কারণে প্রতি মাসে মেয়েরা বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়।[৪]
পরিষ্কার জল বা পানি ও প্রক্ষালনের সুবন্দোবস্ত না থাকায় ঋতুচক্র চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপনা উন্নয়নশীল দেশের নারীদের জন্য বিশেষ সমস্যাজনক হয়। উপরন্তু, ঐতিহ্যগত সংস্কৃতির কারণে এই সম্পর্কিত আলোচনা খোলাখুলিভাবে করাও তাদের জন্যে কঠিন হয় বলে নারী ও কিশোরীদের নিজস্ব শরীরবৃত্তীয় স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আহরণকে সীমিত করে যা সরাসরি তাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং মর্যাদাকে প্রভাবিত করে; অথচ, তথ্য লাভের অধিকারকে মানবাধিকারের একটি পরিমাপক হিসাবে বিবেচনা হয়।[৫][৬]
২০১২ সালে জনস্বাস্থ্যের সাথে জড়িত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন রজঃ সম্পর্কিত নীরবতা ভাঙ্গা শুরু করে এবং বিশ্বব্যাপী এই বিষয়টিতে মনোযোগ দেয়, যার মধ্যে তৃণমূল সংগঠক, সামাজিক উদ্যোক্তা এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলিও রয়েছে।[৫]