ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রডনি ম্যালকম হগ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া | ৫ মার্চ ১৯৫১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ফাস্ট বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৯৭) | ১ ডিসেম্বর ১৯৭৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ ডিসেম্বর ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৫৩) | ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৯ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩ মার্চ ১৯৮৫ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৫–১৯৭৬,১৯৮৩–১৯৮৪ | দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৪–১৯৮৫ | ভিক্টোরিয়ান বুশর্যাঞ্জার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ১১ মার্চ ২০১৭ |
রডনি ম্যালকম হগ (ইংরেজি: Rodney Hogg; জন্ম: ৫ মার্চ, ১৯৫১) মেলবোর্নে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভিক্টোরীয়, দক্ষিণ অস্ট্রেলীয় ও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়ান বুশর্যাঞ্জার্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[১] দলে তিনি মূলতঃ ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ৩৮টি টেস্ট ও ৭১টি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন রডনি হগ। টেস্টে ২৮.৪৭ গড়ে ১২৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
শৈশবকাল থেকেই হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হন যা তার পুরো খেলোয়াড়ি জীবনে বহমান ছিল।[২] শুরুতে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। পরবর্তীকালে আক্রমণধর্মী ফাস্ট বোলিংয়ের দিকে ধাবিত হন। ১৯৭২-৭৩ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ান কোল্টসের প্রতিনিধিত্ব করেন।[৩]
ভিক্টোরিয়া দলের পক্ষে খেলার সুযোগ না থাকায় দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় স্থানান্তরিত হন। সেখানে ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে খেলোয়াড়ী জীবন শুরু করেন তিনি।
১৯৭৭-৭৮ মৌসুমের গ্রীষ্মকাল থেকে ১৯৭৯ সালের ভারত সফর পর্যন্ত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট ব্যাপকভাবে দূর্বলতম দলে পরিণত হয়েছিল। এ সময়ে অনুষ্ঠিত বিশ্ব সিরিজ কাপে অধিকাংশ শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড় যোগ দিয়েছিলেন।
নিজ দেশে অনুষ্ঠিত ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে।[৪] এ সিরিজে তিনি চমকপ্রদ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। ছয় টেস্টের ঐ সিরিজে ১২.৮৫ গড়ে ৪১ উইকেট দখল করেন তিনি। সিরিজে তার ৪১ উইকেট লাভ অস্ট্রেলীয় রেকর্ড ছিল যা পরবর্তীকালে টেরি অল্ডারম্যান ৪২ উইকেট নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছিলেন।[৫] এছাড়াও জানুয়ারি, ২০১৭ সালে পর্যন্ত যে-কোনো সিরিজে উইকেট সংগ্রহে যৌথভাবে পঞ্চম সেরা অবস্থানে রয়েছেন তিনি।[৬] তন্মধ্যে অভিষেক ঘটা প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তিনি ছয় উইকেট তুলে নেন।
পরবর্তীতে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রত্যেক টেস্টেই খেলেছেন তিনি। বিশ্বসিরিজ ক্রিকেট কাপ চলাকালীন ১৪ টেস্ট খেলেছেন তিনি।
১৯৭৯ সালের ব্যাঙ্গালোরে অনুষ্ঠিত ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেই সংঘটিত ঘটনায় নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। ছয় ওভারের ব্যবধানে ১১বার নো-বল করার পর হগ বিমার ছোড়েন, স্ট্যাম্পে লাথি মারেন ও মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেন। দলীয় অধিনায়ক কিম হিউজ আম্পায়ারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন এবং হগও তার কৃতকর্মের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন।
বিশ্ব সিরিজ কাপ শেষে নিয়মিত খেলোয়াড়গণ ফিরে আসলে ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত আরও ২৪ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে অনুষ্ঠিত ম্যাকডোনাল্ডস কাপের সেমিফাইনালে ১/১০ লাভ করেন ও দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়াকে জয়লাভে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।[৭] ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে হগ জাতীয় দলের সহঃ অধিনায়কের দায়িত্ব পান। কিন্তু কিম হিউজ অধিনায়কত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। উভয়েই দক্ষিণ আফ্রিকায় নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম থেকে ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম পর্যন্ত দুইবার বিদ্রোহী দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ভিক্টোরীয় দলের কোচ ডেভিড হুকসের সাথে একত্রে কাজ করেন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে ভিক্টোরিয়া দলের নির্বাচকমণ্ডলীর দায়িত্বে ছিলেন। ‘দ্য হোল হগ’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করেন। এতে তিনি সাবেক ইংরেজ দলনায়ক মাইক ব্রিয়ারলিকে জনগণের হৃদয়ধারকরূপে আখ্যায়িত করেন।
১৯৭৯ সালে শেন ওয়ার্নের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটলে দ্য ট্রুথে শেন ওয়ার্নের ১০০ টেস্ট ও ৫০০ উইকেট লাভের বিষয়ে ভবিষৎবাণী কলাম আকারে লেখেন।[৮][৯] এ কলাম লেখার অল্পকাল পরই তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি পান। কিন্তু তার এ ভবিষৎবাণীকে সত্যি প্রমাণিত করে পরবর্তীকালে ওয়ার্ন ১৪৫ টেস্টে ৭০৮ উইকেট দখল করেছিলেন।
অস্ট্রেলিয়ায় তিনি চ্যানেল সেভেনে নিয়মিতভাবে ধারাভাষ্য দিয়ে আসছেন। এছাড়াও ২০০১ সালে থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা দিচ্ছেন।