রত্নাকর বর্ণি ছিলেন ষোড়শ শতাব্দীর এক কন্নড় কবি ও লেখক।[১] তাঁকে অধুনা কর্ণাটক ভূখণ্ডে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজত্বকালে কন্নড় সাহিত্যে জনপ্রিয়তা লাভকারী স্থানীয় ‘ষট্পদী’ (ছয় চরণের কবিতা) ও ‘সাঙ্গত্য’ (বাদ্যযন্ত্র সহযোগে গেয় গীতিকবিতা) ছন্দের অন্যতম অগ্রণী কবি মনে করে হয়। রত্নাকর বর্ণির সর্বাপেক্ষা খ্যাতনামা কাহিনিটি হল ভরতেশ বৈভব বা ভরতেশ্বর চরিতে, যা জৈন রাজপুত্র ভরতের উপাখ্যান। জানা যায় যে, রত্নাকর বর্ণি ছিলেন সমস্যাদীর্ণ ও অশান্ত ব্যক্তিত্ব। কথিত আছে, এক অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী কবি তাঁর চেয়ে উচ্চ মর্যাদায় আসীন হলে রত্নাকর বর্ণি জৈনধর্ম ত্যাগ করে বীরশৈবধর্ম গ্রহণ করেন। এই স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি দ্বাদশ শতাব্দীর সমাজ সংস্কারক বসবের জীবনী বসবপুরাণ রচনা করেন। পরে তিনি পুনরায় জৈনধর্ম গ্রহণ করেন এবং ‘শতক’ ছন্দে (একশোটি কবিতার গুচ্ছ) ধ্রুপদি কাব্য রচনা করেন।[২].[৩] কন্নড় সাহিত্যে তাঁর অবদানকে দিকনির্দেশক জ্ঞান করা হয়।