![]() ২০১১ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে রব কুইনি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রবার্ট জন কুইনি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ব্রাইটন, ভিক্টোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া | ২০ আগস্ট ১৯৮২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ববি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ১.৯৩ মিটার (৬ ফুট ৪ ইঞ্চি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪২৯) | ৯ নভেম্বর ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২২ নভেম্বর ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬ - ২০১৭ | ভিক্টোরিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯ | রাজস্থান রয়্যালস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ - ২০১৮ | মেলবোর্ন স্টার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | এসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
রবার্ট জন কুইনি (ইংরেজি: Rob Quiney; জন্ম: ২০ আগস্ট, ১৯৮২) ভিক্টোরিয়ায় ব্রাইটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১০-এর দশকের শুরুরদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড, মেলবোর্ন স্টার্স ও ভিক্টোরিয়া এবং ভারতীয় ক্রিকেটে রাজস্থান রয়্যালস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।[১] দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘ববি’ ডাকনামে ও রবার্ট কুইনি নামে পরিচিত রব কুইনি।
২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত রব কুইনি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ২০০৫ সালে ভিক্টোরিয়া দলের পক্ষে প্রথমবারের মতো খেলার জন্যে রব কুইনিকে ডাকা হয়। সম্ভবতঃ রব কুইনি’র ন্যায় তার রাজ্য দলের অন্য কোন খেলোয়াড়ই প্রবল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অভিষেক ঘটার সুযোগ পাননি। আইসিসি সুপার সিরিজে বিশ্ব একাদশ দলের বিপক্ষে সীমিত ওভারের প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নেন তিনি।
অক্টোবর, ২০০৫ সালে ভিক্টোরিয়ার সদস্যরূপে মেলবোর্নের জাঙ্কশন ওভালে আইসিসি বিশ্ব একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশ নেয়ার সৌভাগ্য হয় তার। শোয়েব আখতার, শন পোলক, মুত্তিয়া মুরালিধরন, ড্যানিয়েল ভেট্টোরি ও মাখায়া এনটিনি’র ন্যায় বিশ্বমানের বোলিং আক্রমণ মোকাবেলা করার মুখোমুখি হন। তবে, ঐ খেলায় তিনি খুবই কম সময় অবস্থান করে ৩ রানে রান আউটের শিকার হন।
২০০৬-০৭ মৌসুমে আন্তঃরাজ্যীয় সীমিত ওভারের খেলায় ভিক্টোরিয়া দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা পান। হোবার্টে তাসমানিয়ার বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।[২] একই মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ৫৭ বলে ৮৯ রানের দূর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন। এ পর্যায়ে তিনি ব্রেট লি’র বিপক্ষে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হন। পুণঃপুণঃ হুক ও পুলের মারে বাউন্ডারি হাঁকান। শুরুতে তাকে ক্ষুদ্রতর সংস্করণের উপযোগী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২০০৯ সালে রাজস্থান রয়্যালসের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। নিউজিল্যান্ড সফরে অস্ট্রেলিয়ার টুয়েন্টি২০ দলে তাকে রাখা হয়। তবে, প্রথম একাদশে তাকে খেলানো হয়নি।
২০০৭-০৮ মৌসুমে রব কুইনি আন্তঃরাজ্যীয় পর্যায়ের সকল স্তরের ক্রিকেটে নিয়মিতভাবে খেলতে শুরু করেন। ভিক্টোরিয়ার পক্ষে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। বিশেষ করে এমসিজিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে ফোর্ড র্যাঞ্জার কাপ প্রতিযোগিতায় ৫৭ বলে ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরপর, হোবার্ট ও মেলবোর্নে তাসমানিয়ার বিপক্ষে ৯৫ বল ৭৮ রান ও ৭৬ বলে ৬৫ রান করেন। ২০১০-১১ মৌসুমে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় তাসমানিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অর্ধ-শতক ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১০২ রান তুলেন। এ শতরানটি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার তৃতীয় শতক ছিল। তাসত্ত্বেও, ভিক্টোরিয়া দলকে এমসিজিতে তিন বছরের মধ্যে শেফিল্ড শিল্ডে প্রথম পরাজয়বরণ থেকে আটকাতে পারেননি। ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সালে অ্যাডিলেড ওভালে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় ১১৪ ও ১১৯ রান তুলেন।[৩]
বেশ প্রতিভাধর বামহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিকেটের সকল স্তরে নিজেকে মেলে ধরেন। ২০১০-১১ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডে ৪২.৫৮ গড়ে রান সংগ্রহ করেন। ২০১১ সালে রব কুইনিকে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ঘরোয়া খেলোয়াড়ের মর্যাদায় ভূষিত করা হয়। এরফলে, ভিক্টোরিয়ার পক্ষে দ্বিতীয়বার বিল লরি পদক প্রদান করা হয়।[১] এরপর, পরবর্তী গ্রীষ্মে ৪৯.৩৬ গড়ে ৯৩৮ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে, ২০১২ সালে নৈশকালীন অ্যালান বর্ডার পদক বিতরণী অনুষ্ঠানে তাকে বর্ষসেরা ঘরোয়া খেলোয়াড় হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রব কুইনি। সবগুলো টেস্টই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। ৯ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে ব্রিসবেনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২২ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে অ্যাডিলেডে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
কুইনি তার স্বভাবসূলভ ও উইকেটের সর্বত্র রান সংগ্রহের কারণে অস্ট্রেলিয়ার দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষমতা দেখান। ২০১১-১২ মৌসুমে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে খেলার পর ও অস্ট্রেলিয়া এ-দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকান একাদশের বিপক্ষে দূর্দান্ত ইনিংস খেলার সুবাদে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নভেম্বর, ২০১২ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া এ-দলের সদস্যরূপে সফররত দলটির বিপক্ষে ৮৫ রান তুলেন। এরফলে, আঘাতপ্রাপ্ত শেন ওয়াটসনের পরিবর্তে প্রথম টেস্ট খেলার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
২০১২-১৩ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা দল অস্ট্রেলিয়া গমন করে। নভেম্বর, ২০১২ সালে ব্রিসবেনে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান শেন ওয়াটসনের আঘাতপ্রাপ্তির ফলেই তিনি এ সুযোগ পান। ডেল স্টেইন ও মরনে মরকেলের ন্যায় বিখ্যাত বোলারদের মোকাবেলা করে নয় রানে বিদেয় নেন। এরপর, পরবর্তী দুই ইনিংসে তিনি উপর্যুপরী শূন্য রানের সন্ধান পান। দুই টেস্ট শেষে মাত্র ৩.০০ গড় নিয়ে দলের বাইরে চলে যান ও শেন ওয়াটসন আরোগ্য লাভ করে দলে ফিরে আসেন। তবে, রিকি পন্টিংয়ের অবসর গ্রহণের কারণে তাকে পুনরায় অস্ট্রেলিয়া একাদশে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়।[৪]
২০১৭-১৮ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ড প্রতিযোগিতায় ভিক্টোরিয়া কর্তৃপক্ষ তার সাথে চুক্তি নবায়ণ করেননি। ফলশ্রুতিতে, আগস্ট, ২০১৭ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে নিজের অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন তিনি।[৫] ২৭ জানুয়ারি, ২০১৮ তারিখে মেলবোর্ন স্টার্সের পক্ষে নিজের শেষ খেলায় অংশগ্রহণ করেন। এটিই তার খেলোয়াড়ী জীবনের সর্বশেষ খেলা ছিল।[৬] এরপর, পেশাদারী পর্যায়ের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তিনি।