রব গন্টলেট (১০ মে ১৯৮৭ – ৯ জানুয়ারি ২০০৯) একজন ইংরেজ অভিযাত্রিক এবং উৎসাহ প্রদানকারী বক্তা। ২০০৬ সালে তিনি সর্বকনিষ্ঠ ব্রিটিশ হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেন।
==শৈশব==গণ্টলেট ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট সাসেক্সের পেটওয়ার্থ অঞ্চলে শৈশব অতিবাহিত করেন। ক্রিস্ট হসপিটালে তিনি শিক্ষা লাভ করেন।[১] স্নাতক হবার পর তিনি স্পেনের বিলবাও থেকে তুরস্কের ইস্নানবুল পর্যন্ত রিচার্ড লিবন নামের এক স্কুল বন্ধুর সাথে সাইক্লিং করেন।
২০০৩ সালে কোনরকম পর্বতারোহণের অভিজ্ঞতা ছাড়াই গন্টলেট এবং তার এক স্কুল সহপাঠীজেমস হুপার মাউন্ট এভারেস্টে উঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।[২] এরপর স্কটল্যান্ড, ফ্রেঞ্চ আল্পসে, পাকিস্তানে এবং নেপালের আমা দাবলামে প্রিশিক্ষণ গ্রহণের পর, ২০০৬ এর ১৭ মে তারা এভারস্ট চূড়ায় সফলভাবে আরোহণ করেন। এর ফলে গন্টলেট সর্বকনিষ্ঠ ব্রিটিশ হিসেবে এভারেস্ট জয়ের গৌরব অর্জন করেন।
৮ এপ্রিল ২০০৭ থেকে ৯ অক্টোবর ২০০৮ পর্যন্ত গন্টলেট এবং হুপার পৃথিবীর উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত ১৮০ ডিগ্রী অভিযান করেন। এ অভিযানে তারা কেবল মনুষ্য ও প্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহার করেন। এর উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সচেতনতা জাগ্রত করা। তারা প্রথমে নিউ ইয়র্কে যান, এরপরে বাইসাইকেলে করে পানামা সিটিতে যান। এরপর ইকুয়েডর থেকে চিলিতে যান। এই অভিযানে তারা ২২,০০০ মেইল অতিক্রম করেন। পরিশেষে তারা ১,৮০০ নটিক্যাল মেইল অত্রিক্রম করে অস্ট্রেলিয়া পৌছেন। এই অভিযান দ্য প্রিন্স ট্রাস্টের জন্য অর্থ সংগ্রহের ব্যাপারে সাহায্য ক্রএ। ২০০৮ এর নভেম্বরে গন্টলেট এবং হুপার ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির অ্যাডভেঞ্চারার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন। ওয়াশিংটন ডি.সির ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির সদর দপ্তরে তারা এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।[৩]
২০০৯ এর ১০ জানুয়ারি সকালে আল্পস পর্বতমালার চ্যামোনিক্স অঞ্চল থেকে রব গন্টলেট এবং তার সহযোগী জেমস অ্যাটকিনসনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পর্বতারোহণ করতে গিয়ে তারা মৃত্যুমুখে পতিত হন। তারা ফ্রান্সে অবকাশ যাপন করছিলেন।