ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রবার্ট জেমস নিকোল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | অকল্যান্ড, অকল্যান্ড অঞ্চল, নিউজিল্যান্ড | ২৮ মে ১৯৮৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ৭ মার্চ ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ মার্চ ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক | ২০ অক্টোবর ২০১১ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৯ জানুয়ারি ২০১৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই অভিষেক (ক্যাপ ৪৪) | ২২ মে ২০১০ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টি২০আই | ২৬ ডিসেম্বর ২০১২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টি২০আই শার্ট নং | ২৮ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০১/০২–২০০৮/০৯; ২০১৩/১৪-বর্তমান | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৯/১০–২০১২/১৩ | ক্যান্টারবারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১২ | গ্লুচেস্টারশায়ার (জার্সি নং ৩৮) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ |
রবার্ট জেমস নিকোল (ইংরেজি: Rob Nicol; জন্ম: ২৮ মে, ১৯৮৩) অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট, লিস্ট এ ও টুয়েন্টি২০ খেলায় অকল্যান্ড ও ক্যান্টারবারির প্রতিনিধিত্ব করেছেন রব নিকোল। এছাড়াও, গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষেও কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে মিডিয়াম ও অফ-ব্রেক বোলিং করতেন।[১] পাশাপাশি ডানহাতে নিচের সারিতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।
সকল স্তরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে খেলেছেন তিনি। তন্মধ্যে ২টি টেস্ট খেলায়ও অংশ নিয়েছেন, যার সবকটিই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
অকল্যান্ডের পক্ষে খেলার মাধ্যমে তার খেলোয়াড়ী জীবন শুরু হয়। দি এইসের পক্ষে ৮ মৌসুম খেলেন। তন্মধ্যে ২০০২-০৩ মৌসুমে ৬০০-এর অধিক রান তোলার মাধ্যমে তার সফল সময় অতিবাহিত হয়। এরপর ২০০৯ সালে ক্যান্টারবারিতে স্থানান্তরিত হন। প্রথম মৌসুমেই ৫০০-এর অধিক রান সংগ্রহ করেন। উইজার্ডসের পক্ষে ব্যাপক সফলতার প্রেক্ষিতে নিউজিল্যান্ড দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। ফলশ্রুতিতে টুয়েন্টি২০ দলে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
২০১১ সালে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। এরপর থেকেই দলে নিয়মিতভাবে খেলছেন তিনি। দল নির্বাচকমণ্ডলীও নিজমাঠে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলার জন্য তাকে অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু শুরুতেই কঠিন বাঁধার মুখোমুখি হন ও মাত্র দুই টেস্টে অংশ নিতে পেরেছেন। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় দলের সদস্য হিসেবে খেলেন।
হার্টফোর্ডশায়ারে হিচিন ক্রিকেট ক্লাবে ২০০৯ ও ২০১০ সালে খেলেন। সারাসেন্স হার্টফোর্ডশায়ার প্রথম বিভাগে মৌসুমের সর্বাধিক রান ও নেবওয়ার্থ পার্ক সিসি’র বিপক্ষে অপরাজিত ২০১ রান তুলে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস গড়েন।
জুলাই, ২০১২ সালে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে সংক্ষিপ্তকালের জন্য খেলেন। তিনি স্বদেশী কেন উইলিয়ামসনের স্থলাভিষিক্ত হন। কোচ জন ব্রেসওয়েলের পরামর্শক্রমে উইলিয়ামসনকে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড দলকে সুসংগঠিত করার উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে আনে ও তরুণ কিউই ক্রিকেটার নিকোলকে অভিজ্ঞতা লাভের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করে।[২]
হারারেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্মরণীয় অভিষেক ঘটে। ২৩২ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় নিকোল ও মার্টিন গাপটিলকে ব্যাটিং উদ্বোধনে প্রেরণ করলে তারা মাত্র ৬ ওভারে ৫০ রান তুলেন। এরপর ১১ চার সহযোগে অপরাজিত ১০৮ রানের চমকপ্রদ ইনিংস উপহার দেন তিনি।[৩] এরফলে বিশ্বের সপ্তম ব্যাটসম্যান ও একই খেলায় সতীর্থ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিলের পর দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ডীয় হিসেবে ওডিআই অভিষেকে সেঞ্চুরি করার বিরল কীর্তিগাঁথা রচনা করেন। তার পূর্বে ডেনিস অ্যামিস, ডেসমন্ড হেইন্স, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, সেলিম ইলাহি, মার্টিন গাপটিল ও কলিন ইনগ্রাম এ কৃতিত্বের অধিকারী।[৪] খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান ও অভিষেকে ৫০তম ক্রিকেটার হিসেবে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।