রবার্ট ডব্লিউ হোলি | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | রবার্ট উইলিয়াম হোলি ২৮ জানুয়ারি ১৯২২ |
মৃত্যু | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩ | (বয়স ৭১)
জাতীয়তা | আমেরিকান |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আর্বানা-শ্যাম্পেইন কর্নেল ইউনিভার্সিটি |
পরিচিতির কারণ | আরএনএ স্থানান্তর |
পুরস্কার | মৌলিক চিকিৎসাবিদ্যা গবেষণায় আলবার্ট লাস্কার পদক (১৯৬৫) আণবিক জীববিজ্ঞানে এনএএস পুরস্কার (১৯৬৭) চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯৬৮) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | প্রাণরসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | সাল্ক ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল স্টাডিজ |
রবার্ট উইলিয়াম হোলি (২৮ জানুয়ারি ১৯২২ – ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩) একজন আমেরিকান প্রাণরসায়নবিদ ছিলেন। তিনি ডিএনএ এবং প্রোটিন সংশ্লেষণের সংযোগ স্থাপন করে অ্যালানাইন ট্রান্সফার আরএনএর গঠন বর্ণনা করার জন্য ১৯৬৮ সালে (হর গোবিন্দ খোরানা এবং মার্শাল ওয়ারেন নিরেনবার্গের সাথে যৌথভাবে) চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
হোলি ইলিনয়ের আর্বানায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৩৮ সালে আর্বানা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় অ্যাট আর্বানা-শ্যাম্পেইন এ রসায়ন বিষয়ে অধ্যয়ন করতে যান ১৯৪২ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে জৈব রসায়নে পিএইচডি অধ্যয়ন শুরু করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হোলি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজে অধ্যাপক ভিঞ্চেন্ত দু ভিগ্নেয়াউদের অধীনে দুই বছর কাজ করেছিলেন, সেখানে তিনি পেনিসিলিনের প্রথম রাসায়নিক সংশ্লেষণের সাথে জড়িত ছিলেন। হোলি ১৯৪৭ সালে পিএইচডি অধ্যয়ন শেষ করেন।[১][২][৩]
স্নাতক শেষ করার পর হোলি কর্নেলে যোগ দান করেন। তিনি ১৯৪৮ সালে জৈব রসায়নের সহকারী অধ্যাপক হন এবং ১৯৬২ সালে প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে জেমস এফ. বোনারের সাথে এক বছরের অবকাশকালীন সময়ে (১৯৫৫-১৯৫৬) অধ্যয়ন করার পর আরএনএ নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।
আরএনএ সম্পর্কিত গবেষণায় হোলি প্রথমে ট্রান্সফার আরএনএ (টিআরএনএ) কে বিচ্ছিন্ন করার উপর মনোযোগ নিবদ্ধ করেন এবং পরে অ্যালিনাইন টিআরএন-এর অনুক্রম এবং গঠন নির্ধারণের উপর, অণু যা অ্যামিনো অ্যাসিড অ্যালানাইনকে প্রোটিনের সাথে একিভূত করে। হোলির গবেষকদের দলটি টিআরএনএর অণুকে টুকরো টুকরো করার জন্য দুটি রিবোনুক্লেজ ব্যবহার করে টিআরএনএর গঠন নির্ধারণ করেছিল। প্রতিটি এনজাইম নির্দিষ্ট নিউক্লিওটাইডের জন্য অবস্থান বিন্দুতে অণুকে বিভক্ত করে। দুটি পৃথক এনজাইম দ্বারা "বিস্মিত" করার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টুকরোর গঠন বিভক্ত করা হয় এরপর উভয় এনজাইম বিভক্ত টুকরোর তুলনা করে দলটি শেষ পর্যন্ত অণুর পুরো কাঠামোটি নির্ধারণ করে।
গঠনটি ১৯৬৪ সালে সম্পন্ন হয়[৪][৫] এবং মূল আবিষ্কার ছিল আরএনএ বার্তাবাহক থেকে প্রোটিনের সংশ্লেষণের ব্যাখ্যা করা। এটি এখন পর্যন্ত নিরূপিত প্রথম রিবোনোক্লিক অ্যাসিডের নিউক্লিওটাইড অনুক্রম। এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৬৮ সালে হোলিকে শারীরবৃত্ত বা চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়[৬] এবং প্রোটিন সংশ্লেষণ বোঝার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য হর গোবিন্দ খোরানা ও মার্শাল ওয়ারেন নিরেনবার্গকেও এ বছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
হোলির দলের পদ্ধতি ব্যবহার করে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা অন্যান্য টিআরএন-এর কাঠামো নির্ধারণ করেছেন। কয়েক বছর পরে পদ্ধতিটি বিভিন্ন ব্যাকটিরিয়া, উদ্ভিদ এবং মানব ভাইরাসে নিউক্লিওটাইডের অনুক্রম চিহ্নিত করতে সহায়তা করে।
১৯৬৮ সালে হোলি ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলায় সাল্ক ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল স্টাডিজের আবাসিক ফেলো হন।
|name-list-style=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)