রবার্ট জন ডাউনি জুনিয়র (ইংরেজি: Robert John Downey Jr.; জন্ম: ৪ এপ্রিল, ১৯৬৫)[২][৩] বিংশ শতাব্দীর শেষপাদে আবির্ভূত একজন বিখ্যাত মার্কিনঅভিনেতা, যিনি হলিউডের চলচ্চিত্র শিল্পে চার দশকেরও অধিক সময় ধরে প্রবল প্রতাপে অভিনয় করে চলেছেন।[৪] ডাউনি ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহণকারী তারকা হিসেবে ফোর্বস সাময়িকী তালিকায় শীর্ষস্থানে মর্যাদা পেয়েছেন।[৫][৬][৭] কেবল জুন ২০১৪ হতে জুন ২০১৫ সালের মধ্যে আনুমানিক ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেন তিনি।[৮][৯][১০]
১৯৭০ সালে বাবার পরিচালিতপাউন্ড চলচ্চিত্রে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে ডাউনির আবির্ভাব হয়। তরুণ বয়সেই চলচ্চিত্রের সাথে তার সম্পৃক্ততা ঘটে দু:খ কল্পবিজ্ঞান কমেডিধর্মী উইয়ার্ড সায়েন্স (১৯৮৫) এবং লেস দ্যান জিরো (১৯৮৭) চলচ্চিত্রে। ১৯৯২ সালে চ্যাপলিন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার পেশাদার অভিনয় জীবনের শুরু হয়। এই চলচ্চিত্রে কৌতুকাভিনেতা চার্লি চ্যাপলিনের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয়ের ফলে প্রথমবার তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত হন[১১] এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেতার জন্য বাফটা পুরস্কার অর্জন করেন।[১২][১৩] ক্যালিফোর্নিয়ায় পদার্থ অপব্যবহার চিকিৎসা সুবিধা এবং রাজ্য প্রিসনে তিনি মাদকদ্রব্য সেবন অভিযোগে ছিলেন, ২০০০ সালে কারাগার থেকে মুক্তি লাভের এক সপ্তাহ পর ডাউনি টিভি সিরিজ এলী ম্যাক্বিলের প্রেম স্বার্থ অভিনয়ে যোগদান করেন। এর জন্য তিনি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার লাভ করেন।[১৪] ২০০০ সালের পরবর্তী এবং ২০০১ সালের শুরুতে দু’দফা মাদকাসক্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার কারণে ডাউনিকে ধারাবাহিক থেকে বাদ দেয়া হয়।[১৫]
২০০৭-এ রহস্য ও থ্রিলারধর্মী জোডিয়াক এবং ২০০৮-এ অ্যাকশন কমেডিধর্মী ট্রপিক থান্ডার চলচ্চিত্রদ্বয়ে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ডাউনির অভিনয়জীবন সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠে। শেষোক্ত চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ২০০৯ সালের সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে ৮১তম একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পান। ২০০৮-এর শুরু থেকে থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ডাউনি মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সেরমার্ভেল কমিকস কাল্পনিক সুপারহিরো আয়রন ম্যানের চরিত্রে তিনটি চলচ্চিত্রে ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করেন যা সারা বিশ্বে আলোড়ন তৈরি করে ও তাকে আকাশচুম্বি জনপ্রিয় করে তোলে।[১৬][১৭] একটি পাঁচমিশেলি অভিনেতাদলের সদস্য, অথবা ছোটো ছোটো ক্যমিও চরিত্রের অভিনয় সহ তার আরো বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের বিশেষ ভূমিকা প্রকাশমান রয়েছে।
২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডাউনি জুনিয়রের ঘরোয়া চলচ্চিত্রের মোট মূল্য ৪.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঊর্ধ্বে, এবং বিশ্বজুড়ে ৯.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, এটি ডাউনি জুনিয়রকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বকালের সেরা পঞ্চম উপার্জনকারী ঘরোয়া বক্স অফিসের তারকা বানিয়েছেন।[২৫]
নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে ডাউনির জন্ম।[২৬] তাঁর বাবা রবার্ট ডাউনি সিনিয়র একজন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক[২৭] এবং মাতার এলসি ডাউনি (বিবাহ পূর্বে-এলসি অ্যান ফোর্ড),[২৮] যিনি অভিনেত্রী হিসেবে ডাউনি সিনিয়রের চলচ্চিত্রে উপস্থাপিত হয়েছিলেন।[২৯] ডাউনির পারিবারিক পদবী 'ইলিয়াস' ছিল, কিন্তু তার বাবা পঞ্চাশের দশকে ‘ইলিয়াস’ নাম পরিবর্তন করে ডাউনি জুনিয়রের সৎ পিতামহ জেমস ডাউনির নামানুসারে পারিবারিক পদবী ডাউনি স্থির করেন।[৩০] ডাউনির বাবা অর্ধেক লিথুয়েনীয় ইহুদি, এক-চতুর্থাংশ হাঙ্গেরীয় ইহুদি এবং এক-চতুর্থাংশ আইরিশ বংশোদ্ভূত,[৩১][৩২] অন্যদিকে ডাউনির মা স্কটিশ, জার্মান ও সুইস বংশোদ্ভূত ছিলেন।[৩৩][৩৪] পরিবারের দুই সন্তানের মধ্যে তিনি হলেন কনিষ্ঠ, অ্যালিসন ডাউনি নামে তার একটি বোন রয়েছে।[৩৫] ডাউনি এবং তার বোনের শৈশব কেটেছে গ্রীনউইচ গ্রামে।[৩৬]
রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের বেড়ে ওঠার পরিবেশ শিশুচিৎ স্বাভাবিক ছিল না। তার বাবা রবার্ট ডাউনি সিনিয়র ছিলেন মাদকাসক্ত। তিনি প্রায়ই গাঁজা সেবন করে চাপ উপশমের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পে অভিজ্ঞতা অর্জন করতেন। বাবা মাত্র ছয় বছর বয়সের ছেলেকে গাঁজা ধরিয়ে দিয়েছিলেন।[৩৭][৩৮] শৈশবের এই মাদকাসক্তি রবার্ট ডাউনি জুনিয়রকে সারা জীবন ধাওয়া করে চলেছে। পরবর্তীকালে রবার্ট ডাউনি সিনিয়র ছেলের হাতে শৈশবে মাদক তুলে দেয়ার জন্য অনুতাপ বোধ করেছেন।[৩৬][৩৯]
বাবার পরিচালিত ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমেই চলচ্চিত্রের জগতে অভিষেক হয় ডাউনি জুনিয়রের। মাত্র পাঁচ বছরের ছোট্ট ডাউনিকে প্রথম বড় পর্দায় দেখা যায় বাবা রবার্ট ডাউনি সিনিয়রের পাউন্ড চলচ্চিত্রে।[৪০][৪১] এ চলচ্চিত্রে তাকে একটি অসুস্থ কুকুরছানার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায়।[৪২][৪৩][৪৪] সাত বছর বয়সে ডাউনি গ্রেজার্স প্যালেস (১৯৭২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[৩২] পরবর্তীতে বাবার পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলোতে ছোটখাটো ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি।[৪৫] দশ বছর বয়সে তিনি লন্ডনেরচেলসি এলাকায় বসবাস করতেন।[৪৬] সেখানে তিনি পেরি হাউজ স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং এটিই সেই পেরি হাউজ স্কুল যেখানে ডাউনি পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে শাস্ত্রীয় ব্যালে নাচ শেখেন।[৪৭]
ডাউনির বয়স যখন মাত্র তের, তখন তার পিতা-মাতার বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। ফলে তরুণ অভিনেতা শেষ পর্যন্ত তার বাবার সাথে ক্যালিফোর্নিয়ারলস অ্যাঞ্জেলেস শহরে স্থানান্তরিত হন। লস অ্যাঞ্জেলেসে এসে তিনি সান্টা মনিকা হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন।[৪৮] পনেরো বছর বয়সে বাবার পরিচালিত আপ দ্য একাডেমি চলচ্চিত্রের সামান্য কিছু অংশে অভিনয় করেন ডাউনি। ১৯৮২ সালে বাবার অনুমতি নিয়ে উচ্চবিদ্যালয়ে যাওয়া ছেড়ে দিয়ে পেশাদার অভিনেতা হিসেবে পরিণত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[৪৯] সতেরো বছর বয়সে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেস ত্যাগ করে নিউ ইয়র্কে মায়ের সাথে থাকতে শুরু করেন।[৫০]
ডাউনি এবং কিফার সাদারল্যান্ড ১৯৮৮ সালের নাটক ও ১৯৬৯ চলচ্চিত্রের পর্দায় অংশগ্রহণ করেন, তারা দুজন তিন বছর ধরে একই ঘরে বাসিন্দা ছিলেন।[৫১][৫২][৫৩] তখন অভিনয়ে কর্মজীবন অন্বেষণ করার জন্য ডাউনি প্রথম হলিউডে চলে আসেন।
ডাউনি মঞ্চনাটক ভূমিকার উপর রচন শুরু করেন, যা জয়েস থিয়েটারে স্বল্পস্থায়ী অফ-ব্রডওয়ে সঙ্গীতধর্মী সহ "আমেরিকান প্যাশন" ১৯৮৩ সালে নরম্যান লিয়ার দ্বারা প্রযোজিত হয়। ১৯৮৫ সালে তিনি নতুনভাবে অংশ নিলেন, ছোট নিক্ষিপ্ত ভাড়া হিসেবে স্যাটারডে নাইট লাইভ জন্য নেওয়া হয়, কিন্তু দরিদ্র রেটিং এবং নতুন নিক্ষেপ উপহাস প্রতিভা সমালোচনার একটি বছর নিম্নলিখিত, তিনি এবং প্রায় সমস্ত নতুন ক্রু প্রতিস্থাপিত হয়েছে। ডাউনি এবং কিইফার সদারল্যান্ড, তারা ১৯৮৮ সালে ও ১৯৬৯ চলচ্চিত্রে এ নাটকের পর্দা ভাগা-ভাগি করতেন, তারা তিন বছর রুমমেট ছিলেন, ডাউনি প্রথমে হলিউড গেলেন এবং অভিনয়ের পথ অনুসরণ করলেন জীবিকা নির্বাহের জন্য।[৫৪] নিজের খরচ চালাতে লাগলেন রেস্টুরেন্টের টেবিল মুছে আর জুতার দোকানে কাজ করে। তার পিতা চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন বলে চলচ্চিত্র জগতে কাজ পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি তার।
১৯৮৭ সালে ডাউনি ব্রেট ইস্টন এলিসের লিখিত উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে তৈরি রহস্যচলচ্চিত্র লেস দ্যান জিরো-এ জুলিয়ান ওয়েলস চরিত্রে অভিনয় করেন। এ ছবিটির কাহিনী ছিলো একজন মাদক আসক্ত ধনী ছেলেকে ঘিরে।[৫৫] বড় পর্দা হিসেবে তিনি প্রথম মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। যদিও ছবিটির বিষয়বস্তু ডাউনির বাস্তব জীবনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, তবুও চলচ্চিত্রটি সমাদৃত হয়; বিশেষ করে ডাউনির অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়।[৫৬]দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস -এর চলচ্চিত্র সমালোচক জ্যানেট মাসলিন এসম্পর্কে মন্তব্য করে, জনাব ডাউনি প্রশংসামূলক প্রমোদানুষ্ঠান দেন যা "নিদারুণভাবে চলন্ত",[৫৭] আবেগ ধরনের সাথে যে এই প্রতিবেশ একটি বাস্তব আশ্চর্য হিসাবে আসে। যদিও ডাউনি বলেছেন যে তার জন্য যেহেতু মাদক অভ্যাস বাস্তব জীবনের একটি "চরিত্রের অত্যুক্তি" হয়ে উঠছে, তাই "ভূমিকাটি বড়দিনের ভবিষ্যত প্রেতাত্মার মত ছিল"।
১৯৯১ সালে সোপডিস ছবিটি দিয়ে আবারও আলোচনায় এলেও রবার্ট ডাউনির জীবনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি ছিল পরের বছর চার্লি চ্যাপলিনের জীবন নিয়ে নির্মিত প্রখ্যাত পরিচালক রিচার্ড এটেনবোরোরচ্যাপলিন চলচ্চিত্র।[৫৮] তার জীবনের অন্যতম সেরা অভিনয় তিনি চ্যাপলিন চলচ্চিত্রে করেছেন বলে দাবি করেছেন। চার্লি চ্যাপলিনের ভুমিকায় অভিনয় করতে হবে তাকে- এটা শুনেই আনন্দে লাফ দিয়েছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রটির চিত্রণাট্য প্রায় না পড়েই স্বাক্ষর করে ফেলেছিলেন তিনি। এমনকি ১৯৮৮ সালে চার্লি চ্যাপলিনের সত্যিকারের বাড়িটাও কিনে নেন ডাউনি। তাকে চার্লি চ্যাপলিনের ভঙ্গি এবং নিজেকে বহন পথ অনুকরণ সাহায্য করার জন্য একজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক ছিলেন।[৫৯] এই ছবিতে চ্যাপলিনের ভূমিকায় অনবদ্য অভিনয় করে তিনি ৬৫তম একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে একাডেমি পুরস্কার মনোনয়ন হন। আল পাচিনো এর স্কেন্ট অফ এ ওমেন চলচ্চিত্রের সাথে পরাজিত হয়েছেন তিনি।[৬০]
১৯৯৩ সালে তিনি হার্ট এবং সোউলস—চলচ্চিত্রের সাথে "আলফ্রি উডআরড" সঙ্গে "কায়রা সেজউইক" এবং সর্ট কাটস—চলচ্চিত্রের সাথে "ম্যাথু মোডনি" সঙ্গে "জুলিয়ান মুর", একটি তথ্যচিত্রে তিনি ১৯৯২ সালে রাষ্ট্রপতি শীর্ষক প্রচারণা দ্যা লাস্ট পার্ট (১৯৯৩) সম্পর্কে লিখেছেন।[৬১][৬২][৬৩] তিনি ১৯৯৪ সালে অভিনয় করেন, ওনলি ইউ—চলচ্চিত্রের সাথে "মারিসা টোমেই" এবং ন্যাচারাল ব্রন কিলারস—চলচ্চিত্রের সাথে "উডি হ্যারেলসন"।[৬৪][৬৫] তিনি পরবর্তীকালে হাজির রেস্টরেশন (১৯৯৫), রিচার্ড ৩ (১৯৯৫), টু গার্লস এন্ড এ গাই (১৯৯৮), যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্পেশাল এজেন্ট "জন রয়েস" এর ভিতরে ইউ.এস. মার্শালস (১৯৯৮), এবং ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট (১৯৯৯)।[৬৬][৬৭][৬৮]
হলিউডে ডাউনি জুনিয়রের কর্মজীবন শুরু হয় আশির দশকে। কিন্তু নব্বইয়ের মাঝামাঝিতে মাদকের নেশা তার কর্মজীবনের অগ্রগতিতে অনেক প্রভাব ফেলে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ডাউনি কোকেইন, হেরোইন ও গাঁজা[৩৮] সহ বিভিন্ন প্রকার মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে এবং মাদক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যর্থ হওয়ার ফলে শেষ পর্যন্ত তাকে অসংখ্য বার গ্রেফতার হতে হয়েছে।[৭০][৭১] তিনি ১৯৯৯ সালে একজন বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন: "এটা আসলে দেখায় আমার মুখগহ্বরে একটি শটগান রাখা আছে, সঙ্গে ট্রিগারের উপর আমার আঙ্গুল! এবং আমার কাছে বন্দুকের ধাতুর স্বাদ ভালোই লাগছে"।[৭২][৭৩] তিনি আট বছর বয়স থেকে মাদকে আসক্ত হয়েছে দাবি করে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, যে কারণে তার বাবাও একজন মাদকাসক্ত, তার বাবা তাকে এগুলো শিখিয়েছিলেন।[৭৪]
১৯৯৬ সালে ডাউনির বয়স যখন ৩১ বছর, সেইসময় তিনি সূর্যাস্তের সময় ক্যালিফোর্নিয়ার মালিবু শহরের একটি প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে তার নিজের পোর্শা গাড়িতে নগ্ন অবস্থায় ড্রাইভিং করার ফলে একজন পুলিশ অফিসার দ্বারা বাধাকৃত হন ট্রাফিক স্টপে[৭৫] এবং গাড়ি থামানোর পর অফিসার লক্ষ্য করলেন ডাউনি শুধুমাত্র যে পোশাক ছাড়া ছিলেন, তা নয়! তার কাছে অল্প পরিমাণে হেরোইন, কোকেন[৭৬] ও গুলিভরা একটি .৩৫৭ ম্যাগনামরিভলবার পাওয়া যায়।[৭৭][৭৮][৭৯][৮০] যখন তিনি তা ছুঁড়ে দ্রুত গাড়ি চালানোর চেষ্টা করলেন তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়। এক মাস পরে যখন তিনি প্যারোলে ছিলেন, তখন একজন প্রতিবেশীর বাড়িতে বিনা অনুমতিতে ঢুকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন।[৮১][৮২] তার শিক্ষানবিস-কালে তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল এবং তিনি কি মাদক সেবন বন্ধ করেছেন কিনা, তা বাধ্যতামূলক পরীক্ষার জন্য তাকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হলেও তিনি সময়মত থাকেননি। ১৯৯৭ সালে, তিনি আদালতের আদেশ না মেনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাদক পরীক্ষা পরিত্যাগ করেন[৩৮] এবং এর জন্য তাকে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাউন্টি জেলে প্রায় ছয় মাস কারাবন্দী কাটাতে হয়েছিল।[৮৩][৮৪]
ডাউনি ১৯৯৯ সালে আরেকটি প্রয়োজনীয় মাদক পরীক্ষা পরিত্যাগ করার পর, তাকে আরো একবার গ্রেফতার করা হয়।[৮৫] অনেক চেষ্টা করার পর তার উকিল তাকে জেল থেকে বের করে আনেন।[৮৬] ডাউনি ক্যালিফোর্নিয়া পদার্থ অপব্যবহার চিকিৎসা সুবিধা এবং, ক্যালিফোর্নিয়া (ওরফে "কর্করান -২") রাজ্য কারাগারে তিন বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।[৮৭] ১৯৯৯ সালে গ্রেফতারের সময়, ডাউনির চলচ্চিত্র প্রকল্পে সব আবৃত ছিল এবং ছবি মুক্তি দেওয়ার সময় ঘনিয়ে এসেছিল, ইন ড্রিমস চলচ্চিত্রে তাকে অনুমতি প্রদান করা হয় চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য। এনবিসি অ্যানিমেটেড টেলিভিশন সিরিজ গড, দ্য ডেভিল এন্ড বব -এ তাকে দিয়ে ডেভিল এর কন্ঠে কাজ করানোর জন্য ভাড়া করা হয়েছিলো, কিন্তু তাকে বহিস্কার করা হয় যখন তিনি রিহার্সালের জন্য দেখা করতে ব্যর্থ হন।[৮৮][৮৯]
ক্যালিফোর্নিয়া-তে 'California Substance Abuse Treatment Facility and State প্রিসনে' প্রায় একটি বছর কাটানোর পর[৯০] ডাউনি ৫,০০০ মার্কিন ডলার জামিনে পোস্ট করার শর্তে, অপ্রত্যাশিতভাবে বিচারকের রায়ে তাকে মুক্ত করা হয়।[৩৬] ২০০০ সালের আগস্ট মাসে কারাগার থেকে মুক্তিলাভের এক সপ্তাহ পর ডাউনি হিট টেলিভিশনের ধারাবাহিক সিরিজ এলী ম্যাক্বিলের 'ক্যালিস্টা ফ্লোকহার্ট' শিরোনাম চরিত্রের নতুন প্রেম-স্বার্থ অভিনয়ে যোগদান করেন।[৯১] দর্শকগন তার অভিনয়ের প্রশংসা করেন, পরের বছর তিনি একটি কমেডি সিরিজে বিশিষ্ট অভিনেতা হিসেবে এমি পুরস্কার মনোনীত হন এবং একটি মিনি সিরিজ বা টেলিভিশন চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য তাকে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার দেওয়া হয়।[৯২][৯৩] এছাড়াও তিনি একজন লেখক এবং গায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন ভোন্ডা শেপার্ড এর আলী ম্যাক্বিল : ফর ওয়ান্স ইন মাই লাইফ অ্যালবামে এবং তিনি স্টিং এর সাথে দ্বৈতসঙ্গীত সিরিজের পর্বে "Every Breath You Take" নামের একটি গান গেয়েছিলেন। প্রত্যক্ষ সাফল্য সত্ত্বেও ডাউনি দাবী করেন যে, সিরিজে তার সম্পাদিত কার্য অত্যন্ত খারাপ ছিল এবং বলেন, "আসক্তিসমূহ পরিপ্রেক্ষিতে আমার এটি সর্বনিম্ন আলোচ্য বিষয় ছিল। সেই মঞ্চে, I didn't give a fuck whether I ever acted again."[৯৪] ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসে ডাউনি লস অ্যাঞ্জেলেস মঞ্চে মেল গিবসন কর্তৃক পরিচালিত উইলিয়াম শেকসপিয়র নাটকের একটি প্রোডাকশনে হ্যামলেট চরিত্রে ভুমিকা পালন করার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন।[৯৫][৯৬]
এলী ম্যাক্বিল টিভি সিরিজে তার প্রথম সিজন সমাপ্ত হওয়ার পূর্বেই ২০০০ সালে থ্যাঙ্কস গিভিং দিবসের ছুটির দিনে ডাউনির কাছে মাদকদ্রব্য প্রভাব অধীনস্থ কোকেইন এবং ডায়াজিপাম ছিল। একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ৯১১ কলে সারা দিয়ে পুলিশ অনুসন্ধান চালায় এবং ডাউনিকে গ্রেফতার করে যখন তিনি পাম স্প্রিংসের মার্ভ গ্রিফিনের হোটেলের গিভেনচি স্পা রুমে অবস্থান করছিলেন।[৯৭][৯৮] তাকে মাদক দখলের অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলে তার চার বছর আট মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে সত্ত্বেও তিনি অন্তত আরো আটটি আলী ম্যাক্বিল পর্বে প্রদর্শনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন।[৯৯] ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে যখন তিনি প্যারোলে ছিলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসের একজন পুলিশ অফিসার তাকে কাল্ভার সিটিতে খালি পায়ে ঘুরে বেড়াতে দেখেন, ঠিক লস অ্যাঞ্জেলেস এর সীমান্তে।[১০০] তিনি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ছিলেন এবং তার কাছে মাদকদ্রব্য থাকার সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরে তিনি মুক্তি পেয়ে যান,[১০১] যদিও টেস্টের ফলাফল দেখাচ্ছে তার শৃঙ্খলার মধ্যেই কোকেইন ছিল।
গত গ্রেপ্তারের পর প্রযোজক ডেভিড ই. কেলি এবং অন্যান্য আলী ম্যাক্বিল কার্যনির্বাহিকদের আদেশ অনুযায়ী শেষ মিনিট পর্যন্ত নতুন করে নাট্য লেখা হয় ও পুনরায় আবার শুট নিতে হয়েছিল এবং ডাউনিকে প্রদর্শনী থেকে বরখাস্ত করা হয় আলী ম্যাক্বিলের তার কোমা চরিত্র নির্ধারিত থাকা সত্ত্বেও।[১০২]
ডিসেম্বর ১৮, ২০০০ সালে পিপল ম্যাগাজিনের "Bad to Worse" অনুচ্ছেদ অধিকারী ডাউনির বিমাতা 'রোজমেরি' লেখক অ্যালেক্স ট্রেসনলোশকিকে জানান যে, ডাউনির "কয়েক বছর পূর্বে" দ্বিমেরু ব্যাধি অর্থাৎ মানসিক রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছিল এবং আরও বলেন যে ডাউনির দ্বিমেরু ব্যাধি "হওয়ার কারণ হচ্ছে "ডাউনি একটি কঠিন প্রশান্ত সময় কাটিয়েছিলেন। কি চেষ্টা করা হয়নি চিকিৎসা এবং নিবিড় মনঃসমীক্ষণের জন্য"।[১০৩] একই অনুচ্ছেদে ড Manijeh Nikakhtar, লস অ্যাঞ্জেলেসের মানসিক রোগের চিকিৎসক এবং সহরচয়িতা Addiction or Self-Medication: The Truth (আইএসবিএন৯৭৮-১৮৮৩৮১৯৫৭৬) গ্রন্থে ডাউনি জুনিয়রকে উল্ল্যেখ করে লিখেছেন যে ডাউনি ১৯৯৯ সালে তার থেকে একটি চিঠি পেয়েছিলেন, সেই সময় তিনি কর্করান -২ এ ছিলেন, তার শারিরিক অবস্থার উপর পরামর্শের জন্য জিজ্ঞাসা করছিলেন। ২০০৭ সালের মার্চে Esquire একটি সমস্যার ব্যাপারে প্রকাশ করেন, ডাউনি লেখক স্কট রাবকে বলেছিলেন যে, "দ্য বিপোলার এসোসিয়েশন" থেকে একটি ফোন কল পাওয়ার পর তার দ্বিমেরু অস্তিত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে এবং "দ্বিমেরু সম্পর্কে এই সমস্ত ব্যাপারটাই" সম্বোধন করতে চেয়েছিলেন তিনি।
অপব্যবহার, গ্রেপ্তার, পুনর্বাসন এবং পিছুটানে ভরা পাঁচ বছর পেরিয়ে ডাউনি তার হারানো জীবন ফিরে পেল যা কিনা আজ পুরোপুরি মাদকমুক্ত। ডাউনি তার অতীতের মাদকমুক্ত হবার ব্যর্থ প্রচেষ্টার কথা অপরাহ উইনফ্রেকে ২০০৪ এ বর্ণনা করছিল এভাবে, “যখন কেউ বলত, আমিও সত্যিই ভাবতাম আমার পুনর্বাসনে যাওয়া উচিত? ওহ, খোদা, তুমি নিজেকে ধ্বংস করছ, তুমি তোমার চাকরি হারিয়েছ, এবং তোমার স্ত্রী তোমাকে ত্যাগ করেছে। ওফ, তোমার অন্তত একটা চেষ্টা করা উচিত।”[১০৪] তিনি আরও বলেন যে ২০০১ সালের এপ্রিলে তার শেষ গ্রেপ্তারের পর, যখন তিনি বুঝতে পারলেন তাকে আবারও কয়েদি জীবনের মুখোমুখে হতে হবে অথবা আদালতের আদেশে মাদকপুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হতে পারে, যা জেলের থেকে কম নয়, “আমি বললাম, তুমি কি জানো? এই কাজ আমি চালিয়ে যেতে পারব বলে মনে করিনা, আমি সাহায্য ভিক্ষা করছি এবং সেই পথেই চলতে চাই। তুমি এমন অগোছালো ভাবেও সাহায্য প্রার্থনা করলে সাহায্য পাবে, কিন্তু তুমি সেটা থেকে উপকৃত হতে পারবে না। এর থেকে পরিত্রাণ আপাতদৃষ্টিতে যতটা ভয়ানক সমস্যা মনে করছ ততটা নয় ... প্রকৃতপক্ষে কঠিন কাজ হল মনস্থির করা, আসলেই তুমি এটা করতে চাচ্ছ।”[১০৪][১০৫]
২০০১ এর আগস্টে ডাউনি পুনর্বাসনে থাকাকালীন সময়ে প্রথম অভিনয় কাজ পেয়েছিলেন এলটন জনের একক গান “আই ওয়ান্ট লাভ” ভিডিওতে, তার কাজ ছিল গানের সঙ্গে ঠোট মিলানো।[১০৬] চিত্র পরিচালক স্যাম টেইলর উড ভিডিওটি ১৬ বারে ধারণ করেন এবং শেষেরটাকে চূড়ান্ত হিসাবে গ্রহণ করেন। জনের ভাষ্যমতে, ডাউনিকে সম্পূর্ণ ভারমুক্ত দেখা যাচ্ছিল, এবং “এত সহজভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছে যা ছিল অসাধারন।”[১০৭]
এয়ার আ্মেরিকাতে সহশিল্পী হিসেবে কাজের সূত্রে মেল গিবসনের সাথে পরিচয় হয়েছিল ডাউনির যা পরর্বতীতে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্বে রুপ নেয় এবং শুধুমাত্র এই মেল গিবসনের কল্যাণেই ডাউনি বড়পর্দায় ফিরে আসতে সক্ষম হন, কারণ ২০০৩ সালে কিথ গর্ডন পরিচালিত দ্য সিংগিং ডিটেকটিভ চলচ্চিত্রে ডাউনির নিরাপত্তা বিমা পরিশোধ করে দেয় গিবসন।[১০৮] গিভসনের এই চরম বাজিই ডাউনির নিজেকে ফেরার পথের সোপান হয়ে দাড়াল। ২০০০ এর মধ্যভাগে চিত্রায়িত ভৌতিক চলচ্চিত্র গোথিকা দিয়ে তিনি চলে আসেন সামনের সারিতে এবং ডাউনির মাদকাসক্তি জন্যে এই চলচ্চিত্রে প্রযোজক জোয়েল সিলভার ডাউনির মূল পারিশ্রমিকের ৪০ শতাংশ আটকে রাখেন শুটিং ঝামেলামুক্ত শেষ হবার আগপর্যন্ত। পরবর্তীতে এই শর্তখানা ডাউনির জন্যে স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে জারি হয়ে যায়।[১০৯]
সনি ক্লাসিক্যালের মাধ্যমে ২০০৪ এর ২৩ নভেম্বরে ডাউনি তার প্রথম একক সঙ্গিত অ্যালবাম দ্য ফিউচারিস্ট উন্মোচন করেন,[১১২] যার প্রচ্ছদ শিল্প ও সিডির উপর শিল্পের নকশা করান তার ছেলে ইন্ডিও দ্বারা।[১১৩] এটি বিলবোর্ড ২০০ তালিকার মধ্যে ১২১ তমতে আত্মপ্রকাশ পায়[১১৪][১১৫] এবং মুক্তি লাভের প্রথম সপ্তাহেই অ্যালবামটি ১৬,০০০ কপি বিক্রিত হয়।[১১৬] অ্যালবামটি মিশ্র সমালোচনাও পেয়েছে,[১১৭][১১৮] ২০০৬ এ ডউনি জানান, পূর্ণ অ্যালবাম করার মতো যথেষ্ট শক্তি তার নেই বলে মনে করেন এবং সম্ভবত তিনি আর কোন অ্যালবাম করবেননা।[১১৯]
২০০৬ সালে ডউনি টেলিভিশনের পর্দায় ফিরে আসেন “ফ্যামিলি গাই” এর অতিথি চরিত্র “দ্য ফ্যাট গাই ষ্ট্যাগলার” পর্বের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানটির প্রযোজকের কাছে ডউনি ফোনের মাধ্যম অনুরোধ করেন যে, তিনি কোনো পর্ব প্রযোজনা কিংবা সহায়তা করতে পারেন কিনা, যেহেতু তার ছেলে ইন্ডিও অনুষ্ঠানটির খুব ভক্ত। প্রযোজকগণ প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং ডউনির জন্যে লুইস গ্রিফিন এর দীর্ঘদিনের হারিয়ে যাওয়া ভাই প্যাট্টিক পিউটার্সমিড চরিত্র তৈরি করেন, যে মানসিকভাবে দুর্বল।[১২০] সে বছরই ডউনি প্রকাশক হার্পার কলিন্সের কাছে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তার আত্ম-জীবনী লেখা প্রকাশের জন্যে[১২১][১২২] এবং ২০০৬ সালে তার কর্মজীবনের উত্থান পতনের অকপট বর্ণনা লেখার জন্যে অগ্রিম পারিশ্রমিক গ্রহণ করেছিলেন। অবশ্য ২০০৮ সালে ডউনি প্রকাশককে সকল অগ্রিম পারিশ্রমিক ফিরিয়ে দেয় কোন প্রকার পরবর্তী নিশ্চয়তা ছাড়া।[১২৩]
২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রহস্য চলচ্চিত্র জোডিয়াক-এ অভিনয় করেন ডাউনি।[১২৪] ১৯৬৯ সালে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার এক ক্রমিক খুনির সত্য ঘটনাকে ভিত্তি করে ছবিটির কাহিনী গড়ে উঠেছে।[১২৫] এখানে ডাউনি পল এ্যভারি নামের একজন স্যান ফ্রানসিকো ক্রোনিক্যাল এর সংবাদিক রূপে অভিনয় করেন,[১২৬] যিনি ক্রমিক খুনি জুদিয়াক ঘটনার প্রতিবেদনের দায়িত্বরত ছিলেন।[১২৭][১২৮] কাহিনীতে দেখা যায়, প্রত্যেক হত্যার পর খুনি স্থানীয় পুলিশ ও সংবাদসংস্থাকে জানিয়ে একটি চিঠি দিতেন যাতে তিনি তার নাম জুদিয়াক বলে উল্লেখ করেন এবং এসব চিঠিগুলোতে সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা হত। ছবিটির কাহিনী নেওয়া হয় লেখক রবার্ট গ্রেস্মিথের রচিত একই নামের অ-কথাসাহিত্য বই থেকে। ছবির পরিচালক ডেভিড ফিঞ্চার সমালোচকদের দৃষ্টিতে প্রশংসিত হন, এবং চলচ্চিত্রটি বেশ কয়েকটি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।[১২৯] ছবিটিতে ডাউনির অভিনয় সম্পর্কে দ্য গার্ডিয়ান-এর মত: আমরা ডাউনিকে চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে শীর্ষ দশে রেখেছি, যদিও তিনি সাংবাদিক পল এ্যভারির ভূমিকায় অদ্ভুত অভিনয় করেছেন।[১৩০]
২০০৮-বর্তমান: ব্লকবাস্টার চলচ্চিত্র এবং আরও সাফল্য
২০০৮ সালে মার্ভেল কমিকসের জনপ্রিয় কমিক সুপারহিরো আয়রন ম্যানকে নিয়ে তৈরি আয়রন ম্যান চলচ্চিত্রটি তার অতীতের অগ্রগতি কালো অধ্যায়কে মুছে দিয়ে সব যেন পরিবর্তন হয়ে গেল। সমালোচনামূলক সাফল্য সব সঙ্গে ডাউনি তার সারা কর্মজীবন অভিজ্ঞতা ছিল, তিনি তার একটিও "ব্লকবাস্টার" ছবি আবির্ভুত করেনি, ২০০৮ এর মাঝখানে পরিবর্তিত যখন ডাউনি দুই সমালোচকদের এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, আয়রন ম্যান এবং ট্রপিক থান্ডার । নিবন্ধ বেন স্টিলার টাইম ১০০ এর ২০০৮ সংস্করণ ডাউনি এর এন্ট্রি লিখেছন, তিনি বক্স অফিসে ডাউনি এর বাণিজ্যিকভাবে সফল হজভঝ একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন:
“
হ্যাঁ, ডাউনি হচ্ছে আয়রন ম্যান, কিন্তু তিনি আসলে একজন অভিনেতার মানুষ ... রাজ্যের যেখানে বক্স অফিসটি অপ্রাসঙ্গিক এবং প্রতিভাই হল রাজা, প্রকৃতপক্ষে যে বাস্তবত কিছু মানে, তিনি সবসময় শাসিত হয়েছে, এবং অবশেষে এই গ্রীষ্মে তিনি তার পিষ্টক কাছে পায়, আসুন আমরা তার মস্তিষ্কের সর্বদিক থেকে খাওয়া শুরু করি, যেখানে তাঁর দক্ষতার পূর্ণ প্রভাব আছে।
২০০৭ সালে, ডাউনি আয়রন ম্যান চলচ্চিত্রের শিরোনাম চরিত্রে অভিনয়ে ছিলেন,[১৩২] ডাউনি তার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা অনেকটা টনি স্টার্ক এর মধ্যে পেয়েছেন।[১৩৩]জন ফ্যাভ্রু ডাউনির থাকার উপর জোর দেন, কারণ তিনি বারবার দাবি করেন যে ডাউনি আয়রন ম্যান হবেন, যেমন জনি ডেপ তার পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান সিরিজের একজন নেতৃত্ব দানকারী অভিনেতা, যিনি উভয় চলচ্চিত্রের মান বাড়ান এবং জনগণের এর আগ্রহ বৃদ্ধি করান।[৮১][১৩৪][১৩৫][১৩৬] পরিচালক ফ্যাভ্রু তেমন একটা পরিচিত নয়, এর আগে তার কোন চলচ্চিত্র এতটা সমালোচিত হয়নি। আয়রন ম্যান নামে মার্ভেল কমিকসের চরিত্রকে চলচ্চিত্রে রূপ দিয়েছেন এই পরিচালক।[১৩৭][১৩৮]
আয়রন ম্যান ছবিতে অভিনয় করার জন্য মাত্র ৫ মাসে ডাউনিকে প্রায় ২০ পাউন্ডের মত ওজন বাড়াতে হয়েছিল।[১৩৯][১৪০][১৪১] অন্যান্য অ্যাকশন ধর্মী সুপার হিরো চলচ্চিত্রের মতো আয়রন ম্যান চলচ্চিত্রেও অনেক স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছিল। স্পেশাল ইফেক্ট তৈরী করার জন্য আইএমএল নামক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছিল, তারা এর আগে ট্রান্সফর্মারস, পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান ধারাবাহিক চলচ্চিত্রগুলোর মতো আরো অনেক ব্লকবাস্টার অ্যাকশন ধর্মী চলচ্চিত্রের স্পেশাল ইফেক্ট তৈরী করেছে। $১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নির্মিত আয়রন ম্যান চলচ্চিত্রটির প্রচারণার জন্য প্রায় $৭৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল। মুক্তি পাবার পরে চলচ্চিত্রটি দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়, অনেক সমালোচকই এটিকে সফল চলচ্চিত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। চলচ্চিত্রটি ২০০৮ সালের শ্রেষ্ঠ শব্দ সংস্করণ এবং শ্রেষ্ঠ ভিজ্যূয়াল এফেক্টের জন্য একাডেমি পুরস্কার মনোনীত হয়ে দ্য ডার্ক নাইট এবং কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটন চলচ্চিত্রের কাছে হেরে যায়। মার্ভেল স্টুডিও চলচ্চিত্রের কাজ চালু হয় ২০০৬ সালে, যদিও ১৯৯০ সাল থেকে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য কাজ ককরে আসছে বিভিন্ন স্টুডিও। অন্যান্য অ্যাকশন ধর্মী সুপারহিরো চলচ্চিত্রের সাথে বিভিন্নতা রাখার জন্যই এই চলচ্চিত্রের কাহিনীক্ষেত্র নিউইয়র্ক শহরকে বাদ দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। আয়রন ম্যান চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে গল্প তৈরীতে এতটাই মনোযোগ দেয়া হয়েছিল যে মতবিনিময় নির্বাচনে অভিনেতাদের স্বাচ্ছন্দ্য দেয়া হয়েছিল। আয়রন ম্যান চলচ্চিত্রে স্টার্কের ভূমিকায় অভিনয় করেছে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ভিলেন স্ট্যান এর ভূমিকায় জেফ ব্রিজেস এবং আয়রন ম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে লাস্যময়ী নায়িকা গিনেথ প্যালট্রো।
আয়রন ম্যান বিশ্বব্যাপী ৩০ এপ্রিল ও মে ৩, ২০০৮ সালের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হয় এবং ৫৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিশ্বব্যাপী থেকে বক্স অফিসে জমা হয়[১৪২] এবং আমোদ রিভিউ যা চলচ্চিত্রটির অত্যন্ত ইতিবাচক একটি হাইলাইট হিসাবে রবার্ট ডাউনি তার কর্মসম্পাদন উদাহৃত পায়।[১৪৩][১৪৪] ফলস্বরূপ, উভয় ডাউনি এবং জন ফেভ্রিয়াউ একটি আয়রন ম্যান ত্রয়ীর উপার্জন তাদের অংশ বিবৃত করেন।[১৪৫]
২০০৮ সালের মার্চে 'বর্ষসেরা অভিনেতার' জন্য শোওয়েস্ট কনভেনশন ডাউনিকে অভিবাদন জানায়।[১৪৬][১৪৭]
২০০৮ এর ১৩ই আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়, ট্রপিক থান্ডার পর্যালোচনা সংযোগকারী ওয়েবসাইট রটেন টম্যাটোস এবং মেটাক্রিটিক যথাক্রমে অনুযায়ী, ইতিবাচক সমালোচনা থেকে ৮৩ শতাংশ ভালো সমালোচনা পেয়েছে এবং ৭১ এর গড় সাধারণ স্কোর।[১৪৮][১৪৯] এই চলচ্চিত্র উত্তর আমেরিকাতে মুক্তির সপ্তাহান্তে ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে এবং মুক্তির প্রথম তিন সপ্তাহান্তে এক নম্বর অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছিল। চলচ্চিত্রটি ১৮ই নভেম্বর ২০০৮ সালে হোম ভিডিওতে তার মুক্তির পূর্বে থিয়েটারে ১৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।
Stiller says that he and Downey always stayed focused on the fact that they were skewering insufferable actors, not African Americans. 'I was trying to push it as far as you can within reality,' Stiller explains. 'I had no idea how people would respond to it.' Stiller screened a rough cut of the film [in March 2008] and it scored high with African Americans. He was relieved at the reaction. 'It seems people really embrace it,' he said.[১৫০]
এপ্রিলের শেষের দিকে ২০০৯ সালে একটি চলচ্চিত্র দ্য সোলোইস্ট, ডাউনি ২০০৮ সালে এই চলচ্চিত্রের কাজ সমাপ্ত করেছিলেন। এই চলচ্চিত্র কয়েক সপ্তাহের জন্য আটকিয়ে ছিল, পরবর্তীতে ২০০৮ সালে বছরে শেষ দিকে নভেম্বরে এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছে প্যারামাউন্ট পিকচার্স দ্বারা।[১৫১] সমালোচকরা যারা ২০০৮ সালে চলচ্চিত্রটি দেখেছিলেন, তারা ডাউনিকে একজন সম্ভাব্য একাডেমি পুরস্কার প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।[১৫২] ডাউনি ট্রপিক থান্ডার চলচ্চিত্রে ২০০৮ সালে মুক্তির বছরে তার ভূমিকার জন্য তিনি একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে মনোনীত হন।[১৫৩]
প্রথম ভূমিকা হিসেবে ডাউনি প্রচলিত হয় আয়রন ম্যান চরিত্রে কিন্তু পরে গাই রিচি এর শার্লক হোমস (২০০৯) চলচ্চিত্রে তিনি শিরোনাম চরিত্রে কাজ করেন।[১৫৪][১৫৫] পৃথিবীর চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার চিত্রায়িত চরিত্র এটি। ডাউনির চোখেমুখে যে চতুর ভাব রয়েছে তা বেশ ভালোভাবেই শার্লক চরিত্রের সাথে মানিয়েছে। পরবর্তীতে ওয়ার্নার ব্রস. ২৫ ডিসেম্বর ২০০৯ সালে চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়।[১৫৬] চলচ্চিত্রটি বড়দিনে মুক্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বক্স অফিসে রেকর্ড নিযুক্ত করে পূর্ববর্তী রেকর্ডধারী মার্লে এন্ড মি (২০০৮) চলচ্চিত্রকে হার মানায়, মুক্তি লাভের প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ উপার্জন করে, শুধুমাত্র অ্যাভাটার (২০০৯) চলচ্চিত্রের পরেই শার্লক হোমস চলচ্চিত্রের অবস্থান ছিল বড়দিনের সপ্তাহ শেষ পর্যন্ত। শার্লক হোমস শেষ পর্যন্ত ২০০৯ সালের ৮ম সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছিল।[১৫৭][১৫৮]
ডাউনিকে শার্লক হোমস চরিত্রে অভিনয়ের জন্য হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন থেকে মোশন পিকচার মিউজিকাল বা কমেডির মধ্যে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য তাকে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার দেওয়া হয়। ডাউনি তার গ্রহণযোগ্যতার কথাবার্তায় উল্লেখ করেছেন যে তিনি একটি মন্তব্য প্রস্তুত রাখেনন কারণ সুসান ডাউনি (তার স্ত্রী এবং শার্লক হোমস চলচ্চিত্রের একজন প্রযোজক) আমাকে বলেছিলেন যে, ম্যাট ডেমন (সন্ধানদাতা ভূমিকার জন্য মনোনীত!) জিততে যাচ্ছিল তাই একটি বক্তৃতা প্রস্তুতিতে বিরক্তি হওয়া যাবে না।[১৫৯] ২০০৯ এর নভেম্বরে পিপল ম্যাগাজিনের ‘দ্য সেক্সিয়েস্ট ম্যান এলাইভ’ সংখ্যায় তাকে বিশ্বের সেরা জীবিত সেক্সি পুরুষ হিসেবে ৫ নম্বরে উল্লেখ করা হয়।[১৬০]
২০০৮ সালে আয়রন ম্যান চলচ্চিত্রের অসাধারণ সাফল্যের পর, ডাউনি পরবর্তীতে আরো দুটি আয়রন ম্যান এবং সুপারহিরো দল সমন্বিত দ্য অ্যাভেঞ্জার্স চলচ্চিত্র গুলোতেও টনি স্টার্কের চরিত্রে ধারাবাহিক ভাবে অভিনয় চালিয়ে যেতে রাজি ছিলেন।[১৬১] ২০০৮ এর শেষে দ্য ইনক্রেডিবল হাল্ক চলচ্চিত্রে একটি ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করার পর, ডাউনি ২০১০ সালের মে মাসে আবার ফিরে আসেন তার পরিকল্পিত দুটি সিক্যুয়াল টনি স্টার্ক চরিত্রের আয়রন ম্যান ও আয়রন ম্যান ২ চলচ্চিত্রে।[১৬২] আয়রন ম্যান ২ বিশ্বব্যাপী ৬২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি আয় করে ও ২০১০ সালে ৭তম সর্বাধিক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে পরিণত হয়।[১৬৩][১৬৪][১৬৫]
ডাউনির আরেকটি বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র হল কমেডি রোড চলচ্চিত্র ডিউ ডেট। ২০১০ সালের নভেম্বরে মুক্তি পাওয়া এ চলচ্চিত্রটিতে সহ-অভিনেতা জ্যাক গ্যালিফিআনকিসের সাথে তিনি অভিনয় করেন।[১৬৬][১৬৭] এটি বিশ্বব্যাপী ২১১ মিলিয়ন আয় করে এবং ২০১০ সালের ৩৬তম সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।[১৬৮]
২০১১ সালে ডাউনি গাই রিচি পরিচালিত অ্যাকশন-রহস্য চলচ্চিত্র শার্লক হোমস: আ গেম অব শ্যাডোস-এ অভিনয় করেন। এখানে মুখ্য চরিত্র শার্লক হোমসের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি, এবং সহ-অভিনেতা হিসেবে জ্যুড ল অভিনয় করেন ড. জন ওয়াটসনের চরিত্রে।[২৩] এটি ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শার্লক হোমস চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় পর্ব, যা ৬ই ডিসেম্বর ২০১১ সালে বিশ্বব্যাপী মুক্তি পায়।[১৬৯] চলচ্চিত্রটি সমালোচকসহ সর্বমহলের প্রশংসা লাভ করে, এবং বিশ্বব্যাপী ৫৪৫.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।[১৭০]
২০১২ সালে মার্ভেল কমিক্সের একই নামের সুপারহিরো দল সমন্বিত দ্য অ্যাভেঞ্জার্স চলচ্চিত্রে আয়রন ম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করেন ডাউনি।[১৭১] মার্ভেল ঘোষণা দেয় যে তারা দ্য অ্যাভেঞ্জার্স চলচ্চিত্রটি ২০১১ সালে মুক্তি দেবে, কিন্তু পরবর্তীকালে মুক্তির তারিখ এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছে।[১৭২] ২২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত জস হেডনের ‘এ চলচ্চিত্রটি সারাবিশ্ব থেকে ১,৪৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।[১৯] এটি উভয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বব্যাপী সর্বকালের পঞ্চম সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।[১৭৩][১৭৪]
২০১৪ সালে সান দিয়েগো কমিক-কন ইন্টারন্যাশনাল সম্মেলন কেন্দ্রে ডাউনি
২০১৬ সালে দ্য লন্ডন প্রিমিয়ারে ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার চলচ্চিত্রের নির্বাচিত অভিনেতা ডাউনি এবং মার্ভেল সুপারহিরোদল।
২০১৩ সালে তিনি আয়রন ম্যান চলচ্চিত্রের তৃতীয় পর্ব আয়রন ম্যান ৩ -এ পুনরাবৃত্তি টনি স্টার্কের চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৭৫] ধারাবাহিকটির প্রথম দুই পর্ব জন ফেবেরু পরিচালনা করলেও এবারের পর্বের দায়িত্বে ছিল শেন ব্ল্যাক। চলচ্চিত্রটি বহুল পরিমাণে ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করে। মার্ভেল স্টুডিও মন্তব্য করে, ১৬ই আগস্ট ডাউনি এ চলচ্চিত্রের সেটে একটি স্টান্ট পারফর্মের সময় গোড়ালি মচকে আহত হন।[১৭৬][১৭৭][১৭৮] একই বছরে চীনে অনুষ্ঠিত ঐ চলচ্চিত্রের প্রিমিয়ারে ডাউনির ৪৮তম জন্মদিন উপলক্ষে ভক্তদের নিকট হতে একটি শুভেচ্ছা কার্ড উপহার পেয়েছিলেন। গিনেস বিশ্ব রেকর্ড অনুযায়ী, রবার্ট ডাউনি জুনিয়র ৫,৩৩৯ জন ভক্তের স্বাক্ষর সমন্বিত একটি জন্মদিনের কার্ড পেয়েছেন, যা বিশ্বের সবচেয়ে অবদানসমূহ অভিবাদন কার্ড হিসেবে একটি নতুন বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করে।[১৭৯][১৮০]
ডাউনি রুশো ব্রাদার্স পরিচালিত মার্ভেল কমিকস চরিত্রের ক্যাপ্টেন আমেরিকা সমন্বিত অ্যাকশনধর্মী চলচ্চিত্র ক্যাপ্টেন আমেরিকা: সিভিল ওয়ার -এ পুনরায় টনি স্টার্কের ভূমিকায় অভিনয় করেন।[১৯৪][১৯৫][১৯৬] এটি ২০১৬ এর এপ্রিলে মুক্তি পায় এবং বিশ্বব্যাপী ১.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা এই চলচ্চিত্রটি ছিলো আন্তর্জাতিকভাবে একটি ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।[১৯৭] চলচ্চিত্রটি ইতিবাচক সাড়ার সাথে সাথে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার লাভ করে এবং ডাউনির অভিনয় প্রশংসিত হয়।[১৯৮][১৯৯]
দ্য ফিউচারিস্ট নামে গানের একটি অ্যালবাম বের করেন তিনি। এটি মূলত ২০০৪ সালের ২৩ নভেম্বর সনি ক্লাসিক্যাল রেকর্ডস কর্তৃক প্রকাশিত ডাউনি জুনিয়রের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম, মূলত এই অ্যালবামের মাধ্যমেই রবার্ট ডাউনি জুনিয়র অভিনেতার পাশাপাশি সংঙ্গীত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। জোনাথন ইলিয়াস ও মার্ক হাডসন দ্বারা প্রযোজিত হয় দ্য ফিউচারিস্ট অ্যালবাম। অ্যালবামটি বিলবোর্ডের ২০০ চার্ট সংখ্যার মধ্যে ১২১ তমতে আত্মপ্রকাশিত হয়। তার প্রথম সপ্তাহে ১৬,০০০ কপি বিক্রি হয়।[২০৫][২০৬]
অ্যালবামটি মিশ্র পর্যালোচনা পেয়েছে, ডাউনি ২০০৬ সালে শুরু করেছিলেন কিন্তু তিনি সম্ভবত অন্য আরেকটি নতুন অ্যালবাম করবেন না, অ্যালবামের কাজ শেষ করার পর তিনি নিজের মধ্যে শক্তি অনুভব করলেন এবং এতে কোন ক্ষতিপূরণ হয় নি। ২০০৫ সালে কিস কিস ব্যাং ব্যাং চলচ্চিত্রের শেষে ডাউনি "ব্রকেন" গানটি যোগ করা হয়।
১৪ জুন, ২০১০ সালে, রবার্ট ডাউনি জুনিয়র এবং তার স্ত্রী সুজান ডাউনি, ওয়ার্নার ব্রস. প্রোডাকশন কোম্পানি ভিত্তিক তাদের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা অধিকারী টীম ডাউনি নামক কোম্পানী গঠন করেন।[২০৭][২০৮] এবং ডেভিড গ্যামবিনোকে এই প্রডাকশনের একজন সাময়িক উৎপাদনের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেন।[২০৯][২০৯] তাদের প্রথম উৎপাদন প্রকল্পেটি হল ইউকাটান,[২১০] এটি হল একটি চুরির চলচ্চিত্র, মূলত নিজের জন্য একটি তারকা বাহন হিসেবে স্টিভ ম্যাকুইন দ্বারা কাজ করেছেন।[২১১]কলাম্বিয়া পিকচার্স ২০ অক্টোবর ঘোষণা দেয় যে, 'নিল স্ট্রস অ কথাসাহিত্য ২০০৯ সালে বিক্রিত জরুরি অধিকারী প্রাপ্ত ছিলেন! এই বই আপনার জীবন রক্ষা করতে চায়। বই একটি বৈশিষ্ট্য উৎপাদিত মধ্যে উন্নত করা হয় টিম ডাউনি দ্বারা।[২১২]
তারা এক সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠভাবে জোরদার কাজ করতে নেমেছেন।[২১৩] তাদের কোম্পানির প্রথম চলচ্চিত্রটি হল দ্য জাজ্[২১৪][২১৫]
১৯৮৪ সালে অভিনেত্রী সারাহ জেসিকা পার্কারের সাথে ডাউনি প্রেম শুরু করেন, আর এ প্রেম শুরু হয় ফার্স্ট বর্ন চলচ্চিত্রে একসাথে কাজ করার পর থেকে।[২১৬][২১৭] তিনি এবং পার্কার সাত বছর পর্যন্ত একসঙ্গে থাকেন।[২১৮] দম্পতি ১৯৯১ সালে আলাদা হয়ে যায় ডাউনির মাদকাসক্তির কারণে।[২১৯][২২০][২২১]
ব্যক্তিগত জীবনে ডাউনি দুইবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনি প্রথমে অভিনেত্রী/গায়ক ডেবোরা ফ্যালকনারের সঙ্গে ২৯শে মে ১৯৯২ সালে বিবাহ করেছেন। মাত্র দুই বছরের মধ্যেই ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাদের পুত্র 'ইন্ডিয়ো ফ্যালকনার ডাউনি' জন্মগ্রহণ করেন।[২২২] অবশেষে ফ্যালকনার ডাউনিকে ছেড়ে দেন এবং তাদের একমাত্র ছেলেকে তার সঙ্গে রাখেন।[২২৩] ডাউনি এবং ফ্যালকনার ২৬ এপ্রিল ২০০৪ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়।[২২৪][২২৫]
২০০৩ সালে ডাউনি গথিকা চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় প্রযোজক সুজান লেভিন এর সাথে পরিচয় হন। সুজান জোয়েল সিলভার প্রোডাকশন কোম্পানির কো-সভাপতি ছিলেন।[২২৬] ডাউনি এবং সুজান প্রডাকশনের কাজের সময় খুব তাড়াতাড়ি প্রেমে পড়ে গিয়েছিল, যদিও সুজান দুইবার তার আবেগপ্রবণ অগ্রগতি ফিরিয়ে দিয়েছিল।[২২৭][২২৮] সুসান চিন্তিত ছিলেন যে চলচ্চিত্রের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর তাদের ভালোবাসা আর স্থায়ী হবে না, কারণ "তিনি একজন অভিনেতা; আর আমার একটি স্থায়ী চাকরি আছে", দম্পতির সম্পর্ক গোঠিকার প্রোডাকশনের কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরেও অবিরত চলতে থাকে। সুজানের ত্রিশতম জন্মদিনের আগের দিন রাতে ডাউনি জুনিয়র তাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তাব দেয়।[২২৯] নিউ ইয়র্কের একটি ইহুদি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দম্পতিটি ২০০৫ সালের আগস্ট মাসে তাদের বিবাহ সম্পন্ন করেন।[২৩০][২৩১][২৩২] তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সমর্থনসূচক কার্য হিসেবে ডাউনি তার একটি দ্বিশির মাংসপেশীতে "Suzie Q" নামে একটি উলকি আকান।[২৩৩][২৩৪] তাদের প্রথম সন্তান এক্সটন এলিয়াস নামে এক পুত্র ফেব্রুয়ারি ২০১২-এ জন্ম নেয়[২৩৫][২৩৬] এবং তাদের দ্বিতীয় সন্তান অ্যাভ্রি রোয়ল নামে এক কন্যা নভেম্বর ২০১৪-এ জন্ম নেয়।[২৩৭][২৩৮][২৩৯]
ডাউনি জুলাই ২০০৩ সাল থেকে মাদক সেবন ছেড়ে দিয়েছেন।[২৪০] তার মাদক এবং অ্যালকোহল অভ্যাসগুলো কাটিয়ে উঠতে তার স্ত্রী তাকে সাহায্য করেছেন, তার পরিবার সহ, আরোগ্য, ধ্যান, বারো ধাপে পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম, যোগব্যায়াম ও উইং চুনকুংফু চর্চা,[২৪১]মার্শাল আর্ট, তিনি "এরিক ওরাম", যিনি ডাউনি চলচ্চিত্র কয়েকটি মারামারির পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন।[২৪২][২৪৩] ডিসেম্বর ২০১৬ সালে, ডাউনি তার পূর্বে ড্রাগ প্রত্যয়ের জন্য ক্যালিফোর্নিয়া "জেরি ব্রাউন" গভর্নর থেকে একটি পূর্ণ এবং নিঃশর্ত ক্ষমা পেয়েছেন।[২৪৪][২৪৫]
একটি সভা আলোচনায়, রাসেল ম্যাকএডামস ডাউনির সঙ্গে শার্লক হোমস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, তিনি ডাউনির প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নৈতিক কাজের জন্য তাকে "সুপারহিরো" বলেছেন।[২৪৭] একই সভা আলোচনায়, ডাউনি বর্ণনা দেন কীভাবে তিনি দীর্ঘ ঘণ্টা এবং অনেক সপ্তাহান্তে কাজ করে হোমস তার চিত্রাঙ্কন এর নির্ভুলতার প্রত্যয়ন নিশ্চিত সাহায্য করার জন্য ছবিটিতে সাফল্য আনিয়েছেন।[২৪৭]
২০০৮ এর একটি সাক্ষাৎকারে, ডাউনি বলেছেন যে কারাগারে তার সময় কিছুটা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করেছে, বলছেন, "রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ আমার কাছে সত্যিই একটি মজাদার দিক এবং এটা সবসময় আমার খুব জোরে বলার কিছু নেই যে ডিনার টেবিলটা এখানে, কিন্তু আপনি লা মিরেজে ২,০০০ ডলারের এক রাত্রি সুইট থেকে কারাগারে যেতে পারেন না এবং সত্যিই এটা বুঝতে ও উদারপন্থী বেরিয়ে আসতে পারেন। আপনি পারেন না। আমি চাইনা এই অভিজ্ঞতাটা অন্য কেউ পায়, কিন্তু এটি ছিল খুব, খুব, খুব শিক্ষামূলক আমার জন্য এবং আমার স্বাভাবিক প্রবণতাগুলো জানানো হয়েছে এবং রাজনীতি তখন থেকেই।"[২৪৮][২৪৯][২৫০] যাহোক, যখন ২০১৫ সালে অ্যাভেঞ্জার্স: এজ অব আলট্রন প্রচারণায় একটি সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়, তিনি অস্বীকার করেন যে তার আগের বক্তব্য তার অংশে দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বাসের প্রতিফলিত হয়েছে, এবং বলেন, আমি বলব না যে আমি একজন রিপাবলিকান অথবা একজন উদারনৈতিক বা ডেমোক্র্যাট।[২৫১][২৫২][২৫৩]
ডাউনি ২০১৬ সালের নির্বাচনের জন্য অন্যান্য কীর্তিদের সাথে মিলে একটি বাণিজ্যিক ভিডিও প্রচার করেন, যেই ভিডিওতে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জনগণদের ভোট দিতে উৎসাহিত করা হয়।[২৫৭][২৫৮][২৫৯][২৬০]
একটি সভা আলোচনাতে ডাউনির অভিনীত শার্লক হোমস চলচ্চিত্রের সহ-তারকা র্যাচেল ম্যাকঅ্যাডাম্স তার "প্রতিজ্ঞাবদ্ধ" নৈতিক কাজের জন্য তাকে একটি "সুপারহিরো" বলেছেন।[২৪৭] একই সভায় ডাউনি বর্ণনা করেন হোমসের ছবির নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য তিনি কীভাবে দীর্ঘ ঘণ্টা এবং অনেক সপ্তাহান্তে কাজ করেছেন যাতে চলচ্চিত্র সফল করার জন্য সাহায্য করতে পারেন।
রবার্ট ডাউনি জুনিয়র তার সুঅভিনয়ের জন্য দীর্ঘ অভিনয় জীবনে পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা। তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে দুই বার একাডেমি পুরস্কারে (অস্কার) মনোনীত হন।
↑রবহ্মেদ, নাটালি (৪ আগস্ট ২০১৫)। "The World's Highest-Paid Actors 2015: Robert Downey Jr. Leads With $80 Million Haul"। ফোর্বস (ইংরেজি ভাষায়)। Archived from the original on ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৬। রবার্ট ডাউনি জুনিয়রের আকাশছোঁয়া ৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পারিশ্রমিক হল গ্রহের যেকোনো নেতৃত্ব দানকারী ব্যক্তির থেকেও অধিক।উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বট: আসল-ইউআরএলের অবস্থা অজানা (link)
↑Stated on Finding Your Roots with Henry Louis Gates Jr., PBS, April 22, 2012
↑"BIOGRAPHY: Robert Downey Jr. Lifetime"। lifetimetv.co.uk (ইংরেজি ভাষায়)। নভেম্বর ১৮, ২০১৪। জানুয়ারি ৬, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৬, ২০১৬।
↑উইনস্টন ডিক্সন, হুইলার (মে ৩, ২০১৫)। "Roberty Downey Sr.'s Pound (1970)"। নেব্রাস্কা-লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি ভাষায়)। ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ডিসেম্বর ১০, ২০১৬।
↑রথম্যান, লিলি (June July 1, 2014)। "Robert Downey Jr.'s First-Ever Movie Appearance Was Pretty Absurd"। time.com (ইংরেজি ভাষায়)। টাইম। সংগ্রহের তারিখ July 1, 2014। রবার্ট ডাউনি জুনিয়র পাঁচ বছর বয়সে তার বাবার পরিচালিত ১৯৭০ সালের পাউন্ড চলচ্চিত্রে একটি অসুস্থ কুকুরছানার ভূমিকায় সর্বপ্রথম অভিনয় করেছিলেন।এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
↑"Downey Jr Was A Ballet Student" (ইংরেজি ভাষায়)। Contact Music। মে ২২, ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১, ২০১০।Authors list-এ |প্রথমাংশ1= এর |শেষাংশ1= নেই (সাহায্য)
↑ট্রেসনলোশকি, অ্যালেক্স (ডিসেম্বর ১৮, ২০০০)। "Bad to Worse"। People.com (ইংরেজি ভাষায়)। অক্টোবর ১৯, ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১, ২০১০।
↑Sheridan, Chris (২০০৫)। Family Guy season 4 DVD commentary for the episode 'The Fat Guy Strangler' (DVD)। 20th Century Fox।উদ্ধৃতি টেমপ্লেট ইংরেজি প্যারামিটার ব্যবহার করেছে (link)
↑Anderson, John (মে ১, ২০০৮)। "Nerve Of Steel"। The Washington Post (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ মে ২, ২০০৮।
↑"Jon Favreau's Global Blockbuster: 'Iron Man'"। biography.com (ইংরেজি ভাষায়)। বিখ্যাতদের জীবনী ও টিভি শো। এপ্রিল ৫, ২০১৬। সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১২, ২০১৬।
↑"Jon Favreau"। ironman.wikia.com (ইংরেজি ভাষায়)। উইকিয়া। সেপ্টেম্বর ২৯, ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৯, ২০০৯।
↑Masuda, Sylvia (April 04, 2013)। "Downey Jr. in Seoul to promote Iron Man 3"। koreatimes.co.kr। The Korea Times। সংগ্রহের তারিখ April 04, 2013।এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
↑Michaud, Sarah; Leonard, Elizabeth (ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১২)। "Robert Downey Jr. Welcomes Son Exton Elias"। পিপল (ইংরেজি ভাষায়)। ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১২।
↑গুরু-মুঠী, কৃষ্ণান (April 22, 20158)। "Robert Downey Jr walks out on Krishnan Guru-Murthy"। Channel 4 News (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ July 30, 2015। A Channel 4 News interview with film star Robert Downey Jr comes to an abrupt end when the questions turn to his family and colourful past.এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
ট্রিভিয়া টাইম (২০১৩)। Robert Downey Jr Trivia। CreateSpace Independent Publishing Platform। পৃষ্ঠা ৮৬। আইএসবিএন9781493742134।
Sarah Tieck (২০১৪)। Robert Downey Jr.:: Star of Iron Man। ABDO Publishing Company। পৃষ্ঠা 32। আইএসবিএন9781629680538।
ম্যাকডোনাল্ড, এরিন ই. (9 October, 2014)। Robert Downey Jr. from Brat to Icon: Essays on the Film Career (সংশোধিত সংস্করণ)। ম্যাকফারল্যান্ড। পৃষ্ঠা ৩১২। আইএসবিএন9781476617039।এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
গ্রিন, ম্যাট। Celebrity Biographies - The Amazing Life Of Robert Downey Jr. - Famous Stars। ম্যাট গ্রিন।
Matt Green। Celebrity Biographies - The Amazing Life Of Leonardo Di Caprio and Robert Downey Jr. - Famous Stars। ম্যাট গ্রিন।
Matthew Pratt Guterl (২০১৩)। Seeing Race in Modern America। UNC Press Books। পৃষ্ঠা 248। আইএসবিএন1469610698।
Audrey Taylor Henry (২০০৯)। The Sound of Applause। Dorrance Publishing। পৃষ্ঠা 158। আইএসবিএন1434963500।
Giacomo Papi (২০১১)। Booked: The Last 150 Years Told through Mug Shots। Seven Stories Press। পৃষ্ঠা 231। আইএসবিএন1609800966।
John Taccarinoo (এপ্রিল ৭, ২০১৬)। S (Success) - Factor: The Psychological Roots of Success। Motivational Press। আইএসবিএন1531263283।
ক্যাসি, ড্যান (মে ১, ২০১৫)। 100 Things Avengers Fans Should Know & Do Before They Die। Triumph Books। পৃষ্ঠা 256। আইএসবিএন162937086X।
ডোনাল্ড এম. হোয়েলী, জেমস মাইকেল ওয়েলশ (২০১৩)। The Oliver Stone Encyclopedia (illustrated সংস্করণ)। Rowman & Littlefield। পৃষ্ঠা ৩৪৫। আইএসবিএন081088352X।
Sarteschi, Christine M. (২০১৬)। Mass and Serial Murder in America। Springer। পৃষ্ঠা ৭৬। আইএসবিএন9783319442815।