রবার্ট ব্রুস মেরিফিল্ড | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
মৃত্যু | ১৪ মে ২০০৬ | (বয়স ৮৪)
জাতীয়তা | ![]() |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইউসিএলএ (পিএইচডি, ১৯৪৯) |
পরিচিতির কারণ | কঠিন দশায় পেপটাইড সংশ্লেষণ |
পুরস্কার | অ্যালবার্ট ল্যাস্কার চিকিৎসা গবেষণা পুরস্কার (১৯৬৯) গাইর্ডনার ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক পুরস্কার(১৯৭০) রসায়নে নোবেল পুরস্কার (১৯৮৪) গ্লোল্ডেন প্লেট পুরস্কার(১৯৮৫)[১](1985) গ্লেন টি সিবর্গ পদক (১৯৯৩) রাসায়নিক অগ্রদূত পুরস্কার(১৯৯৩) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | প্রাণরসায়ন |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া অ্যাট লস অ্যাঞ্জেলেস (ইউসিএলএ) রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয় |
রবার্ট ব্রুস মেরিফিল্ড (১৫ জুলাই ১৯২১-১৪ মে ২০০৬) একজন মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ ছিলেন, যিনি ১৯৮৪ সালে কঠিন দশায় পেপটাইড সংশ্লেষণ আবিষ্কারের জন্য নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। [২]
১৯২১ সালের ১৫ জুলাই রবার্ট ব্রুস মেরিফিল্ড টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জর্জ ই মেরিফিল্ড ও লরেন লুকাসের একমাত্র সন্তান। ১৯২৩ সালে তাঁর পরিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। নয়টি গ্রেড স্কুল ও দুইটি উচ্চবিদ্যালয়ে রবার্ট অধ্যয়ন করেন। ১৯৩৯ সালে মন্টবেলো উচ্চ বিদ্যালয় হতে তিনি স্নাতক হন। সেখানে পড়াকালীন তাঁর অন্তরে রসায়ন ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়।
পাসাডোনিয়া জুনিয়র কলেজে দুই বছর পড়াশোনা করার পর মেরিফিল্ড ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লস অ্যাঞ্জেলেস শাখায় লেখাপড়া করেন। রসায়নে স্নাতক হবার পর তিনি ফিলিপ আর পার্ক গবেষণা ফাউন্ডেশনে চাকরি করেন। সেখানে অ্যামাইনো এসিডের উপর গবেষণাকার্যে মেরিফিল্ড বিশেষ সাহায্য প্রদান করেন। এখানেই বিজ্ঞানী গাইগার প্রমাণ করেন, দেহের যথাযথ বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক অ্যামিনো এসিড অবশ্যপ্রয়োজন।
তিনি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিভাগে লেখাপড়া করেন। প্রাণরসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এম এস ডানের সঙ্গে তিনি পাইরিমিডিনের পরিমাণ নির্ণয়ে আণবিক জীববিদ্যাগত পদ্ধতি আবিষ্কারে কাজ করেন। স্নাতক হবার পরের দিন, ১৯৪৯ সালের ১৩ জুন রবার্ট এবং এলিজাবেথ ফার্লং বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অতঃপর তারা নিউ ইয়র্কে গমন করেন, যেখানে রবার্ট রকফেলার চিকিৎসা গবেষণা ইনস্টিটিউটে যোগদান করেন।
রকফেলার ইনস্টিটিউটে (যা পরবর্তীতে রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়) তিনি ড. ডি ডব্লিউ উলির অধীনে সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উলি ডাইনিউক্লিওটাইড গ্রোথ ফ্যাক্টর বা বৃদ্ধি নিয়ামকের উপর কাজ করছিলেন। এই কাজের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে পেপটাইড সংশ্লেষণের প্রয়োজন অনুভূত হয়। এর উপর ভিত্তি করে মেরিফিল্ড ১৯৫৯ সালে কঠিন দশায় পেপটাইড সংশ্লেষণের ক্রিয়াকৌশল আবিষ্কার করেন। ১৯৬৩ সালে তিনি এ বিষয়ে " জার্নাল অব দ্য আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি"-তে গবেষণাপত্র রচনা করেন। [৩] জার্নালটির ইতিহাসে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ উদ্বৃত গবেষণাপত্র।
ষাটের দশকের মধ্যভাগে ড.মেরিফিল্ডের বিজ্ঞানাগারে ব্র্যাডিকাইনিন, অ্যানজিওটেনসিন, ডিস্যামিনো অক্সিটোসিন এবং ইনসুলিনের সংশ্লেষণকার্য সম্পন্ন হয়। ১৯৬৯ সালে রবার্ট ও তার সহকর্মী বার্নড গাটে রাইবোনিউক্লিয়েজ এ - এর সংশ্লেষণপদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তার কাজ এনজাইমের রাসায়নিক প্রকৃতি নির্ণয়ে ভূমিকা রাখে। [৪][৫]
উৎসেচক, প্রাণরস ও রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডির গঠন ও কাজ সম্পর্কে রবার্ট সম্যক ধারণা প্রদান করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি "লাইফ ডিউরিং এ গোল্ডেন এজ অব পেপটাইড কেমিস্ট্রি"(পেপটাইড রসায়নের স্বর্ণযুগে জীবন) নামক আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। আণবিক জীববিদ্যা -বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯৯৮ সালে "অ্যাসোসিয়েশন অব বায়োমলিকিউলার টেকনোলজিস" প্রদত্ত বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হন।
মেরিফিল্ডের স্ত্রী এলিজাবেথ ফার্লং জীবতত্ত্ববিদ হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। ছয় সন্তান জেমস, ন্যান্সি, বেটসি, ক্যাথি, লৌরি ও স্যালি-কে বড় করার পর তিনি রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিফিল্ড বিজ্ঞানাগারে যোগ দেন। সেখানে তিনি ২৩ বছর চাকরি করেন।
দীর্ঘ অসুস্থতার পর নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের ক্রেসকিল শহরে ৮৪ বছর বয়সে ২০০৬ সালের ১৪ মে রবার্ট মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তিনি ছয় সন্তান ও ষোল জন নাতি-নাতনিকে রেখে যান। এলিজাবেথ ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পরলোকগমন করেন।
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)
|তারিখ=
(সাহায্য)