রবি নারায়ণ রেড্ডি | |
---|---|
সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৬২ – ১৯৬৭ | |
পূর্বসূরী | দেবুলাপল্লী ভেঙ্কটেশ্বর রাও |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ ইউনুস সেলিম |
সংসদীয় এলাকা | নালগোণ্ডা |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বোলেপল্লী, হায়দ্রাবাদ রাজ্য, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে তেলেঙ্গানা, ভারত) | ৫ জুন ১৯০৮
মৃত্যু | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত (বর্তমানে তেলেঙ্গানা, ভারত) | (বয়স ৮৩)
রাজনৈতিক দল | ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি |
পেশা | ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, তেলেঙ্গানা বিদ্রোহ |
পুরস্কার | পদ্মবিভূষণ (১৯৯২) |
রবি নারায়ণ রেড্ডি ( ৫ জুন ১৯০৮ - ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯১) ছিলেন ভারতীয় রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, কৃষক নেতা এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তিনি উসমান আলি খান, সপ্তম আসাফ জাহ-এর শাসনের বিরুদ্ধে তেলেঙ্গানা বিদ্রোহের নেতা ছিলেন। জনহিতৈষী, সমাজ সংস্কারক রেড্ডি [১] ছিলেন সংসদ সদস্যও। তেলেঙ্গানায় কৃষক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তেলেঙ্গানায় বিখ্যাত হন। [২] রবি নারায়ণ রেড্ডি ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে অন্ধ্র মহাসভার চেয়ারম্যান হিসাবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। [৩] ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকার পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ সম্মান প্রদান করে। [৪]
রবি নারায়ণ রেড্ডি এক সমৃদ্ধ জমিদার পরিবারের সন্তান ছিলেন, তবুও তিনি কৃষকের অধিকার এবং স্বার্থের জন্য সদা নিবেদিত ছিলেন। [৫] ছাত্রাবস্থায় তিনি ১৯৩০-৩৪ খ্রিস্টাব্দের আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন।
১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে, রেড্ডি পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের ( ভারতের নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টির ছদ্মনাম ) হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এবং জওহরলাল নেহরুর চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে এবং স্বাধীন ভারতে প্রথম সাংসদ হন। [৬]
হায়দ্রাবাদের বাঞ্জারা হিলসে তেলেঙ্গানা শহীদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট রেড্ডির স্মরণে, রবি নারায়ণ রেড্ডি মেমোরিয়াল অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্স-এ তার নামাঙ্কিত মিলনায়তন নির্মাণ করে। [১]
২০০৬ খ্রিস্টাব্দে, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবি বর্ধনকে রবি নারায়ণ রেড্ডি মেমোরিয়াল ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন পুরস্কার প্রদান করেন ।[৭]
ভারত সরকার ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দের পাবলিক অ্যাফেয়ার্সে অবদান রাখার জন্য দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণ (মরণোত্তর) প্রদান করে।[৪]