ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রবিন ডেভিড জ্যাকম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | শিমলা, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত | ১৩ আগস্ট ১৯৪৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ কেপ টাউন, পশ্চিম কেপ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স ৭৫)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | জ্যাকার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি (১.৭৫ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৪৯০) | ১৩ মার্চ ১৯৮১ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৬ আগস্ট ১৯৮২ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৯) | ১৩ জুলাই ১৯৭৪ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৩ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৬৬ - ১৯৮২ | সারে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭১/৭২ | ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭২/৭৩ - ১৯৭৬/৭৭ | রোডেশিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৩ - ১৯৮১ | মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৯/৮০ | জিম্বাবুয়ে-রোডেশিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৫ মে ২০১৭ |
রবিন ডেভিড জ্যাকম্যান (ইংরেজি: Robin Jackman; জন্ম: ১৩ আগস্ট, ১৯৪৫ - মৃত্যু: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০) ব্রিটিশ ভারতের শিমলায় জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৩ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে চার টেস্ট ও পনেরোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন রবিন জ্যাকম্যান।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ সিম বোলার হিসেবে অংশগ্রহণ করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে কার্যকরী ব্যাটসম্যানের ভূমিকা পালন করতেন।
১৯৬৬ থেকে ১৯৮২ সময়কালে সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে ১,৪০২ উইকেট পেয়েছেন। ১৯৭১ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী সারে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও, ১৯৭১-৭২ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়েস্টার্ন প্রভিন্স এবং ১৯৭২-৭৩ থেকে ১৯৭৯-৮০ সময়কালে রোডেশিয়ার পক্ষে খেলেছেন।
১৯৮০-৮১ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তার ভিসা নাকচ করে দেয়। তৎকালীন বর্ণবৈষম্যবাদের কারণে নিষিদ্ধ ঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকায় তার সম্পর্ক থাকাই এর প্রধান কারণ ছিল।[২] গায়ানায় ইংরেজ দল গেলেও জর্জটাউনের পেগাসাস হোটেলে এ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেনি। তবে, জর্জটাউন ক্রিকেট ক্লাবে (জিসিসি) খেলাটি বাতিল হয়ে যায়।[২]
গায়ানায় তার উপস্থিতি ইংরেজ সমর্থক ও খেলোয়াড়দেরকে বেশ উজ্জীবিত করে। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছে তা মনে হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকান এক রমণীকে বিয়ে করেছিলেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ কয়েকবার তাকে ঐ দেশ গমন করতে হয়। তৎকালীন নিষিদ্ধ দেশের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে গায়ানা কর্তৃপক্ষ তাকে নজরে রাখে। দ্বিতীয় টেস্ট বাতিল হলে পুরো সফরই ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। তবে, বার্বাডোসে তাকে কিছুটা ছাড় দেয়া হয়েছিল।
ক্রিকেট লেখক কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেন যে, রবিন জ্যাকম্যানের ন্যায় স্বল্প কিছু খেলোয়াড়ই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে নাটকীয় পরিবেশের সৃষ্টি করতে পেরেছেন। তবে, তার প্রকৃত খেলোয়াড়ী জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত সময় ও অদর্শনীয় ছিল। বেটম্যান আরও বলেন যে, জ্যাকম্যান উঁচুমানে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হলেও অবশেষে ৩৫ বছর বয়সে ইংল্যান্ড দলে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। এরফলে ১৯৮১ সালে টেস্টে অংশ নিয়ে বব উইলিসের গড়া রেকর্ডটি ভেঙ্গে ফেলেন।[১]
ক্রিকেট লেখক অ্যালান গিবসন তাকে ‘শোরডিচ স্প্যারো’ ডাকনামে আখ্যায়িত করতেন। তবে, শোরডিচ এলাকার সাথে জ্যাকম্যানের কোন সম্পর্ক ছিল না।
১৯৮১ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন।[৩] পূর্ববর্তী বছরের গ্রীষ্মে ১২১টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান যা গত ২০ বছরেরও অধিক সময়ে অন্য কেউ সক্ষমতা দেখাননি।
বর্তমানে তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার খেলার ধারাভাষ্য বিবরণীর জন্য টেলিভিশনের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ রয়েছেন। সাম্প্রতিককালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ধারাভাষ্যকার দলের অন্যতম সদস্যরূপে যুক্ত ছিলেন। অধিকাংশ সময়ই দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক অর্থের বিনিময়ে দর্শন চ্যানেল সুপারস্পোর্টের সাথে জড়িত তিনি।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। ১৯৬৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় ইয়োনি’র সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এরপর তারা ইংল্যান্ডে বিয়ে করেন ও সারের বিসলে এলাকায় অনেকগুলো বছর বসবাস করতে থাকেন। পরবর্তীতে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে আসেন। এ দম্পতির দুই কন্যা ছিল।[৪][৫] নভেম্বর, ২০২০ সালে এ দম্পতি তাদের বিবাহবার্ষিকীর সূবর্ণজয়ন্তী পালন করে।[৪]
ক্যান্সারে আক্রান্ত জ্যাকম্যানকে ৬ নভেম্বর, ২০১২ তারিখে চিকিৎসা করা হয়।[৬] ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে কেপ টাউনের নিজ গৃহে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়াসহ ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের সংক্রমণে রবিন জ্যাকম্যানের দেহাবসান ঘটে।[৭][৮]
Jackman, Robin and Bryden, Colin (2012). Jackers: A Life in Cricket. Pitch Publishing Ltd. আইএসবিএন ৯৭৮-১৯০৮০৫১৯৬৭.