ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রবিন ডেভিড ব্রাউন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কাদোমা, ম্যাশোনাল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে | ১১ মার্চ ১৯৫১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২) | ১১ জুন ১৯৮৩ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২৬ অক্টোবর ১৯৮৭ বনাম ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৬/৭৭ - ১৯৭৮/৭৯ | রোডেশিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪/৯৫ - ১৯৯৫/৯৬ | ম্যাশোনাল্যান্ড কান্ট্রি ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ |
রবিন ডেভিড ব্রাউন (ইংরেজি: Robin Brown; জন্ম: ১১ মার্চ, ১৯৫১) কাদোমা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও কোচ। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৭ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে রোডেশিয়া ও ম্যাশোনাল্যান্ড কান্ট্রি ডিস্ট্রিক্টস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন রবিন ব্রাউন।
১৯৭৬-৭৭ মৌসুম থেকে ১৯৯৫-৯৬ মৌসুম পর্যন্ত রবিন ব্রাউনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। পরিচ্ছন্ন ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে রবিন ব্রাউনের সুনাম ছিল। মাঝেমধ্যেই উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় নিজেকে উপস্থাপন করতেন তিনি। তবে, নিজেকে ক্রিকেট খেলায় পর্যাপ্ত সময়ে দিতে পারেননি। কারোইয়ে তামাক উৎপাদন কাজকে অগ্রাধিকার দেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাতটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলেন রবিন ব্রাউন। ঐ সময়ে জিম্বাবুয়ে দল আইসিসি’র পূর্ণাঙ্গ সদস্য না হওয়ায় টেস্টে অংশগ্রহণ করার সৌভাগ্য হয়নি তার। সবকটি খেলাই তিনি ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলেছেন। ১১ জুন, ১৯৮৩ তারিখে লিচেস্টারে ভারত দলের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ অক্টোবর, ১৯৮৭ তারিখে আহমেদাবাদে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে রোডেশিয়া/জিম্বাবুয়ে দলের প্রধান মেরুদণ্ডকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ক্রিকেট বিশ্বকাপে সাতটি ওডিআইয়ে অংশ নিলেও তেমন কোন সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেননি।
১৯৮৯-৯০ মৌসুম শেষে খেলার জগৎ থেকে অবসর নেন। কিন্তু, ১৮৮৪ সালে ৪৩ বছর বয়সে এক মৌসুম খেলেন। এ পর্যায়ে ম্যাশোনাল্যান্ড কান্ট্রি ডিস্ট্রিক্টসের পক্ষে অধিনায়কত্ব করেন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর হারারে স্পোর্টস ক্লাবের প্রধান মাঠ কর্মকর্তা পদে কাজ করতে থাকেন।
২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে রবিন ব্রাউন জিম্বাবুয়ের সহকারী কোচের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ২৮ আগস্ট, ২০০৭ তারিখে জিম্বাবুয়ের কোচ হিসেবে কেভিন কারেনের স্থলাভিষিক্ত হন।[১] দায়িত্ব নেয়ার দুই সপ্তাহ পরই ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় বিস্ময়করভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের জয়লাভের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তবে, এক বছর পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ তার সাথে ১২ মাসের চুক্তি নবায়ণে অস্বীকৃতিজ্ঞাপন করে। দল নির্বাচনে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রশ্নে সদস্যদের সাথে মতবিরোধ ঘটে। জুলাই, ২০০৮ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তাকে আর এ দায়িত্বে রাখা হয়নি।
তার পরিবর্তে আগস্ট, ২০০৮ সালে জিম্বাবুয়ের সাবেক অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ ওয়াল্টার চায়াগুতাকে দায়িত্বভার প্রদান করে। ২০১২ সালে ক্রিকেট কেনিয়া কর্তৃক ক্রিকেট উন্নয়ন প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর কেনিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের মর্যাদা লাভ করেন।[২]