ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
জাতীয়তা | আফগানিস্তান |
জন্ম | ৩ জুলাই ১৯৮৬ |
ক্রীড়া | |
ক্রীড়া | দৌড়বাজী |
রবিনা জালালি, বা রবিনা মুকিমার (জন্ম ৩রা জুলাই, ১৯৮৬ কাবুল, আফগানিস্তানে) একজন প্রাক্তন অলিম্পিক প্রতিযোগী যিনি ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিক গেমস ছাড়াও আরও ৩০টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ১০০মিটার দৌড়ে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন।[১] [২] খেলোয়াড় জীবনে তিনি মুকিমার পদবী ব্যবহার করতেন। তবে তিনি আফগান সংসদের নিম্নকক্ষ উলেসি জিরগাতে সদস্য আসনের জন্য নির্বাচন লড়েছেন তার পারিবারিক পদবী জালালি নিয়ে।[১]
মুসলিম মহিলাদের চিরাচরিত মস্তকআবরণী হিজাব পরে তিনি দৌড়ে অংশনিতেন, যা আন্তর্জাতিক ঔৎসুক্যের কারণ হয়।[১] আরও একটি কারণ হল তিনি প্রথম দুজন আফগান মহিলার একজন, যিনি অলিম্পিক গেমসে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি জুডোকা ফারিবা রেজাঈ-এর সাথে এথেন্সে অনুষ্ঠিত ২০০৪ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেন।
জালালিরা নয় ভাইবোন (সাত বোন ও দুই ভাই)। তার পিতা কম্পিউটার ব্যবসায়ী ছিলেন। এখন তিনি আফগান মহিলাদের সেলাই শেখানোর অলাভজনক সংস্থা চালান।[১] তালিবান জমানায় জালালি বাড়িতেই পড়াশোনা করেন, কারণ সে সময় মেয়েদের বিদ্যালয় যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। ২০০১ সালের পর তিনি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।[১] তালিবান শাসনকালের সম্পর্কে তিনি বলেন: “তালিবান শাসনে মহিলাদের কিছুই করার ছিলনা। বিদ্যালয়ে যাওয়া যেত না। খেলা যেত না, কিছুই করা করা যেত না। সর্বদা শুধু বাড়িতে থাকতে হত।”[৩]
মুকিমার মহিলাদের ১০০মিটারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।[৪] হিটে আটজনের মধ্যে সপ্তম হয়ে তিনি প্রতিযোগিতা শেষ করেন ১৪.১৪সেকেন্ড সময়ে সোমালিয়ার ফার্তুন আবুকর ওমরের থেকে ০.১৫ সেকেন্ড আগে। প্রতিযোগিতাটিতে ১১.১৭সেকেন্ড সময়ে জয়ী হন জামাইকার ভেরোনিকা ক্যাম্পবেল।[৫] এই সময় মুকিমারের বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর।[৬] বাকি প্রতিযোগীদের মত এরোডাইনামিক পোষাকের বদলে তিনি “টি-শার্ট ও লম্বা সবুজ রঙের ট্র্যাক প্যান্ট” পরে দৌড়েছিলেন।[৭]
বেইজিং-এ অনুষ্ঠিত ২০০৮ অলিম্পিকে প্রথমে তার অংশগ্রহণ করার কথা ছিল না,[৮] কিন্তু জুন মাসে মেহবুবা আদিয়ার অনুশীলন কেন্দ্র ছেড়ে নরওয়েতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে[৯], মুকিমার আফগান দলের[১০] সদস্যপদ গ্রহণ করেন। ২০০৮ অলিম্পিকে তিনি ১০০মিটার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, ও প্রথম রাউন্ডে ১৪.৮০সেকেন্ড সময়ে অষ্টম স্থান অধিকার করেন। ফলে আর অগ্রসর হতে পারেননি।[২]
গার্ডিয়ান তাকে অলিম্পিক আদর্শের সত্যিকারের প্রতিভূ বলে বর্ণনা করে বলে:
তিনি যুব ও মহিলা সমাজের অধিকারের দাবীতে নির্দলীয় হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।[১][১১] তার প্রতিশ্রুতি ছিল নির্বাচনে জিতলে আফগানিস্তানে বিদ্যালয়স্তরে খেলাধুলার উন্নতিসাধন।[১১] যদিও তিনি নির্বাচনে পরাজিত হন।[১২]
|তারিখ=
(সাহায্য)