রমানাথন কৃষ্ণন

রমানাথন কৃষ্ণন
রমানাথন কৃষ্ণান এবং রমেশ কৃষ্ণান কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী ড. এম.এস. নতুন দিল্লি, ২০০৯-এ গিলের সঙ্গে।
দেশ ভারত
বাসস্থানমাদ্রাজ, ভারত
জন্ম (1937-04-11) ১১ এপ্রিল ১৯৩৭ (বয়স ৮৭)
নাগেরকয়েল, ব্রিটিশ ভারত[][]
পেশাদারিত্ব অর্জন১৯৫৩ (অপেশাদার ট্যুর)
অবসর গ্রহণ১৯৭৫
খেলার ধরনডান হাতি (এক হাতে ব্যাকহ্যান্ড)
একক
শিরোপা৬৯[]
সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিংনং ৩[]
গ্র্যান্ড স্ল্যাম এককের ফলাফল
ফ্রেঞ্চ ওপেনকোয়ার্টার ফাইনাল (১৯৬২)
উইম্বলডনসেমি ফাইনাল (১৯৬০, ১৯৬১)
ইউএস ওপেন৩য় রাউণ্ড (১৯৫৭, ১৯৫৯)
দ্বৈত
গ্র্যান্ড স্ল্যাম দ্বৈতের ফলাফল
উইম্বলডনকোয়ার্টার ফাইনাল (১৯৫৫, ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬১, ১৯৬৫, ১৯৬৭)
দলগত প্রতিযোগিতা
ডেভিস কাপফাইনাল (১৯৫৬, ১৯৫৯, ১৯৬২, ১৯৬৩, ১৯৬৬, ১৯৬৮)

রমানাথন কৃষ্ণন (জন্ম ১১ই এপ্রিল ১৯৩৭)[] ভারতের একজন অবসরপ্রাপ্ত টেনিস খেলোয়াড় যিনি ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিলেন। তিনি ১৯৬০ এবং ১৯৬১ সালে উইম্বলডনে দুবার সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলেন, পটার'স অপেশাদার মর্যাদাক্রমে বিশ্বের ৩ নম্বরে পৌঁছেছিলেন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৯৬৬ ডেভিস কাপের চ্যালেঞ্জ রাউণ্ডে পৌঁছোতে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালের ডেভিস কাপে বিজয় অমৃতরাজআনন্দ অমৃতরাজ[] ভারতকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফাইনালে পৌঁছে দেওয়ার সময় রমানাথন নন প্লেয়িং অধিনায়ক ছিলেন।[]

টেনিস জীবন

[সম্পাদনা]

জুনিয়র

[সম্পাদনা]

রমানাথন তাঁর পিতা, টি কে রমানাথনের শিক্ষণে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করেছিলেন। নাগেরকয়েলের একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিলেন তাঁর বাবা। রমানাথন অল্প বয়সেই জাতীয় স্তরে নিজের দক্ষতার চিহ্ন রেখেছিলেন, সমস্ত জুনিয়র শিরোপা জয় করেছিলেন। তিনি ১৩ বছর বয়সী স্কুল ছাত্র হিসাবে, শুধুমাত্র কলেজ ছাত্রদের জন্য উন্মুক্ত বার্ট্রাম টুর্নামেন্টে অংশ নিতে লয়োলা কলেজের অধ্যক্ষ গর্ডনের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়েছিলেন এবং ১৯৫১ সালে এটি জিতেছিলেন।[][] রমানাথন ১৯৫৩ সালের উইম্বলডনে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেন এবং ছেলেদের একক শিরোপা ফাইনালে বিলি নাইটের কাছে হেরে যান। পরে তিনি লয়োলা কলেজের ছাত্র হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৫৪ সালে জুনিয়র উইম্বলডন জিতেছিলেন।[১০] প্রথম এশীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিনি এই শিরোপা জয় করেন,[১১] ফাইনালে তিনি অ্যাশলে কুপারকে পরাজিত করেন।

অপেশাদার

[সম্পাদনা]

১৯৫৭ সালে, রমানাথন ম্যানচেস্টারে নর্দার্ন লন টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে একক ফাইনালে পৌঁছেছিলেন, রয় এমারসন এবং রবার্ট বেডার্ডকে পরাজিত করে, কিন্তু ফাইনালে তিনি লিউ হোডের কাছে সরাসরি সেটে হেরে যান। তিনি ১৯৫৭ সালে কানাডিয়ান ওপেনের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন, কিন্তু ফাইনালে বেডার্ডের কাছে একটি হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে হেরে যান। এই বেডার্ডকে তিনি সেই মরশুমে ব্রিটেনে বেশ কয়েকবার পরাজিত করেছিলেন। রমানাথন ১৯৫৮ সালে নর্দার্ন লন টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট জেতেন, যার মধ্যে রড লেভারের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে জয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। একই বছর তিনি প্যাট্রিসিও রদ্রিগেজের বিরুদ্ধে অ্যাক্স-লেস-বেইনস আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন। ১৯৫৯ সালে, রমানাথন চূড়ান্ত দুই রাউন্ডে অ্যালেক্স ওলমেডো এবং নিল ফ্রেজার উভয়কেই পরাজিত করে কুইন্স ক্লাব শিরোপা জিতেছিলেন। তিনি ১৯৫৯ সালের উইম্বলডনে পুরুষদের একক প্রতিযোগিতায় ওলমেডোর কাছে তৃতীয় রাউন্ডে হেরে গিয়েছিলেন। কুইন্স ক্লাবে জেতার পর রমানাথন ১৯৫৯ সালে জ্যাক ক্র্যামারের কাছ থেকে রেকর্ড তিন বছরের $১৫০,০০০ গ্যারান্টি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।[১২][১৩] একই বছর পরে, ডেভিস কাপে ভারতের হয়ে খেলা, রমানাথন চার সেটে লেভারকে (উইম্বলডন রানার্সআপ) পরাজিত করেন।[১৪] ১৯৫৯ সালের প্যাসিফিক সাউথওয়েস্ট টুর্নামেন্টেও তিনি রড লেভারকে তিনটি সোজা সেটে পরাজিত করেন। রমানাথন ডেনভারে ১৯৫৯ সালের ইউএস হার্ড কোর্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। সেমিফাইনালে তিনি গার্ডনার মুলয়কে পরাজিত করেন এবং ফাইনালে তিনটি সোজা সেটে হুইটনি রিডকে হারিয়েছিলেন। ১৯৫৯ সালে বিশ্ব টেনিসের পটারের বার্ষিক র‍্যাঙ্কিংয়ে রমানাথন বিশ্বক্রম পর্যায়ে ৩ নম্বরে ছিলেন।

এইধরণের দক্ষতার ফলে ১৯৬০ সালে উইম্বলডনে তিনি সপ্তম বাছাইয়ের মর্যাদা লাভ করেছিলেন, যেখানে তিনি সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলেন কিন্তু চূড়ান্ত চ্যাম্পিয়ন ফ্রেজারের কাছে হেরে যান।[১৫] সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে রমানাথন আন্দ্রেস জিমেনোকে পাঁচ সেটে পরাজিত করেন।[১৬] [১৭] উইম্বলডন শেষ হবার পরে ক্রেমার রমানাথনকে দেওয়া প্রস্তাবের চেয়ে অনেক কম গ্যারান্টিতে জিমেনোকে সই করিয়েছিলেন। রমানাথন ১৯৬১ সালের উইসবাডেন টেনিস টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন, যার মধ্যে উইলহেম বাঙ্গার্টের বিরুদ্ধে জয়ও ছিল। ১৯৬১ সালে, রমানাথন আবারও উইম্বলডনের সেমিফাইনালে পৌঁছেছিলেন, কোয়ার্টার ফাইনালে এমারসনকে সোজা সেটে হারিয়ে। কিন্তু সেমিফাইনালে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন রড লেভারের কাছে হেরে যান। পরের মরশুমে, ১৯৬২ সালে, তিনি ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছিলেন। সেখানে তিনি এমারসনের বিরুদ্ধে দুই সেটে এগিয়ে ছিলেন, কিন্তু অদ্ভুতভাবে পঞ্চম সেটটিতে কোন গেম না জিতে হেরে গিয়েছিলেন। ১৯৬২ সালে ৪ নং উইম্বলডনে রমানাথন তাঁর সর্বোচ্চ মর্যাদাক্রম পেয়েছিলেন কিন্তু নিরন্তর চলতে থাকা গোড়ালির আঘাতের কারণে তিনটি ম্যাচের পর তাঁকে নাম প্রত্যাহার করতে হয়েছিল।[১৮]

রমানাথন ১৯৬৩ সালের অ্যান্টওয়ার্প ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে লাল মাটিতে নিকোলা পিয়েত্রেঞ্জেলিকে চার সেটে হারিয়ে ফাইনালে জয়লাভ করেন। তিনি টেক্সাসের হিউস্টনে ১৯৬৫ সালের রিভার ওকস আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্টে ওসুনার বিরুদ্ধে জয়লাভ করেছিলেন, এরপর সেমিফাইনালে চার সেটে এমারসন-এর এবং ফাইনালে চার সেটে রিচির বিরুদ্ধে জিতেছিলেন। বিজয়ের পর তাঁকে ভবিষ্যত প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশ অভিনন্দন জানিয়ে বিজয়ীর আলিঙ্গন করেছিলেন বলে জানা গেছে।[১৯] ১৯৬৭ সালে রমানাথন ফাইনালে এমারসনকে সরাসরি তিন সেটে পরাজিত করে দ্বিতীয়বার লাল মাটিতে অ্যান্টওয়ার্প আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন। তিনি রেকর্ড আটবার ভারতের জাতীয় লন টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন,[২০] এবং দশবার ফাইনালে পৌঁছেছেন।

নিবন্ধিত পেশাদার

[সম্পাদনা]

এমারসন, স্টলে, সান্তানা, ওকার এবং অন্যান্য বিশিষ্ট "অপেশাদার" টেনিস খেলোয়াড়দের মতো, রমানাথন একটি জাতীয় টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সাথে নিবন্ধিত পেশাদার হয়ে ওঠেন। তিনি তাঁর জাতীয় টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সাথে চুক্তির অধীনে ছিলেন, কিন্তু কোন স্বাধীন পেশাদার ট্যুরে যুক্ত ছিলেন না। তাই তিনি ডেভিস কাপ প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্য ছিলেন, এই সঙ্গে তাঁর জাতীয় অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা অনুমোদিত মনোনীত টুর্নামেন্টগুলি থেকে অর্থ উপার্জন করেছিলেন।

মুক্ত যুগ

[সম্পাদনা]

রমানাথন ১৯৬৮ সালে কানাডিয়ান ওপেন জিতেছিলেন,[২১] [২২] ফাইনালে টরবেন উলরিচকে হারিয়ে। সে বছর উদ্বোধনী ইউএস ওপেনে জন নিউকম্বের কাছে তিনি হেরে যান। তবে, ১৯৬৮ ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালিস্ট হার্ড-হিটার ক্লার্ক গ্রেবনারের বিরুদ্ধে তিনি একটি উল্লেখযোগ্য জয় লাভ করেছিলেন, সেই মরসুমের শেষের দিকে ডেভিস কাপ খেলায়, যেখানে গ্রেবনার "কৃষ্ণানের জাঙ্ক-বলিং কৌশল দ্বারা সম্পূর্ণরূপে বিভ্রান্ত হয়েছিলেন... সন্দেহাতীতভাবে হেরে যান।"[২৩] সেই বছরও, তিনি স্টুটগার্ট টুর্নামেন্টে লাল কাদামাটিতে জয় পেয়েছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে জার্গেন ফাসবেন্ডারের বিরুদ্ধে জয়। ১৯৬৮ সালের পর, তিনি বিক্ষিপ্তভাবে খেলেন। ১৯৭৫ সালে কলকাতায় তাঁর শেষ টুর্নামেন্টে তিনি টম গরম্যানের কাছে প্রথম রাউন্ডে হেরে গিয়েছিলেন।[২৪]

ডেভিস কাপ

[সম্পাদনা]

রমানাথন ভারতীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। ১৯৬১ সালে, তিনি চক ম্যাককিনলি (১৯৬১ সালে উইম্বলডন ফাইনালিস্ট) এবং হুইটনি রিড (১৯৬১ সালের জন্য ইউএস নং ১) উভয়ের বিরুদ্ধে একক জিতেছিলেন, যদিও ভারত ৩-২-এ হেরেছিল। তিনি ১৯৬৬ সালে ডেভিস কাপের চ্যালেঞ্জ রাউন্ডে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এবং ১৯৫৬, ১৯৫৯, ১৯৬২, ১৯৬৩ এবং ১৯৬৮ সালে আরও পাঁচবার দলকে ইন্টার-জোনাল ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছিলেন। ভারত আন্তঃ-জোনাল সেমিফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে চমকে দেয়, কৃষ্ণান উইলহেম বাঙ্গার্টকে (সেই বছরের পরে উইম্বলডন ফাইনালিস্ট) পরাজিত করেন। কলকাতায়, ব্রাজিলের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে, উভয় দল দুটি করে ম্যাচ জিতেছিল। শেষে কৃষ্ণানের ওপর দায়িত্ব পড়ে ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়ন থমাজ কচের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ জেতার। কচ দুই সেটে এগিয়ে ছিলেন এবং চতুর্থ সেট তাঁর পক্ষে ৫-২ হয়ে গিয়েছিল। এরপর রমানাথন অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তন করে ৭-৫-এ সেট জেতেন এবং তারপর ম্যাচ জিতে নেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ফাইনালে, রমানাথন এবং জয়দীপ মুখার্জি ডাবলস রাবার জিতেছিলেন (জন নিউকম্ব এবং টনি রোচের বিরুদ্ধে), কিন্তু রমানাথন উভয় একক ম্যাচ হেরেছিলেন (ফ্রেড স্টোল এবং রয় এমারসনের বিরুদ্ধে)। এরপর ভারত ৪-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।[২৫] রমানাথন ১৯৫৩ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে ভারতীয় ডেভিস কাপ দলের একজন নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন, তাঁর জয়- পরাজয়ের রেকর্ড ছিল ৬৯-২৮ (একক ৫০-১৯ এবং দ্বৈতে ১৯-৯)।[২৬]

জুনিয়র গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল

[সম্পাদনা]

একক: ২ (১ জয় - ১ পরাজয়)

[সম্পাদনা]
ফলাফল বছর টুর্নামেন্ট পৃষ্ঠতল প্রতিপক্ষ স্কোর
পরাজয় ১৯৫৩ উইম্বলডন ঘাস যুক্তরাজ্য বিলি নাইট ৫-৭, ৪-৬
জয় ১৯৫৪ উইম্বলডন ঘাস অস্ট্রেলিয়া অ্যাশলে কুপার ৬-২, ৭-৫

খেলার শৈলী

[সম্পাদনা]

রমানাথনের খেলার শৈলী "টাচ টেনিস" নামে পরিচিত ছিল।[২৭] সমালোচকরা তাঁকে একজন বিস্ময় বলে প্রশংসা করেছেন, ডেইলি টেলিগ্রাফের ল্যান্স টিংয়ে তাঁর টেনিসকে "বিশুদ্ধ প্রাচ্যের আকর্ষণ" হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং অন্যজন তাঁর শৈলীকে "পূর্ব জাদু" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।[২৮] অতি সম্প্রতি, রবার্ট ফিলিপ লিখেছেন যে "প্রতিটি কৃষ্ণান র‍্যালি ছিল বিরল সৌন্দর্যের জিনিস"।[২৯] প্রবীণ ক্রীড়া সাংবাদিক সি ভি নরসিমহানের মতে, "তাঁর সার্ভিস কখনই একটি শক্তিশালী অস্ত্র ছিল না, তাঁর কোনও শক্তিশালী গ্রাউন্ডস্ট্রোকও ছিল না। তিনি ধারাবাহিকতা, কৌণিক ভলি, এবং সুন্দর হাফ ভলি ড্রপ শট দিয়ে জিতেছেন[২৮] রাফায়েল ওসুনা, নিকোলা পিয়েত্রেঞ্জেলি এবং কৃষ্ণানের ছেলে রমেশ এই শৈলীর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য বিশেষজ্ঞ ছিলেন, তাঁরা সূক্ষ্মতার উপর জোর দিতেন।[৩০]

পুরস্কার

[সম্পাদনা]

রমানাথন ১৯৬১ সালে অর্জুন পুরস্কার, ১৯৬২ সালে পদ্মশ্রী এবং ১৯৬৭ সালে পদ্মভূষণ পান।[৩১]

রমানাথন তাঁর ছেলে রমেশ কৃষ্ণান এবং নির্মল শেখরের সাথে এ টাচ অফ টেনিস: দ্য স্টোরি অফ এ টেনিস ফ্যামিলি নামে একটি বই লিখেছেন। পেঙ্গুইন বুকস ইন্ডিয়ার দ্বারা প্রকাশিত বইটি তিন প্রজন্মের টেনিস-খেলোয়াড় কৃষ্ণানদের অর্জনকে ঘিরে লেখা।[৩২]

বর্তমান

[সম্পাদনা]

রমানাথন এখন চেন্নাইতে থাকেন,[৩৩] যেখানে তিনি একটি গ্যাস বিতরণ সংস্থা পরিচালনা করেন। রমেশ কৃষ্ণান তাঁর বাবার উইম্বলডন জুনিয়র শিরোপা জয়ের কৃতিত্বকে অনুকরণ করেছিলেন এবং ১৯৮০ এর দশকে একজন শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড় হয়েছিলেন। ২০১২ সালের ২৫শে জুলাই, রমানাথন কৃষ্ণান চেন্নাইতে একটি অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধান ইংরেজি ভাষার সাপ্তাহিক ক্রীড়া ম্যাগাজিন, স্পোর্টস্টার পুনরায় চালু করেন।[৩৪] তিনি তাঁর ছেলে রমেশের সাথে চেন্নাইতে একটি টেনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান।[৩৫]

ক্রীড়াজীবনের কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত

[সম্পাদনা]
  • ১৯৫৪ - উইম্বলডন - জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন।
  • ১৯৫৮ - নর্দার্ন চ্যাম্পিয়নশিপ চ্যাম্পিয়ন - লেভারের সাথে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ জেতেন।
  • ১৯৫৯ - কুইন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ চ্যাম্পিয়ন - ওলমেডো এবং ফ্রেজারকে পরাজিত করেন।
  • ১৯৫৯ - ইউএস হার্ড কোর্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চ্যাম্পিয়ন - রিড এবং মুল্লয়কে পরাজিত করেন।
  • ১৯৫৯ - প্যাসিফিক সাউথওয়েস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ রানার্স-আপ- লেভারকে পরাজিত করেন কিন্তু ফাইনালে এমারসনের কাছে হেরে যান।
  • ১৯৬০ - উইম্বলডন - সপ্তম বাছাই ছিলেন, জিমেনোকে পরাজিত করেন এবং সেমিফাইনালে পৌঁছে যান (শেষে চ্যাম্পিয়ন নিল ফ্রেজারের কাছে হেরে যান)।
  • ১৯৬১ - উইম্বলডন - সপ্তম বাছাই, এমারসনকে পরাজিত করেন এবং টানা দ্বিতীয়বারের মতো সেমিফাইনালে পৌঁছোন (শেষে চ্যাম্পিয়ন রড লেভারের কাছে হেরে যান)
  • ১৯৬৩ - অ্যান্টওয়ার্প ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন - চার সেটের ফাইনালে পিয়েত্রেঞ্জেলিকে পরাজিত করেন।
  • ১৯৬৫ - রিভার ওকস আন্তর্জাতিক টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ চ্যাম্পিয়ন - ওসুনা, এমারসনকে চার সেটে এবং রিচিকে চার সেটে পরাজিত করেন।
  • ১৯৬৬ – ভারতীয় দলের সদস্য যাঁরা ডেভিস কাপের ফাইনালে পৌঁছেছিলেন (ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিলেন)।
  • ১৯৬৭ - এন্টওয়ার্প ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন - ফাইনালে এমারসনকে তিনটি সোজা সেটে পরাজিত করেন।
  • ১৯৬৮ - কানাডিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন - ফাইনালে টরবেন উলরিচকে পরাজিত করেন।

গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্ট প্রদর্শনের সময় সারণী

[সম্পাদনা]
সূচক
জয়ী  ফাই  সেমি কো.ফা #রা রা.র বা.হে (বা#) অনু খে. আ# প্লে-অফ এসএফ-ব্রোঞ্জ রৌ-এফ রৌ-এস স্বর্ণ মা.সি.নয় হয়নি

প্রতিযোগিতায় জয়; বা ফাইনালে পৌঁছানো; সেমিফাইনাল; কোয়ার্টার-ফাইনাল; রাউন্ড ৪, ৩, ২, ১; রাউন্ড রবিন পর্যায়ে সম্পন্ন; বাছাইপর্বে হেরে যাওয়া; প্রতিযোগিতায় অনুপস্থিত; ডেভিস কাপের আঞ্চলিক বিভাগে খেলেছে (সঙ্গে তার সংখ্যা ইঙ্গিত করা হয়েছে) বা প্লে-অফ; ব্রোঞ্জ জয়, রৌপ্য (রৌ-এফ বা রৌ-এস) বা অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক; একটি ডাউনগ্রেডেড মাস্টার সিরিজ/১০০০ টুর্নামেন্ট (মাস্টার্স সিরিজ নয়); বা একটি প্রদত্ত বছরে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত না হওয়া।

বিভ্রান্তি এবং দুবার গণনা এড়ানোর জন্য, এই তালিকা একটি প্রতিযোগিতা শেষে, অথবা যখন প্রতিযোগিতায় খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ শেষ হয়েছে তখনই হালনাগাদ করা হয়।

টুর্নামেন্ট ১৯৫৩ ১৯৫৪ ১৯৫৫ ১৯৫৬ ১৯৫৭ ১৯৫৮ ১৯৫৯ ১৯৬০ ১৯৬১ ১৯৬২ ১৯৬৩ ১৯৬৪ ১৯৬৫ ১৯৬৬ ১৯৬৭ ১৯৬৮ স্কোর
ফ্রেঞ্চ ওপেন ১ম রা ৩য় রা ২য় রা কো ফা ৪র্থ রা ৩য় রা ১ম রা ০/৭
উইম্বলডন ১ম রা ৩য় রা ৩য় রা ৩য় রা ২য় রা ৪র্থ রা ৩য় রা সে ফা সে ফা ৩য় রা ৪র্থ রা ৩য় রা ১ম রা ১ম রা ০/১৪
ইউএস ওপেন ৩য় রা ৩য় রা ২য় রা ০/৩
জয়-পরাজয় ০-১ ২-২ ২-১ 2-1 ৫-৩ ৪-২ ৪-২ ৫-১ ৫-১ ৬-০ ৩-০ ০-০ ৫-২ ০-০ ২-২ ১-৩ ০/২৪

দ্বৈত

[সম্পাদনা]
টুর্নামেন্ট ১৯৫৪ ১৯৫৫ ১৯৫৬ ১৯৫৭ ১৯৫৮ ১৯৫৯ ১৯৬০ ১৯৬১ ১৯৬২ ১৯৬৩ ১৯৬৪ ১৯৬৫ ১৯৬৬ ১৯৬৭ ১৯৬৮
উইম্বলডন ১ম রা কো ফা ৩য় রা ২য় রা কো ফা কো ফা ১ম রা কো ফা ২য় রা ২য় রা কো ফা কো ফা ১ম রা

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Complex to Get Ramanathan Krishnan's Name"The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  2. ""Tennis centre named after Ramanathan Krishnan""The Hindu। ৭ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  3. "Ramanathan Krishnan: Stats"tennisrachives.com। Tennis Archives। ৪ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৬ 
  4. Potter, Edward C. (November 1959). "The World's First Ten of 1959". World Tennis. Vol. 7, no. 6. New York. p. 30.
  5. ""Tennis centre named after Ramanathan Krishnan""The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  6. Dave Seminara (২৮ নভেম্বর ২০০৯)। "The Year the Davis Cup Felt Empty"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২১ 
  7. "South Africa v India"। Davis Cup। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২১ 
  8. "Ramanathan Krishnan – Ace tennis player who made world sit up and take notice"Venkatesh Ramakrishnan। DTNext। ২৩ মে ২০২১। ২৪ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২১ 
  9. "His 'oriental' volleys turned heads towards Indian tennis"The Times of India। ১২ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২১ 
  10. "Off The Cuff"। Harmony India। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০২১ 
  11. "Harmony magazine Feb 2005"। Harmonyindia.org। ১৫ আগস্ট ১৯৪৭। ২৮ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  12. Thyagarajan, S. (১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Jack Kramer, a wonderful human being: Ramanathan Krishnan"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  13. Chakravarthi, Goutham। "Remembering Jack Kramer: Tennis' Most Significant Figure"Bleacher Report। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  14. "Sports Illustrated Aug 24,1959"Sports Illustrated। ২৪ আগস্ট ১৯৫৯। ২৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২৩ 
  15. "Ramanathan Krishnan"। ২০ আগস্ট ২০১০। ২০ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  16. "When the grass was greenest for Ramanathan Krishnan in 1960 Wimbledon"The Indian Express। ১ জুলাই ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  17. ".
  18. Majumdar, Boria; Mangan, J. A. (১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। Sport in South Asian Society: Past and Present। Routledge। পৃষ্ঠা 123। আইএসবিএন 9780415359535। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  19. "Ramanathan Krishnan Thread"Sports-india.com। ৫ মার্চ ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  20. "History"aitatennis। All India Tennis Association। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২৩ 
  21. "Nevada State Journal, 19 August 1968"newspapers.com 
  22. "Rogers Cup"thecanadianencyclopedia.ca 
  23. Chapin, Kim। "Reaching for the Davis Cup"Vault.si.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  24. "Ramanathan Krishnan"atptour.com 
  25. "The never-say-die Krish: Sportsstar weekly Sep 9,2006"। Tssonnet.com। ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২৩ 
  26. "Davis Cup Record"। Daviscup.com। 
  27. "Krish"। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২YouTube-এর মাধ্যমে। 
  28. "Ramanathan Krishnan"Thankyouindianarmy.com। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  29. French Open। "The Daily Telegraph Jan 1, 2007"The Daily Telegraph 
  30. Paul Bailey (৮ জানুয়ারি ২০০৬)। "Paul Bailey in Observer Sports Monthly January 8, 2006"The Guardian 
  31. "Tennis as sweetness: Sportstar Jan 28,2006"Tssonnet.com। ২৮ জানুয়ারি ২০০৬। ২৪ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১২ 
  32. Ramanathan; Krishnan, Ramesh (এপ্রিল ২০০৩)। Google booksআইএসবিএন 9780140287097 
  33. "Pride of Chennai – A list of people that make Chennai proud"। Itz Chennai। জানুয়ারি ২০১২। ৮ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৪ 
  34. "Ramanathan Krishnan launches new-look Sportstar"The Hindu। ২৭ জুলাই ২০১২। 
  35. "Krishnan Tennis Centre"Krishnantennis.com। ১৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুন ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Wimbledon boys' singles championsটেমপ্লেট:Padma Shri Award Recipients in Sports