ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রমেশ চন্দ সাক্সেনা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪ দিল্লি, ব্রিটিশ ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৬ আগস্ট, ২০১১ টাটা মেইন হাসপাতাল, জামশেদপুর, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | ভি. সাক্সেনা (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১১৫) | ৮ জুন ১৯৬৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ জুন ২০২০ |
রমেশ চন্দ সাক্সেনা (মারাঠি: रमेश सक्सेना; জন্ম: ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪ - মৃত্যু: ১৬ আগস্ট, ২০১১) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের দিল্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন রমেশ সাক্সেনা।
কিশোর অবস্থায় ক্রিকেটের প্রতি তার গভীর অনুরাগ লক্ষ্য করা যায়। মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করতেন। অনেকগুলো বছর দিল্লি দলের প্রধান চালিকাশক্তির ভূমিকায় ছিলেন। মাঝে-মধ্যে লেগ ব্রেক বোলিং করতেন ও কভার অঞ্চলে দূর্দান্ত ফিল্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। ১৯৬০-৬১ মৌসুম থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত রমেশ সাক্সেনা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।
১৯৬০-৬১ মৌসুমে মাত্র ১৬ বছর বয়সে দিল্লির সদস্যরূপে দক্ষিণ পাঞ্জাবের বিপক্ষে রঞ্জী ট্রফির খেলায় অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় রমেশ সাক্সেনা’র। প্রথম ইনিংসে তিনি অপরাজিত ১১৩ রান তুলেন।[২] ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম পর্যন্ত দিল্লি দলের পক্ষে খেলতে থাকেন। এরপর, বিহার দলের সদস্য হন। এ দলটিতে ১৯৬৬-৬৭ মৌসুম থেকে ১৯৮১-৮২ মৌসুম পর্যন্ত খেলেন। এছাড়াও, দিলীপ ট্রফিতে উত্তর অঞ্চল ও পূর্ব অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করেন।[৩] ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে প্রতিপক্ষ আসামের বিপক্ষে বিহারের সদস্যরূপে ২০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। পরবর্তীতে এ ইনিংসটিই তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ প্রথম-শ্রেণীর রান হিসেবে চিত্রিত হয়।[৪] এক পর্যায়ে ভারতের অন্যতম সেরা স্পিন বোলারের মর্যাদা প্রাপ্ত হন।[৫]
পাঁচ মৌসুম বিহার দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও, দিলীপ ট্রফিতে কয়েকটি খেলায় পূর্ব অঞ্চল দলকে নেতৃত্ব দেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রমেশ সাক্সেনা। ৮ জুন, ১৯৬৭ তারিখে লিডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
১৯৬৭ সালে মাঝারিসারির সংরক্ষিত ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। লিডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের সদস্যরূপে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে রমেশ সাক্সেনা’র। সিরিজের প্রথম টেস্টে জিওফ্রে বয়কটের অপরাজিত ২৪৬ রানের কল্যাণে ইংল্যান্ড দল তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৫০/৪ তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। সাক্সেনা দুই ওভার বোলিং করার সুযোগ পেলেও কোন উইকেট পাননি। এরপর তিনি ব্যাট হাতে ফারুক ইঞ্জিনিয়ারের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। তিনি মাত্র ৯ রান তুলতে পেরেছিলেন। ভারত দল মাত্র ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় ও ফলো-অনের কবলে পড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ব্যাটিংয়ে মান বেশ উত্তরণ ঘটে। ৫১০ রান তুলে সফরকারীরা। এ পর্যায়ে তিনি সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৬ রান তুলেন। ইংল্যান্ড দল ছয় উইকেটে জয়লাভ করে।[৬] প্রথম-শ্রেণীর খেলাগুলো থেকে এ সফরে ২৩.৮০ গড়ে ২৩৮ রান তুলেন।
ঐ বছরের শেষদিকে ভারত দলের সাথে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড গমন করেন। তবে, আট টেস্টের কোনটিতেই তাকে খেলানো হয়নি।[৭] সেখানে সাধারণমানের খেলা উপহার দিয়েছিলেন তিনি।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর বিহার ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮০-এর দশকে রমেশ সাক্সেনা ভারতের টেস্ট দল নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৮]
স্ট্রোকে আক্রান্ত ও অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অতঃপর, ১৬ আগস্ট, ২০১১ তারিখে ৬৬ বছর বয়সে জামশেদপুর এলাকায় টাটা মেইন হাসপাতালে রমেশ সাক্সেনা’র দেহাবসান ঘটে। মৃত্যুকাল স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তান রেখে যান।[৫]