রয় ব্রডবেন্ট ফুলার (১১ ফেব্রুয়ারি ১৯১২ - ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯১) ছিলেন একজন ইংরেজ লেখক, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি কবি হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি লঙ্কাসায়ারের ফেইলসওয়ার্থে নিম্ন-মধ্যবিত্ত বাবা-মা লিওপল্ড চার্লস ফুলার ও নেলি দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ওয়ার্কহাউস মাস্টারের একজন কেরানী ছিলেন।[১] ১৮৮৪ সালে ফুলহামে জন্মগ্রহণ করা তার পিতা ছিলেন, মিনি আগস্টা ফুলার (১৮৬৩ সালের জন্ম) এর অবৈধ পুত্র। [২] তার বড় বোন মিনির সাথে তিনি অনাথ আশ্রমে বেড়ে ওঠেন।[৩][৪][৫][৬]
ফুলার পরবর্তীকালে ব্ল্যাকপুল, ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্ল্যাকপুল উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। [৭] ১৯২৮ সালে তার প্রথম কবিতা সানডে রেফারি প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি ১৯৩৩ সালে সলিসিটার হিসাবে যোগ্যতা অর্জন করেন। [৮] পরবর্তীতে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি রয়্যাল নেভিতে দায়িত্ব পালন করেন এবং উলউইচ ইক্যুয়েবল বিল্ডিং সোসাইটির হয়ে কাজ করেছিলেন। তিনি আইন বিভাগের প্রধান হিসাবে তার ক্যারিয়ার সমাপ্ত করেন।
পয়েমস্ (১৯৩৯) ছিল তার লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ। তিনি ১৯৪০ সাল থেকে পুরোপুরি কবি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, এবং একই সাথে তিনি "অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে" যোগদান করেছিলেন এবং নাগরিক গানে অভিনয় করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, তিনি সামরিক-দেশপ্রেমিক থিমের উপর ১৯৪২ সালে "যুদ্ধের কবিতা" নামে বেশ কয়েকটি কবিতা লিখেছিলেন। তার প্রথমদিককার কাব্যগ্রন্থগুলি স্প্যানিশ গৃহযুদ্ধের ঘটনাগুলি দ্বারা সৃষ্ট ভয় এবং উত্তেজনার বোধে পূর্ণ ছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের পরে ফুলার কবিতা লিখতে ও প্রকাশ করতে থাকেন, তবে তিনি দ্রুত বিজ্ঞান ও কল্পকাহিনী লিখতে শুরু করেন। এবং তার অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীগুলির একটি সংকলন সেভেজ গোল্ড (১৯৪৬) সালে প্রকাশ করেছিলেন।
১৯৫০ এর দশক থেকে তিনি মূলত দার্শনিক এবং স্বীকারোক্তিমূলক কবিতা লিখেছিলেন। ফুলারের লেখার বৈশিষ্ট্য বৌদ্ধিকতা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, জীবনী বিবরণী লেখায় তিনি অতি ঘনিষ্ঠ মনোযোগ, এর অভ্যন্তরীণ বিষয়বস্তুর প্রতিবিম্ব হিসাবে, বিড়ম্বনা, ও গদ্যের ব্যবহার করেছিলেন।
তিনি ১৯৫০ এর দশকে ক্রাইম উপন্যাস সহ কল্পকাহিনীও লিখতে শুরু করেছিলেন এবং বেশ কয়েকটি খণ্ড স্মৃতি লিখেছিলেন। যেমন ফ্যান্টাসি এন্ড ফুগু (১৯৫৬), দ্যা কার্নাল আইসল্যান্ড (১৯৭০) ইত্যাদি। [৭] রয় ফুলার বেশ কয়েকটি উপন্যাসের পাশাপাশি শিশুদের জন্য বই এবং কবিতা লিখেছেন। একজন কবি হিসাবে তিনি স্টাইলিস্টিক ভিত্তিতে পরিচিত হন। তিনি ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কবিতার অধ্যাপক ছিলেন। এসময় তার দেওয়া ভাষণ ও লেকচারের উপর তিনি ১৯৭৪ সালে রচনা করেন, আউলস এন্ড আর্টিফায়ার্স: অক্সফোর্ড কেচার্স অন পোয়েট্রী এবং ১৯৭৫ সালে, রফেসর এন্ড গড: লাস্ট অক্সফোর্ড কেচার্স অন পোয়েট্রী। এছাড়া তিনি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ পর্যন্ত তিনি বিবিসির বোর্ড অফ গভর্নর সদস্য ছিলেন। তার সর্বশেষ প্রকাশিত গ্রন্থ স্প্যানার এন্ড পেন: পোস্ট-ওয়ার মেমরিস (১৯৯১)।
১৯৬৬ সালে, কবি জন ফুলার তার ছেলে অ্যান্টনি পাওয়েল ফুলারকে তার উপন্যাস দ্য সোলডায়ার্স আর্ট, এবং তার মাস্টার ওয়ার্কের অষ্টম খণ্ড, ও আ ডান্স টু মিউজিক অফ টাইমকে উৎসর্গ করেছিলেন।
তিনি ১৯৯৭০ সালে সিবিই এবং কুইন্স গোল্ড কবিতার জন্য পদক লাভ করেন [৯] এবং ১৯৮০ সালে লেখক সোসাইটি চলমন্ডিলে পুরস্কার অর্জন করেন। [১০]