ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রয় এডউইন মার্শাল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সেন্ট টমাস, বার্বাডোস | ২৫ এপ্রিল ১৯৩০||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৭ অক্টোবর ১৯৯২ টানটন, সমারসেট, ইংল্যান্ড | (বয়স ৬২)||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | নরম্যান মার্শাল (ভাই) | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৭২) | ৯ নভেম্বর ১৯৫১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ বনাম নিউজিল্যান্ড | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৫৩–১৯৭২ | হ্যাম্পশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৪৬–১৯৫৩ | বার্বাডোস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |
রয় এডউইন মার্শাল (ইংরেজি: Roy Marshall; জন্ম: ২৫ এপ্রিল, ১৯৩০ - মৃত্যু: ২৭ অক্টোবর, ১৯৯২) বার্বাডোসের সেন্ট টমাসে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত শ্বেতাঙ্গ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট তারকা ছিলেন।[১] ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৯৫১ থেকে ১৯৫২ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে খেলেছেন রয় মার্শাল। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। পাশাপাশি, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।
অভিজাত ইক্ষু খামার মালিকের সন্তান তিনি।[২] মাত্র ১৫ বছর বয়সে ১৯৪৬ সালে বার্বাডোসের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৫০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সদস্যরূপে ইংল্যান্ড সফর করেন। প্রায় ৪০ গড়ে ১,১১৭ রান তোলেন। ঐ সফরে তিনি কোন টেস্টে অংশ নিতে পারেননি।
৯ নভেম্বর, ১৯৫১ তারিখে গাব্বায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে। ঐ টেস্টে ২৮ ও ৩০ তুলেছিলেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরও তিন টেস্টে অংশ নিতে পেরেছেন। ১৯৫১ থেকে ১৯৫২ সালের মধ্যে চারটি টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল থেকে উপেক্ষিত হবার পর ইংল্যান্ডে চলে যান।
১৯৫৩ সালে হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেন। ঐ ক্লাব দলটিতে ১৯৫৩ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত একাধারে খেলেছেন। এ সময়ে তিনবার দ্বি-শতক করেছেন। ১৯৬২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২২৮ তোলেন। ১৯৫৫ সালে চ্যাম্পিয়নশীপ খেলায় অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে হ্যাম্পশায়ারের। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। ১৮ মৌসুমের ১৭টিতেই সহস্রাধিক রান সংগ্রাহক হন ও হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে ৬০টি শতক হাঁকান। তন্মধ্যে, ১৯৬১ সালে তার সেরা সময় কাঁটে। ঐ মৌসুমে তিনি ২,৬০৭ রান তুলেছিলেন। ছয়বার দুই হাজার রানের কোটা অতিক্রম করেছেন তিনি।[৩] ঐ কাউন্টিতে অবস্থান করে ৫০৪টি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন ও ৩০,৩০৩ রান তোলেন।[৪]
১৯৬১ সালে হ্যাম্পশায়ারকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের ইতিহাসের প্রথম পরম আকাঙ্খিত শিরোপার সন্ধান দেন। ইয়র্কশায়ারের সাথে ১৮ পয়েন্ট এগিয়ে থেকে ২৬৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করে। ঐ মৌসুমে ৩২ খেলায় অংশ নিয়ে হ্যাম্পশায়ার দল কলিন ইঙ্গলবি-ম্যাকেঞ্জি’র নেতৃত্বে ১৯টিতে বিজয়ী হয় ও মাত্র সাত খেলায় পরাজয়বরণ করে।[৫] কাউন্টি ক্রিকেটে আক্রমণাত্মকধর্মী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হন। ক্লাবের পক্ষে সর্বাধিক ২,৪৫৫ রান তুলেন রয় মার্শাল। অন্যদিকে, ডেরেক শ্যাকলটন ক্লাবের পক্ষে সর্বাধিক ১৫৩ উইকেট পান। পাশাপাশি, বুচ হোয়াইটের প্রচণ্ড গতিসম্পন্ন বোলিং গ্রীষ্মের শুষ্ক দিবসে ভয়ঙ্করের মাত্রা তীব্র করে তুলেছিল।
খেলা চলাকালীন রোদের আলো থেকে রক্ষার জন্য ক্রিম ব্যবহার করতেন। ফলশ্রুতিতে তাকে সমারসেটের সভাপতির পদ থেকে অব্যহতি নিতে হয়। সমারসেটের টানটন এলাকায় ত্বকের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২৭ অক্টোবর, ১৯৯২ তারিখে তার দেহাবসান ঘটে। তার ভাই নরম্যান মার্শালও ১৯৫৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটি টেস্টে অংশ নিয়েছেন।
১৯৫৯ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা লাভ করেন রয় মার্শাল।[৬] ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সমারসেট ক্রিকেট কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ক্রীড়া অবস্থান | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী কলিন ইঙ্গলবি-ম্যাকেঞ্জি |
হ্যাম্পশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৬৬–১৯৭০ |
উত্তরসূরী রিচার্ড গিলিয়াট |