রয়েল বেঙ্গল রহস্য | |
---|---|
![]() রয়েল বেঙ্গল রহস্য পোস্টার | |
পরিচালক | সন্দীপ রায় |
চিত্রনাট্যকার | সন্দীপ রায় |
উৎস | সত্যজিৎ রায় কর্তৃক রয়েল বেঙ্গল রহস্য |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | সন্দীপ রায় |
চিত্রগ্রাহক | শশাঙ্ক পালিত |
সম্পাদক | সুব্রত রায় |
পরিবেশক | শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস, সুরিন্দর ফিল্মস |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ₹১.৯০ কোটি |
আয় | ₹২.২৫ কোটি |
রয়েল বেঙ্গল রহস্য সন্দীপ রায় পরিচালিত ২০১১ সালের বাংলা ভাষার ভারতীয় গোয়েন্দা চলচ্চিত্র।[১] সত্যজিৎ রায়ের একই নামের উপন্যাস থেকে নির্মিত চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন সন্দীপ রায়।[২] এটি নতুন ফেলুদা চলচ্চিত্র ধারাবাহিকের পঞ্চম চলচ্চিত্র এবং গোরস্থানে সাবধান!-এর সিক্যুয়াল। এতে ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সব্যসাচী চক্রবর্তী,[৩] তোপসের ভূমিকায় সাহেব ভট্টাচার্য[৪] এবং জটায়ুর ভূমিকায় বিভু ভট্টাচার্য। এটি জটায়ু চরিত্রে বিভু ভট্টাচার্যের শেষ অভিনয়।[৫]।
মহীতোষ সিংহ রায়ের আমন্ত্রণে লালমোহন গাঙ্গুলি ওরফে জটায়ু ফেলুদা ও তোপসেকে নিয়ে ভুটানের কাছাকাছি এক জঙ্গলের পাশে তার বাড়িতে যান। তাদের যাওয়ার কিছুদিন পর মহিতোষের সহকারী তড়িৎ মারা যায়। তার মৃতদেহ জঙ্গলে পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত করে জানায় যে বাঘের আক্রমণে সে মারা গেছে। বাড়িতে থাকেন মহীতোষবাবুর বড় দাদা যিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ও মহীতোষের বন্ধু শশাঙ্ক বাবু, যিনি ভাল শিকারী। খুনের জায়গায় ফেলুদা রক্তমিশ্রিত একটি তরবারি খুঁজে পান। ইতোমধ্যে মহিতোষ ফেলুদাকে একটি ধাঁধা দেন। ফেলুদা ধাঁধার উত্তর খুঁজে বের করে এবং মানুষের দাঁতহীন মুখের মত গর্তওয়ালা একটি গাছের থেকে ৫৫ হাত দূরে গুপ্তধনের সন্ধান পান। ফেলুদা তার সঙ্গীদের নিয়ে সেই গুপ্তধনের খুঁজে গেলে পথে তিনি তড়িতের চশমা ও টর্চ লাইট খুঁজে পান। ফলে তিনি আন্দাজ করেন যে তড়িৎও সেই গুপ্তধনের সন্ধান খুঁজে পেয়েছিল। ফেলুদা তদন্ত করে খুঁজে পান আসলে তড়িৎ বাঘের আক্রমণে বা কারো দ্বারা খুন হয় নি। তার হাতের তরবারি বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে চুম্বকের মত কাজ করে অর্থাৎ প্রকৃতিই তাকে সাজা দেয়।
ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মস ও সুরিন্দর ফিল্মস।[৬] জটায়ুর ভূমিকায় অভিনেতা বিভু ভট্টাচার্য ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১ মারা যান। সেদিনই তার অংশের ডাবিং শেষ হয়েছিল।[৭]
টাইমস অফ ইন্ডিয়া ছবিটিকে ৫-এ ৪ রেটিং দিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত (২০১৬) করা সন্দীপ রায়ের সেরা ফেলুদা চলচ্চিত্র বলে উল্লেখ করেছে।[৮] ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সোমা এ চ্যাটার্জি সন্দীপ রায়ের পরিচালনার প্রশংসা করেছেন। খবর ৩৬৫ দিনের চলচ্চিত্র সমালোচক সৌগত সরকার এই ছবিকে সন্দীপ রায়ের ফেলুদার অন্যতম স্ত্রাকচারাল পারফেক্ট এবং অভিনয় সমৃদ্ধ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে গ্রাফিকসের কাজে খুঁত ধরেছেন। সব্যসাচী চক্রবর্তী গোয়েন্দার ভূমিকার জন্য একটু বেশিই বয়স্ক হয়ে গেছেন বলে উল্লেখ করেছেন, এবং পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহেব ভট্টাচার্য, ও পরলোকগত বিভু ভট্টাচার্য-এর অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন।[৯]
|তারিখ=
(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
|শিরোনাম=
at position 7 (সাহায্য)