রল লুইস

রল লুইস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
রল নিকোলাস লুইস
জন্ম (1974-09-05) ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ (বয়স ৫০)
গ্রেনাডা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ-স্পিন
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২১৮)
১৭ নভেম্বর ১৯৯৭ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২ জানুয়ারি ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮৫)
১ নভেম্বর ১৯৯৭ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২৬ ১১৬ ৯৯
রানের সংখ্যা ৮৯ ২৪৮ ৩,৮৫৮ ১,২৩৭
ব্যাটিং গড় ৮.৯০ ১৭.৭১ ২২.১৭ ১৯.৬৩
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ২/১৬ ০/৫
সর্বোচ্চ রান ৪০ ৪৯ ১১৭* ৬৭
বল করেছে ৮৮৩ ১,০৪২ ১৯,০৯১ ৪,০৪০
উইকেট ২০ ২৮০ ১০৬
বোলিং গড় ১১৪.০০ ৪৪.৭৫ ৩৩.১২ ২৮.৬৮
ইনিংসে ৫ উইকেট ১০
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ২/৪২ ৩/৪৩ ৭/৬৬ ৪/১৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ৬/– ৮৫/– ৩৪/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৬ মার্চ ২০২০

রল নিকোলাস লুইস (ইংরেজি: Rawl Lewis; জন্ম: ৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪) গ্রেনাডায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৭ থেকে ২০০৮ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে গ্রেনাডা, সাউদার্ন উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস ও উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ-স্পিন বোলিং করতেন রল লুইস

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৯১-৯২ মৌসুম থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত রল লুইসের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত খেলার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ড গমন করার সুযোগ পান। ২৬.৪৩ গড়ে ৩২ উইকেট লাভের পর ২০০৫-০৬ মৌসুমের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৭.৫৪ গড়ে ২৪ উইকেট দখল করেন।

রেড স্ট্রাইপ বোল প্রতিযোগিতায় উইন্ডওয়ার্ড আইল্যান্ডসের অধিনায়কত্ব করেছেন। ইংল্যান্ডের ব্যারো ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচটিমাত্র টেস্ট ও ছাব্বিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রল লুইস। ১৭ নভেম্বর, ১৯৯৭ তারিখে পেশাওয়ারে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে কেপটাউনে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

পরিসংখ্যানগতভাবে বিশ্বের অন্যতম সর্বাপেক্ষা অকার্যকর টেস্ট বোলার তিনি। ডানহাতে ব্যাট করতেন ও লেগ স্পিনার ছিলেন। তিন টেস্টে অংশ নিয়ে ৯৭.৩ ওভার বোলিং করেন। ৩৮৮ রান খরচ করে মাত্র এক উইকেট পান। এরফলে তার ব্যাটিং গড় দাঁড়ায় ৩৮৮.০০। ফলশ্রুতিতে, টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাপেক্ষা বাজে বোলিং গড়ের অধিকারী হন।

১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন। জোহেন্সবার্গ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেট-রক্ষক মার্ক বাউচারকে ব্রায়ানে লারা’র হাতে ক্যাচে বিদেয় করেছিলেন তিনি।

২০০৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার জন্যে পুনরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আমন্ত্রণ বার্তা পান।[] ২০০৭-০৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেন।

২০০৮ সালে পুনরায় তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ভেড়ানো হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। খেলায় তিনি তিন উইকেট পান। এরফলে তার বোলিং গড়ের যথেষ্ট উত্তরণ ঘটে। কিন্তু কেপটাউনে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে তার দল সাত উইকেটে পরাজয়বরণ করে।[] ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার সুযোগ লাভ করেন। দলের প্রধান খেলোয়াড়দের আর্থিক দর কষাকষির কারণে এ সুযোগ পান তিনি।

নভেম্বর, ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের অপারেশন্স বিভাগের প্রকল্প কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হন। ক্রিকেট খেলায় থেকে অবসর গ্রহণের পর ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্তর্বর্তীকালীন অপারেশন্স টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ প্রতিযোগিতা চলাকালে দলীয় অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি ডব্লিউআইসিবির কাছ থেকে খুব কম সহায়তার বিপরীতে তার অসামান্য ভূমিকা পালনের কথা জনসমক্ষে তুলে ধরেন।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "WINDIES RECALL FOR BARROW CC BOWLER"। ২০০৭-০৯-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৫ 
  2. Smith Half-Century Leads South Africa To Victory[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]