মিনা রশিদ (আরবিঃ ميناء راشد, মিনা রশীদ), যা রশিদ বন্দর নামেও পরিচিত, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত একটি ক্রুজ টার্মিনাল। মূলত এই বন্দরের কার্গো ক্রিয়াকলাপ জেবেল আলী বন্দরে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুবাইয়ের প্রথম বাণিজ্যিক বন্দর ছিল । এটি বর্তমানে একটি সমুদ্রতীরবর্তী উপকূলীয় গন্তব্য, পর্যটন উপকূলীয় গন্তব্য, এবং আবাসিক এলাকা হিসেবে রয়েছে। এটি কুইন এলিজাবেথ ২ জাহাজের স্থায়ী বন্দর।[১]
বন্দরটি শেখ রশিদ বিন সাঈদ আল মাকতুমের নামানুসারে নামকরণ করা হয় এবং এটি ১৯৭২ সালে চালু করা হয়।[২] সে সময় বন্দরে মাত্র দুটি চলন্ত ক্রেন ছিল এবং ১০০,০০০ টিইইউ এর কম ধারণ ক্ষমতা ছিল।[৩] ১৯৭৮ সালে, বন্দরে নতুন ৩৫টি নোঙ্গরস্থান অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বন্দরটি সম্প্রসারিত করা হয় (যার মধ্যে পাঁচটি সে সময় বৃহত্তম কন্টেইনার জাহাজ দ্বারা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিল)। বর্তমানে বন্দরটিতে [যার গভীরতা ১৩ মিটার (৪৩ ফুট)] ৯টি চলন্ত ক্রেন এবং ১,৫০০,০০০ টিইইউ ধারণ ক্ষমতা আছে।[৩]
বর্তমানে মিনা রশিদ সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ, রোরো এবং যাত্রীবাহী জাহাজের জন্য নোঙ্গরস্থান সরবরাহ করে। ১৯৮০-এর দশকের প্রথম দিকে মিনা রশিদকে জেবেল আলী বন্দর দ্বারা সম্পূরক করা হয়, যা আবু ধাবি সীমান্তের কাছে দুবাইয়ের বাণিজ্যিক কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে অবস্থিত।
রশিদ বন্দর সংলগ্ন রয়েছে দুবাই ড্রাইডকস এবং দুবাই মেরিটাইম সিটি। এই উভয় সুবিধা মিনা রশিদের নৈকট্যের কারণে নির্মিত হয়। কিন্তু, ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে, ঘোষণা করা হয় যে বন্দর পুনর্নির্মাণ করা হবে। ফলে সকল পণ্যবাহী যান মার্চ ২০১৮ এর শেষে জেবেল আলী বন্দরে স্থানান্তরিত হবে এবং মিনা রশিদ ক্রুজ টার্মিনালে পরিণত হবে। এছাড়াও, বন্দরের কিছু অংশ সরকারী সংস্থা নাখীল পুনরুদ্ধার করবে "সমুদ্রের কাছে একটি শহরাঞ্চল" তৈরি করতে যাতে ২০০,০০০ বাসিন্দা থাকবে।
ডিপি ওয়ার্ল্ডের সহযোগিতায় শীর্ষ উন্নয়নকারী এমার মিনা রশিদে একটি নতুন প্রকল্প সিরধানা চালু করার কথা ঘোষণা করেছে, যা দুবাইয়ের মিনা রশিদের একটি নতুন সামুদ্রিক গন্তব্যের মধ্যে অবস্থিত ১-৩ শয়নক্ষবিশিষ্ট অ্যাপার্টমেন্ট প্রদান করে।[৪]
রশিদ বন্দর সাবেক কুনার্ড জাহাজ কুইন এলিজাবেথ ২ এর বর্তমান অবস্থান যা তার নতুন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করার আগে কোম্পানির জন্য তার চূড়ান্ত যাত্রা শেষে ২৬ নভেম্বর, ২০০৮ তারিখে সেখানে পৌঁছায়। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে দুবাই ভিত্তিক একটি নির্মাণ কোম্পানি ঘোষণা করে যে, জাহাজটি সংস্কারের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। পুনরুদ্ধারকৃত কিউই-২ ১৮ই এপ্রিল ২০১৮ সালে দর্শকদের জন্য খোলা হয়।[৫]
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)