ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রশীদ গুলাম মোহাম্মদ প্যাটেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ১ জুন, ১৯৬৪ সবরকণ্ঠ, গুজরাত, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | জেআর প্যাটেল (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ১৮৩) | ২৪ নভেম্বর ১৯৮৮ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র ওডিআই (ক্যাপ ৬৯) | ১৭ ডিসেম্বর ১৯৮৮ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৬/৮৭ - ১৯৯৬/৯৭ | বরোদরা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ জানুয়ারি ২০১৯ |
রশীদ গুলাম মোহাম্মদ প্যাটেল (হিন্দি: राशिद पटेल; জন্ম: ১ জুন, ১৯৬৪) বরোদরা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে বরোদরা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শী ছিলেন রশীদ প্যাটেল।
১৯৮৬-৮৭ মৌসুম থেকে ১৯৯৬-৯৭ মৌসুম পর্যন্ত রশীদ প্যাটেলের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৯০-৯১ মৌসুমের দীলিপ ট্রফিতে কিছু সময়ের জন্যে উত্তাপ ছড়ান। জামশেদপুরের কীনান স্টেডিয়ামে পশ্চিম অঞ্চলের সদস্যরূপে উত্তর অঞ্চলের বিপক্ষে চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হন। উত্যক্ততা ও বাদানুবাদে ভরপুর ছিল এ খেলাটি। শেষদিন উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয়বারের মতো ব্যাটিংয়ে নামে। খেলায় প্রয়োজনীয় পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও প্যাটেল স্ট্যাম্প তুলে উত্তর অঞ্চলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রমন লাম্বা’র দিকে তেড়ে আসেন।[১] ক্রিজে প্যাটেল দৌড়ে আসলে লাম্বাও তাকে সতর্ক করে দেন। ফলাফলস্বরূপ উভয় দলের মধ্যে বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে। চাবিরতির পনের মিনিট পূর্বে খেলা বন্ধ করে দেয়া হয়।[২]
প্যাটেল আত্মপক্ষ সময়র্তনে মন্তব্য করেন যে, লাম্বাকে আক্রমণের উদ্দেশ্যে স্ট্যাম্প হাতে নেননি। তিনি কেবলমাত্র লাম্বা’র ব্যাটে তিনবার আঘাত করেছেন, ব্যক্তিকে নয়।[৩] চার সপ্তাহ পর মাধবরাও সিন্ধিয়া, এম.এ.কে. পতৌদি ও রাজ সিং দুঙ্গারপুরকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি প্যাটেলকে ১৩ মাস ও লাম্বাকে ১০ মাস খেলায় অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করে।[৪] নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলে প্যাটেল পুনরায় ঘরোয়া খেলার জগতে ফিরে আসেন। তবে, খেলায় কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রশীদ প্যাটেল। ২৪ নভেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে মুম্বইয়ে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
দুইটি সাধারণমানের ক্রিকেট মৌসুম অতিবাহনের পর বিস্ময়করভাবে ভারত দলের পক্ষে টেস্ট খেলার জন্যে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ঐ টেস্টে ১৪ ওভার বোলিং করেছিলেন। ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অতিমাত্রায় ব্যর্থতার প্রতিমূর্তি ছিলেন তিনি। বোম্বের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টেস্টে প্রতিপক্ষীয় নিউজিল্যান্ড দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানদেরকে কয়েকবার পরাভূত করলেও কোন উইকেট লাভ করতে পারেননি। ব্যাট হাতে নিউজিল্যান্ডীয় তারকা বোলার স্যার রিচার্ড হ্যাডলি’র বলে উভয় ইনিংসেই শূন্য রানে বিদেয় নিতে হয় তাকে।
তিন সপ্তাহ পর একই দলের বিপক্ষে একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন। নিজ শহরের মাঠে ১০ ওভার বোলিং করে ৫৮ রান খরচায় উইকেট শূন্য অবস্থায় থাকতে হয়। এছাড়াও, ব্যাটিং করার সুযোগ মেলেনি তার।