রাইনহার্ড গেনৎসেলফেলো অফ দ্য রয়েল সোসাইটি[১] (জন্ম:২৪ মার্চ ১৯৫২) হলেন জার্মানির বাড হোমবুর্গে জন্ম নেওয়া জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তিনি ২০২০ সালে রজার পেনরোজ ও আন্ড্রেয়া গেজ সহ যৌথভাবে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[২] নোবেল কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্বের ভবিষ্যদ্বাণী বলিষ্ঠকরণে কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কারের জন্য রজার পেনরোজকে নোবেল প্রাইজের অর্ধেক মূল্য দেওয়া হবে। অন্যদিকে, বিশাল মহাকাশে ছায়াপথের কেন্দ্রে সুপারম্যাসিভ কমপ্যাক্ট অবজেক্টের আবিষ্কারের জন্য অপর দুই বিজ্ঞানীকে যৌথভাবে পুরস্কারের অর্ধেক দেওয়া হবে।[৩][৪]
রাইনহার্ড অবলোহিত জ্যোতির্বিজ্ঞান ও উপমিলিমিটার জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ও তার দল জ্যোতির্বিদ্যার জন্য স্থল- এবং মহাকাশ-ভিত্তিক যন্ত্রগুলির উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি এবং তার দল এসব যন্ত্রপাতি আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলে, Sagittarius A* এর আশেপাশে তারাগুলির গতিবিধি অনুসন্ধান করতে ব্যবহার করেছিলেন এবং দেখেছেন যে তারা একটি খুব বিশাল বস্তুকে প্রদক্ষিণ করছে, যেটি এখন কৃষ্ণ গহ্বর নামে পরিচিত।[৭] গেনৎসেল ছায়াপথের গঠন এবং বিবর্তনের গবেষণাতেও সক্রিয় অধ্যয়ন করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
২০১৮ সালের জুলাইয়ে, রাইনহার্ড গেনৎসেল জানিয়েছে যে এস ২ (তারা) এসজিআর এ * কে ৭৬৫০ কিমি/সেকেন্ডে প্রদক্ষিণ করছে, যা আলোর গতির ২.৫৫%, যেটির ব্যাসার্ধ ছিলো ১২০ অ্যাস্ট্রোনমিক্যালে ইউনিট।
এটি তাদের তত্ত্বটির অতিরিক্ত নিশ্চিতকরণ তথ্য দ্বারা লোহিত সরণে সাধারণ আপেক্ষিকতা এ আপেক্ষিকতাভিত্তিক বেগের পূর্বাভাসের পরীক্ষা করার অনুমতি দেয়।[৮][৯]
২০১৮ সালের জুলাইয়ে জার্মানির গার্চিংয়ে অবস্থিত ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রো-ফিজিক্সে "আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতার প্রথম সফল পরীক্ষার কাছে সুপারম্যাসিভ কৃষ্ণ গহ্বর" শীর্ষক প্রেস রিলিজ উপলক্ষে তোলা ছবি।
↑"Tycho Brahe-Preis für Reinhard Genzel"। Max-Planck-Institut für extraterrestrische Physik (জার্মান ভাষায়)। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০।