রাউন্ডহে বাগানের দৃশ্য | |
---|---|
পরিচালক | লুই লে প্রিন্স |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
মুক্তি | ১৪ অক্টোবর ১৮৮৮ |
স্থিতিকাল | ১.৬৬ সেকেন্ড |
দেশ | যুক্তরাজ্য |
ভাষা | নির্বাক |
রাউন্ডহে বাগানের দৃশ্য (ইংরেজি: Roundhey Garden Scene) হচ্ছে ফরাসী উদ্ভাবক লুই লে প্রিন্স কর্তৃক ধারণকৃত ১৮৮৮ সালের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্বাক বাস্তবিক চলচ্চিত্র। ১৮৮৮ সালের ১৪ অক্টোবর উত্তর ইংল্যান্ডের লিডসের রাউন্ডেহের ওকউড গ্র্যাঞ্জে চিত্রধারণ করা হয়, এটি এখনও বর্তমান থাকা বিশ্বের প্রাচীনতম চলচ্চিত্র বলে মনে করা হয়।[১]
১৮৮৮ সালের ১৬ নভেম্বর ব্যবহৃত ক্যামেরাটি যুক্তরাজ্যে উন্মুক্ত করা হয়েছিল।[২]
লে প্রিন্সের পুত্র অ্যাডল্ফের মতে, ১৮৮৮ সালের ১৪ অক্টোবর চলচ্চিত্রটি ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ওয়েস্ট রাইডিংয়ের লিডসের রাউন্ডহের জোসেফ ও সারা হুইটলির বাড়ি ওকউড গ্র্যাঞ্জে নির্মাণ করা হয়েছিল।[৩] দৃশ্যটিতে লুইয়ের পুত্র অ্যাডল্ফি লে প্রিন্স, তাঁর শাশুড়ি সারা হুইটলি (জন্ম রবিনসন, ১৮১৬ – ২৪ অক্টোবর ১৮৮৮), শ্বশুর জোসেফ হুইটলি (১৮১৭ – ১২ জানুয়ারি ১৮৯১) এবং অ্যানি হার্টলি ওকউড গ্র্যাঞ্জের বাগানে অবসর সময়ে উদ্যানের প্রাঙ্গণ ঘুরে ঘুরে দেখছেন। সারাহকে হাঁটতে – অথবা নাচতে – পেছন দিকে ঘুরতে দেখা গেছে ও জোসেফের কোটের ফিতাগুলো উড়তে এবং তাকেও ঘুরতে দেখা গেছে। জোসেফ ও সারা হুইটলি ছিলেন লে প্রিন্সের স্ত্রী এলিজাবেথের পিতা-মাতা। অ্যানি হার্টলি লে প্রিন্স ও তাঁর স্ত্রীর বন্ধু বলে বিশ্বাস করা হয়। দৃশ্যটির চিত্রগ্রহণের দশ দিন পর সারা হুইটলি মারা যায়।[৪] ১৯৭২ সালে ওকউড গ্রেঞ্জকে ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং আধুনিক আবাসনের সাথে পুনর্নবীকরণ করা হয়; ওকউড গ্র্যাঞ্জ লেনের শেষেদিকে কেবলমাত্র উদ্যানের দেয়ালগুলোই অবশেষ ছিলো।[৫]