রাজনৈতিক সমালোচনা (রাজনৈতিক ভাষ্য বা রাজনৈতিক বিতর্ক হিসেবেও উল্লেখ করা হয়) হল নীতি, রাজনীতিবিদ, রাজনৈতিক দল এবং সরকারের ধরন সহ রাজনীতির সমালোচনা বা সম্পর্কিত আলোচনা।[১]
বিদেশে থেকে সরকারের সমালোচনা করার কারণে কয়েকজন লেখক ও ব্লগারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের ক্ষোভের বিষয়টি নানা সময়ে আলোচিত হয়। এদের মধ্য থেকে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা, তাদের আত্মীয় স্বজনদের আটক বা তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হতে হয়।[২] গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে কেউ কিছু বললেই সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা কূটনীতিকদের আচরণবিধি সংক্রান্ত ‘ভিয়েনা কনভেনশন’ স্মরণ করিয়ে দেয়া নিয়েও সমালোচনা হতে দেখা যায়।[৩] বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের একটি আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত হয়েও আলোচনায় থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমকে ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয় রাজনৈতিক অঙ্গনে, যাতে জড়িয়ে পড়েন দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতারাও।[৪] সরকারের সমালোচনা বা কঠোর রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে গত এক দশকে বিভিন্ন দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হলে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে তৎপর হয়ে ওঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরকে বিভিন্ন সময়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করলেও একবারের জন্যও জেলে যেতে হয়নি। এমনকি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার পরও গ্রেপ্তার হননি বলে সমালোচিত হতে হয়।[৫]