মাননীয় রাজমোহন গান্ধী | |
---|---|
সংসদ সদস্য, রাজ্যসভা[১] | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯০-৯২ | |
সংসদীয় এলাকা | উত্তর প্রদেশ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | [২] নতুন দিল্লি, ব্রিটিশ ভারত | ৭ আগস্ট ১৯৩৫
রাজনৈতিক দল | জনতা দল |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | আম আদমি পার্টি |
দাম্পত্য সঙ্গী | উশা গান্ধি |
সন্তান | ২ |
পিতামাতা | দেবদাস গান্ধী লক্ষ্মী গান্ধী |
পেশা | জীবনীকার, সাংবাদিক |
পুরস্কার | আন্তর্জাতিক মানবিক পুরস্কার (মানবাধিকার) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
রাজমোহন গান্ধী (জন্ম ৭ আগস্ট ১৯৩৫) [২] একজন ভারতীয় ইতিহাসবিদ। তিনি একজন জীবনী লেখন এবং আমেরিকার উর্বানা-চ্যাম্পেইন, ইলিনয় ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশীয় এবং মধ্য প্রাচ্য স্টাডিজের সেন্টার-এর গবেষক। তিনি হলেন মহাত্মা গান্ধী ও চক্রবর্তী রাজগোপালচারী এর নাতি। এছাড়া তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি গান্ধীনগর আবাসের একজন পণ্ডিত।
তার পিতা ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর পুত্র দেবদাস গান্ধী, তিনি হিন্দুস্তান টাইমসের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ছিলেন। রাজমোহন গান্ধী ভারতের নয়াদিল্লির সেন্ট স্টিফেন কলেজে পড়াশুনা করেন। তার মাতামহ চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী, যিনি ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় গভর্নর জেনারেল এবং মহাত্মা গান্ধীর অন্যতম সহযোগী।
রাজমোহন গান্ধী ১৯৫৬ থেকে ইনিশিয়েটিভস অফ চেঞ্জের সাথে যুক্ত ছিলেন (পূর্বে মুরাল রে-আর্মেন্ট হিসাবে পরিচিত), আস্থা তৈরি, পুনর্মিলন এবং গণতন্ত্রের জন্য এবং দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অর্ধ শতাব্দী ধরে নিযুক্ত ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ] ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে, গান্ধী পশ্চিম ভারতের পর্বতমালার পঞ্চগনি ইনিশিয়েটিভস অফ চেঞ্জের সম্মেলন কেন্দ্র, এশিয়া মালভূমি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। [৩]। ভারতে জরুরি অবস্থা (১৯৭৫-১৯৭৭) পরিস্থিতিতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য ১৯৬৪ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত বোম্বাইয়ে প্রকাশিত তার সাপ্তাহিক জার্নাল হিম্মতের মাধ্যমে সক্রিয় ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ] তার বই, অ্যা টেল অফ টু রিভোল্ট: ইন্ডিয়া ১৮৫৭ এবং দ্যা আমেরিকান সিভিল ওয়ার (নয়াদিল্লি: পেঙ্গুইন ইন্ডিয়া, ডিসেম্বর ২০০৯), এবং প্রায় একই সময়ে প্রকাশিত তার পূর্ববর্তী বই, তার দাদা মহাত্মা গান্ধীর জীবনী, মোহনদাস: এ ট্রু স্টোরি অফ আ ম্যান, হিজ পিপল এবং এম্পায়ার, ২০০৭ সালে ভারতীয় কংগ্রেস থেকে সম্মানজনক দ্বিবার্ষিক পুরস্কার পেয়েছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এটি বেশ কয়েকটি দেশে প্রকাশিত হয়েছিল। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বই দুটোতে বিশ্বের বিভিন্ন অংশে সংঘটিত ১৯ শতকের দুটি সম্পার্কে যুদ্ধ বর্ণনা করেছেন। [ উদ্ধৃতি প্রয়োজন ] ২০০২ সালে, গান্ধী তার পিতামহ এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে চক্রবর্তী রাজগোপালচারী (১৮৭৮-১৯৭২), যিনি প্রথম ভারতীয় গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হয়েছিলেন (১৯৪৮-১৯৫০)। তার জীবনী সম্পার্কের বই রাজাজী: এ লাইফ, এ বায়োগ্রাফি এর জন্য সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।[৪]
তার অন্যান্য রচনার মধ্যে রয়েছে গাফফার খান: নন ভাইলেন্ট বাদশা (পেঙ্গুইন ২০০৪); রিভেন্স এন্ড রিকনসিলেশন: আন্ডারস্ট্যান্ডিং সাউথ এশীয়ান হিস্ট্রি (পেঙ্গুইন, ১৯৯৯); প্যাটেল: আ লাইফ, বল্লভভাই পটেল (১৮৭৫-১৯৫০), ভারতের উপ-প্রধানমন্ত্রী, ১৯৪৭-৫০ এর জীবনী সম্পর্কিত রচনা(নবজীবন, আহমেদাবাদ, ১৯৯০); এবং এইট লাইভস: এ স্টাডি অফ দ্যা হিন্দু-মুসলিম এনকাউন্টার (সানি, ১৯৮৭)। তার আগের একটি বই, দ্য গুড বোটম্যান: এ পোর্ট্রেট অফ গান্ধী, ২০০৯ সালে বেইজিংয়ে চীনা ভাষায় অনুবাদিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। অতি সম্প্রতি গান্ধী, পাঞ্জাব: এ হিস্টোরী ফর্ম আওরঙ্গজেব টু মাউন্টব্যাটেন (আলেফ বুক সংস্থা ২০১৩) নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন, যা আওরঙ্গজেবের মৃত্যু থেকে দেশভাগ পর্যন্ত অবিভক্ত পাঞ্জাবের এর ঐতিহাসিক বিবরণ।[৫]
ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতার আগে তিনি নয়া দিল্লির থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক, সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ এ গবেষণা অধ্যাপক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ পর্যন্ত তিনি মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সম্পাদনা করেছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি ইলিনয়ের চ্যাম্পেইন শহর থেকে আন্তর্জাতিক মানবিক পুরস্কার (মানবাধিকার) পেয়েছিলেন এবং ১৯৯৭ সালে তিনি ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনের সম্মানসূচক ডক্টরেট এবং ওবিরিন বিশ্ববিদ্যালয়, টোকিওর কাছ থেকে দর্শনের সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বর্তমানে নুরেমবার্গ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পুরষ্কারের জন্য জুরি সদস্য এবং গুরুগ্রাম সংলাপ ও পুনর্মিলন কেন্দ্রের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। [৪]
১৯৮৯ সালে গান্ধী লোক সভা নির্বাচনে আমেথি থেকে রাজীব গান্ধী বিরুদ্ধে অসফল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি (১৯৯-৯২) সালে রাজ্যসভায় (ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ) দায়িত্ব পালন করেছিলেন এবং ১৯৯০ সালে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। ভারতীয় সংসদে তিনি তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতির অবস্থা সম্বোধন কারি উভয় দলের সর্বদলীয় যৌথ কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন।
২০১৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, তিনি আম আদমি পার্টিতে যোগদান করেছিলেন।[৬] তিনি ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন পূর্ব দিল্লি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং হেরেছিলেন।[৭]
রাজমোহন গান্ধী ঊষাকে বিয়ে করেছেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে, সুপ্রিয়া ও দেবদত্ত।[৮]
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "southasia.uchicago.edu" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে