রাজশ্রী | |
---|---|
জন্ম | রাজশ্রী শান্তারাম ৮ অক্টোবর ১৯৪৪ |
নাগরিকত্ব | মার্কিনী |
পেশা | অভিনয়শিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৫৪ ১৯৬১–১৯৭৩ |
পিতা-মাতা | ভি. শান্তারাম (পিতা), জয়শ্রী (মাতা) |
রাজশ্রী (হিন্দি: राजश्री) হলেন একজন ভারতীয় বলিউড অভিনেত্রী। তিনি জানোয়ার এবং ব্রহ্মচারী ছবিতে তাঁর কাজের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত।
রাজশ্রী তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির বোম্বেতে (বর্তমান ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাই) ১৯৪৪ সালের ৮ই অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। [১] রাজশ্রী প্রশংসিত ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ভি. শান্তরাম এবং ভি.শান্তরামের দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী জয়শ্রীর কন্যা। তাঁর ভাই কিরণ শান্তরম ছিলেন প্রাক্তন মুম্বাইয়ের প্রাক্তন শেরিফ।
ঘর বসাকে দেখো, গৃহস্থী, নবরং এবং স্ত্রী-র মতো চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করে শুরু করেছিলেন রাজশ্রী। ১৯৬৪ সালে তাঁর বাবার চলচ্চিত্র গীত গায়া পত্থরোঁ নে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি তাঁর পুরাদস্তুর অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এই ছবিতে তিনি অভিজ্ঞ অভিনেতা জিতেন্দ্রর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। সিনেমাটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এবং তাঁর অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছিল। জানোয়ার ছবিতে কিংবদন্তি শাম্মী কাপুরের বিপরীতে অভিনয়ের পরে তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে গিয়েছিল।
তাঁর সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র জীবনে, তিনি সেই সময়ের সেরা অভিনেতাদের সাথে কাজ করতে পেরেছিলেন। হিন্দি চলচ্চিত্রের আদর্শ অভিনেতা ও পরিচালক রাজ কাপুরের সাথে তিনি ১৯৬৭ সালে অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড এর মত বহুল-প্রশংসিত ছবিতে কাজ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন। ব্রহ্মচারীতে তাঁর অভিনয় অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল এবং তিনি যে সেরা অভিনয়গুলি করেছিলেন এটি তার মধ্যে অন্যতম ছিল। ১৯৭৩ সালে শশী কাপুর ও মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় অভিনীত অতি জনপ্রিয় ছবি নয়না-তে তাঁকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিলেন। এর পরে তাঁকে আর কখনও চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়নি।
আমেরিকাতে রাজ কাপুরের সাথেঅ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ছবির চিত্রায়নের সময়, আমেরিকান ছাত্র গ্রেগ চ্যাপম্যানের সাথে তাঁর দেখা হয়েছিল। তিন বছর পরে এই যুগল, পাঁচ দিন ধরে চলা একটি ভারতীয় অনুষ্ঠানে বিবাহ করেছিলেন। তিনি স্বামীর সাথে স্থায়ীভাবে আমেরিকাতে বসবাস করার জন্য চলে গিয়েছিলেন।[২] তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাঁরা লস অ্যাঞ্জেলেসে এ বসবাস করেন।[৩][৪]
তিনি গত ৩০ বছর ধরে আমেরিকাতে বসবাস করছেন এবং স্বামীর সঙ্গে খুব সফল একটি পোশাকের ব্যবসা চালাচ্ছেন। এখনও চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর সমান আগ্রহ রয়েছে। তিনি হ্যাক-ও-ল্যান্টার্ন, টেইন্টেড লাভ এবং মনসুন ছবিতে সহকারী পরিচালক ছিলেন এবং "অশোক বাই অ্যানাদার নেম" শিরোনামে শিশুদের একটি ভিডিওতে তিনি নেপথ্যে কন্ঠদান করে বর্ণনা করেছেন।
জৈন সোশ্যাল গ্রুপ বেভারলি হিলস এবং সিটি অফ বেভারলি হিলস, অভিনেত্রী রাজশ্রীকে ক্যাফে সেভিলা-তে গ্রুপের ২০১৩ সালের ইভেন্টের সময় একটি ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে অভিনেত্রী রাজশ্রীকে সম্মানিত করেন। তাঁর স্বামী গ্রেগ চ্যাপম্যান সদস্যদের সাথে তাঁদের কিছু ব্যক্তিগত মুহুর্ত ভাগ করে নিয়েছিলেন। [৫]
বছর | চলচ্চিত্র | চরিত্র | মন্তব্য |
---|---|---|---|
১৯৫৪ | সুবাহ কা তারা | সোগী, মোহনের বোন | |
১৯৬১ | স্ত্রী | ||
১৯৬৩ | গৃহস্থী | কিরণ খান্না | |
১৯৬৩ | ঘর বসাকে দেখো | শারদা মেহরা | |
১৯৬৪ | শেহনাই | প্রীতি | |
১৯৬৪ | জি চাহতা হ্যায় | ||
১৯৬৪ | গীত গায়া পত্থরোঁ নে | বিদ্যা | |
১৯৬৫ | দো দিল | বিজলী | |
১৯৬৫ | জানোয়ার | সপ্না | |
১৯৬৬ | সগাই | শীল | |
১৯৬৬ | মহব্বত জিন্দেগি হ্যায় | নীতা | |
১৯৬৭ | দিল নে পুকারা | আশা | |
১৯৬৭ | গুনাহোঁ কা দেবতা | ||
১৯৬৭ | অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড | রীতা | |
১৯৬৮ | সুহাগ রাত | ||
১৯৬৮ | ব্রহ্মচারী | শীতল চৌধুরী | |
১৯৭৩ | নয়না |