রাজা হিন্দুস্তানী | |
---|---|
![]() রাজা হিন্দুস্তানী চলচ্চিত্রের পোস্টার | |
Raja Hindustani | |
পরিচালক | ধর্মেশ দর্শন |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা |
|
চিত্রনাট্যকার | রবিন ভাট |
কাহিনিকার | ধর্মেশ দর্শন |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | নাদিম-শ্রাবণ |
চিত্রগ্রাহক | ডব্লিও. বি. রাও |
সম্পাদক | ভরত |
প্রযোজনা কোম্পানি | সিনেযুগ |
পরিবেশক | টিপস ইন্টারন্যাশনাল |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৭৪ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
নির্মাণব্যয় | আনু. ₹৫৭.৫ মিলিয়ন |
আয় | আনু. ₹৭৬৩.৪ মিলিয়ন[১] |
রাজা হিন্দুস্তানী (হিন্দি: राजा हिन्दुस्तानी, বাংলা: রাজা ভারতীয়) ধর্মেশ দর্শন পরিচালিত ১৯৯৬ সালের ভারতীয় রোমান্টিক নাট্য চলচ্চিত্র। ছবিটি কাহিনী ও সংলাপ লিখেছেন ধর্মেশ দর্শন ও জাভেদ সিদ্দিকী এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন রবিন ভাট। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমির খান, কারিশমা কাপুর, সুরেশ ওবেরয়, ও জনি লিভার।
১৯৯৬ সালের ১৫ নভেম্বর মুক্তি পাওয়া এই চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনী ১৯৬৫ সালের শশী কাপুর ও নন্দা অভিনীত চলচ্চিত্র জব জব ফুল খিলের মত।[২] আনুমানিক ₹৫৭.৫ মিলিয়ন বাজেটে নির্মিত চলচ্চিত্রটি ১৯৯৬ সালের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র। এটি ১০টি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করে এবং শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রসহ পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন করে।[৩]
রাজা হিন্দুস্তানি একজন ট্যাক্সি চালক ও টুরিস্ট গাইড। সে সহজসরল জীবনযাপন করে কিন্তু অন্যায় দেখলে সে তার প্রতিবাদ করে। আরতি সেহগল তার অতীতের খোঁজ করছে। তাই সে তার ছুটিতে তার মৃত মায়ের স্মৃতি খুঁজতে পালংক্ষেত যায়। বিমানবন্দর থেকে পালংক্ষেত যেতে অন্য যানবাহন না পেয়ে সে রাজার ট্যাক্সিতে চড়ে। কয়েকদিনের মধ্যে আরতি আর রাজার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই মধ্যে একদিন আরতির বাবা সেখানে এসে তাকে মুম্বাই নিয়ে যেতে চায়। আরতি তার বাবাকে রাজার কথা বলে। তার বাবা রাজাকে মুম্বাই গিয়ে সমাজের একজন হওয়ার শর্তে তাকে মেনে নেওয়ার কথা বলে। রাজা তাতে অসম্মতি জানায় এবং তার বাবাকে জবাব দিতে বলে। আরতি রাজার কাছে থাকার সিদ্বান্ত নেয় এবং তার বাবার আশীর্বাদ চায়। তার বাবা মুম্বাই ফিরে যায়।
কিছুদিন পর আরতির বাবা তাকে ক্ষমা করে দেয় এবং পালংক্ষেত তাকে দেখতে আসে। জনাব সেহগল তার মেয়ে এবং জামাতাকে একটি বাড়ি উপহার দেয়, কিন্তু রাজা সে উপহার নিতে অসম্মতি জানায় কারণ সে একে উপহার নয় বরং দান হিসেবে দেখে। আরতির সৎ মা শালিনী, তার ভাই স্বরাজ ও তার ভাইয়ের ছেলে জয় একে সেহগলের সম্পত্তি দখলের সুযোগ হিসেবে দেখে। তারা এক জন্মদিনে অনুষ্ঠানে রাজা ও আরতিকে ডেকে আনে এবং এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যে তারা আলাদা হয়ে যায়।
আরতি বুঝতে পারে সে গর্ভবতী, কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকার কারণে সে পালংক্ষেত না গিয়ে তার সৎ মাকে বলে রাজাকে সেই খবর দিয়ে মুম্বাইয়ে নিয়ে আসবে। আরতির সৎ মা রাজাকে বলে আরতি তাকে তালাক দিতে চায় কিন্তু রাজা অসম্মতি জানায়। কিছুদিন পর রাজা জানতে পারে আরতির একটি সন্তান হয়েছে এবং সে তার সন্তানকে রাজার কাছ থেকে দূরে রাখতে চায়। রাজা কখনো তার সন্তানকে দেখতে পারবে না এই ভয়ে সে তার সন্তানকে চুরি করে নিয়ে যায়। আরতি রাজার কাছে গিয়ে হাত জোর করে তার সন্তানকে ভিক্ষা চায়। সেসময়ে আরতির সৎ মায়ের মিথ্যা ও প্রবঞ্চনা প্রকাশ পায় এবং আরতি ও রাজা পুনর্মিলিত হয়।
রাজা হিন্দুস্তানী | ||||
---|---|---|---|---|
কর্তৃক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ১৯৯৬ | |||
ঘরানা | চলচ্চিত্রের গান | |||
দৈর্ঘ্য | ৫১:২০ | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | টিপস মিউজিক | |||
প্রযোজক | নাদিম-শ্রাবণ | |||
নাদিম-শ্রাবণ কালক্রম | ||||
|
রাজা হিন্দুস্তানি চলচ্চিত্রের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন নাদিম-শ্রাবণ।[৪] গীত রচনা করেছেন সমীর।[৫] ছবিতে আটটি গান রয়েছে। এই ছবির "কিতনা পেয়ারা তুঝে রব নে বানায়া" গানটি নুসরাত ফাতেহ আলী খানের "কিন্না সুনা তেনু রব নে বানায়া" পাঞ্জাবি গানের হিন্দি অনুবাদ। প্ল্যানেট বলিউডের অঙ্কিত যোশি এই চলচ্চিত্রের গানকে ১০ এ ৯.৫ রেটিং দিয়েছেন।[৬]
নং. | শিরোনাম | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|
১. | "পুচো জারা পুচো" | অলকা ইয়াগনিক, কুমার শানু | ৬:১২ |
২. | "আয়ে হো মেরি জিন্দেগী মে (পুরুষ)" | উদিত নারায়ণ | ৬:০২ |
৩. | "আয়ে হো মেরি জিন্দেগী মে (নারী)" | অলকা ইয়াগনিক | ৬:০২ |
৪. | "কিতনা পেয়ারা তুঝে রব নে বানায়া" | অলকা ইয়াগনিক, উদিত নারায়ণ | ৬:২০ |
৫. | "পরদেশী পরদেশী (১)" | অলকা ইয়াগনিক, উদিত নারায়ণ, স্বপ্না আগস্তি | ৭:৩১ |
৬. | "পরদেশী পরদেশী (২)" | অলকা ইয়াগনিক, কুমার শানু | ৮:১৯ |
৭. | "তেরে ইশক মে নাচেঙ্গে" | কুমার শানু, আলিসা চিনয়, স্বপ্না মুখোপাধ্যায় | ৮:১৪ |
৮. | "পরদেশী পরদেশী (স্লো)" | সুরেশ ওয়াদকর, বেলা সুলাকে, উদিত নারায়ণ | ২:৪০ |
পুরস্কার | বিভাগ | মনোনীত | ফলাফল | সূত্র |
---|---|---|---|---|
ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | আলি মোরানি, করিম মোরানি, বান্টি শর্মা | বিজয়ী | [৭] |
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | আমির খান | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | কারিশমা কাপুর | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক | নাদিম-শ্রাবণ | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য শিল্পী | উদিত নারায়ণ | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | ধর্মেশ দর্শন | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | অর্চনা পূরণ সিং | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনেতা | জনি লিভার | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ গীতিকার | সমীর | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য শিল্পী | অলকা ইয়াগনিক | মনোনীত | ||
স্ক্রিন পুরস্কার | সেরা চলচ্চিত্র | আলি মোরানি, করিম মোরানি, বান্টি শর্মা | বিজয়ী | [৮] |
সেরা পরিচালক | ধর্মেশ দর্শন | বিজয়ী | ||
সেরা অভিনেতা | আমির খান | বিজয়ী | ||
সেরা কৌতুকাভিনেতা | জনি লিভার | বিজয়ী | ||
সেরা সঙ্গীত পরিচালক | নাদিম-শ্রাবণ | বিজয়ী | ||
সেরা পুরুষ নেপথ্য শিল্পী | উদিত নারায়ণ | বিজয়ী | ||
সেরা চিত্রনাট্য | রবিন ভাট | বিজয়ী |