রাজাকার (رضا کار) হলো ব্যুৎপত্তিগতভাবে একটি আরবি শব্দ যার শাব্দিক অর্থ হল সেচ্ছাসেবী। এটি একটি ধার করা শব্দ হিসেবে উর্দু ভাষায় এসেছে। বাংলাদেশে, রাজাকার একটি অপমানজনক শব্দ, যার অর্থ বিশ্বাসঘাতক বা প্রতারক।
রাজাকাররা ছিল পূর্ব পাকিস্তানি আধা সামরিক বাহিনী যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে সাহায্য করতো।[১]
পুলিশ কওমি রাজাকার হল পাকিস্তানের একটি সেচ্ছাসেবী বাহিনী যা পুলিশকে তাদের কাজের সময় সাহায্য করে থাকে।[২][৩]
হায়দ্রাবাদে, রাজাকাররা হল হায়দ্রাবাদের নিজাম প্রদেশ কর্তৃক ভারতের সাথে সংযোগসাধনের বিরোধিতা করার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত সেচ্ছাসেবী।[৪]
বাংলা ভাষায়, রাজাকার হল একটি স্থানীয় গালি যা প্রধানত দেশদ্রোহী অর্থাৎ যুদ্ধাপরাধীদের দেওয়া হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এই অপমানজনক পরিভাষাটি পশ্চিমা পরিভাষা "জুডাস" দেশদ্রোহীর সমার্থক।[৫] শব্দটি ১৯৭১ সালের পূর্ব পাকিস্তানি আধাসামরিক বাহিনী "রাজাকার" থেকে এসেছে। ২০২৪ সালের কোটা আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজাকার শব্দটি ব্যবহার করে যেটার কারণে আন্দোলনটা এক পর্যায়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন কিংবা গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। ১৪ জুলাই ২০২৪ সাবেক প্রধানমন্ত্রী একটি মন্তব্য করেন যেখানে তিনি বলেন "মুক্তিযুদ্ধার নাতিপুতিরা না পেলে কি রাজাকারের নাটিপুতিরা পাবে?"। এই মন্তব্যটি দেওয়ার পরে কোটা আন্দোলনকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে এবং প্রতিবাদ করা শুরু করেছিল এবং রাজাকার স্লোগানটি দিচ্ছিলো যেখানে তারা বলে "তুমি কে? আমি কে? রাজাকার! রাজাকার! কে বলেছে? বলেছে? স্বৈরাচার! স্বৈরাচার! তুই রাজাকার! তুই রাজাকার!", আবার কোনো জায়গায় বলেছিল "তুমি না, আমি না। রাজাকার! রাজাকার!"।