ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ राजेन्द्र प्रसाद | |
---|---|
ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫০ – ১৩ মে, ১৯৬২ | |
উপরাষ্ট্রপতি | সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ (১৯৫২-১৯৬২) |
পূর্বসূরী | চক্রবর্তী রাজগোপালাচারী |
উত্তরসূরী | সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ৩ ডিসেম্বর, ১৮৮৪ জেরাদেই, বিহার, ভারত |
মৃত্যু | ২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ |
দাম্পত্য সঙ্গী | রাজবংশী দেবী |
পুরস্কার | ভারতরত্ন (১৯৬২) |
ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম রাষ্ট্রপতি, জাতীয় কংগ্রেস নেতা ও একজন প্রথিতযশা আইনজীবী।[১]
রাজেন্দ্র প্রসাদ বিহারের সিওয়ানে এক কায়স্থ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম ছিল মহাদেব সহায়, তিনি সংস্কৃত ও পারশিয়ান ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। পাঁচ বছর বয়েসে তাকে মৌলভির কাছে পারশিয়ান ভাষা শিক্ষার জন্যে পাঠানো হয়। ১৮৯৬ সালে ছাপড়ার স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তী শিক্ষা সম্পন্ন হয় পাটনায়। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন ও বৃত্তি পান। ১৯০২ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন বিজ্ঞান বিভাগে। ১৯০৫ সালে প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ণ হয়ে কলা নিয়ে পড়তে শুরু করেন ও ১৯০৭ সালে অর্থনীতি বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।
রাজেন্দ্র প্রসাদ বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষকতার কাজ করেছেন। বিহারের মুজাফফরপুরের লংগত সিং কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে প্রথমে নিযুক্ত কয়ে প্রিন্সিপাল হন। আইন পড়ার উদ্দেশ্যে এই চাকরি ছেড়ে তিনি কলকাতা আসেন ও ১৯০৯ সালে রিপন কলেজে (অধুনা সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজ) ভর্তি হন। তিনি কলকাতার সিটি কলেজে অর্থনীতির অধ্যাপনাও করেন কিছুকাল। রাজেন্দ্র প্রসাদ ১৯১৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় স্বর্ণপদক সহ পাশ করেছিলেন। ১৯৩৭ সালে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পি এইচ ডি ডিগ্রী প্রাপ্ত হন।[২]
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে আইনজীবী হিসেবে ওড়িশা ও বিহার হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন। তিনি কিছুকাল ভাগলপুর আদালত ও কলকাতা উচ্চ আদালতেও কাজ করেছেন।
ছাত্রাবস্থায়, ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতার বার্ষিক সভায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তার রাজনীতিতে প্রবেশ। ১৯১১ সালে কংগ্রেসের সদস্য ১৯১৬ সালে লখনৌতে মহাত্মা গাঁধীর সংস্পর্শে এসে চম্পারনে তথ্যনুসন্ধানে যান। এই কাজে সাহসিকতা ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন। অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে আইন পেশা পরিত্যাগ করেন ও সবসময়ের জন্যে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। স্বদেশী আন্দোলনে যোগ দিয়ে তার সাহিত্যিক ও দার্শনিক রাহুল সাংকৃত্যায়নে র সংগে আলাপ হয়। রাহুলজি তার পান্ডিত্য ও ব্যক্তিত্বের দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। তিনি তার রচনায় একাধিকবার রাজেন্দ্র প্রসাদের কথা উল্লেখ করেছেন।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ সালে মারা যান ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ।
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী ভারতের গভর্নর জেনারেল হিসেবে |
ভারতের রাষ্ট্রপতি ১৯৫০–১৯৬২ |
উত্তরসূরী সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ |