রান কোহেন | |
---|---|
মন্ত্রীত্ব | |
নেসেট-য়ের প্রতিনিধি | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | বাগদাদ, ইরাক | ২০ জুন ১৯৩৭
রান কোহেন (হিব্রু ভাষায়: רן כהן; জন্ম ২০শে জুন, ১৯৩৭) একজন ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ এবং মেরেটজের প্রাক্তন নেসেট সদস্য।
রান কোহেনের জন্ম ইরাকের বাগদাদে। তার জন্মনাম সাইদ কোহেন। ১৩ বছর বয়সে ইরান হয়ে তিনি পরিবারসহ ইসরায়েলে অভিবাসী হন । ইসরায়েলে আসার পর তার প্রথম নাম পরিবর্তন করে "রান" রাখা হয়- যা একটি হিব্রু নাম।[১] তিনি কিবুতজ গান শমুয়েলে বেড়ে ওঠেন, যেখানে তিনি সমাজতান্ত্রিক এবং জায়নবাদী মতাদর্শকে গ্রহণ করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার সামরিক চাকরির সময় তিনি কর্নেল (আলুফ মিশনে) পদে উন্নীত হন। সামরিক বাহিনীতে পরিষেবার পর তিনি তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
কোহেন মেভাসেরেট জায়নের বাসিন্দা। তিনি বিবাহিত এবং চার সন্তানের পিতা।
১৯৭০ সালে তিনি কিবুতজ গ্যান শ্মুয়েল এর সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।
১৯৮৪ সালে তিনি রাতজের সদস্য রূপে নেসেট সদস্য নির্বাচিত হন। ইস্রায়েলের বাম ক্যাম্প শান্তি আন্দোলনে তার নেতৃত্বের জন্যে তিনি নেসেট সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯২ সালে শুরু করে, তিনি মেরেটজের সদস্য হিসেবে কাজ করেন। মেরেতজ একটি ডোবিশ বামপন্থী দল, যা ম্যাপাম, রাতজ এবং শিনুইয়ের একীভূতকরণের ফলে তৈরি হয়েছিল। তিনি এহুদ বারাকের নেতৃত্বাধীন সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী ছিলেন। তিনি নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি সহ বেশ কয়েকটি নেসেট কমিটির প্রধান ছিলেন। কোহেন হিস্টাদ্রুতের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত। তিনি মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনের জন্য "বিট অর অভিভা" সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয় এবং সামাজিক বিষয়ে সাধারণ প্রেসে নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন।
সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে, কোহেন নিম্নলিখিত কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন: অভিবাসন এবং একত্রীকরণ কমিটি; শ্রম ও কল্যাণ কমিটি; রাজ্য নিয়ন্ত্রণ কমিটি; অর্থ কমিটি; মাদক বিরোধী কমিটি; পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটি। ১৯৯২-১৯৯৯ থেকে তিনি মেরেটজ পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৯ সালের ১লা জুলাই থেকে ২০০০ সালের জুন মাসে পদত্যাগ করা পর্যন্ত তিনি শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কোহেন "পাবলিক হাউজিং আইন" প্রণয়নের জন্যে বিখ্যাত। এই আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সরবরাহকৃত বাড়ির বাসিন্দাদের বাড়ির মালিকানার অনুমতি দেয়। তিনি ন্যূনতম মজুরি নিয়ন্ত্রণকারী একটি আইন পাস করতেও সক্ষম হন।
বৈদেশিক নীতি অপেক্ষা সামাজিক-অর্থনৈতিক বিষয়গুলিতেই কোহেনের অধিক আগ্রহ ছিল। এছাড়া তার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়া।
২০০৪ সালে যোসি বেলিনের নেতৃত্বাধীন সাচার আন্দোলনের সাথে মেরেতজ রাজনৈতিক দলটি মিশে গিয়ে ইয়াচাদ নাম নিয়ে রাজনৈতিক আত্মপ্রকাশ করলে কোহেন নতুন দলের সভাপতিত্বের জন্য নির্বাচনে অংশ নেন কিন্তু বেলিনের কাছে পরাজিত হন।[২]
২০০৮ সালের ১ নভেম্বর, বেইলিনের পদত্যাগের পর, রান কোহেন রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে দলের তালিকায় স্থান পেতে চান না বলে ঘোষণা করেন। তিনি বলেছিলেন "আমি আমার জীবনের তৃতীয় অধ্যায় শুরু করতে চাই, আমার মনের জন্য কিছু করতে চাই: লেখা, বক্তৃতা দেওয়া, সামাজিক এবং জনসাধারণের উদ্যোগে অংশ নেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আমার আগ্রহ রয়েছে।"[৩]
২০১১ সালের হিসাবে, রান কোহেন স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট অফ ইসরায়েলের (এসআইআই) চেয়ারম্যান।[৪]