রানিয়া আল-আবদুল্লাহ (আরবি: رانيا العبد الله,; জন্ম: ১ আগস্ট ১৯৭০ সালে রানিয়া আল-ইয়াসিন হিসেবে) হলেন জর্ডানের রাণী। তিনি কুয়েতে একজন ফিলিস্তিনি দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তিনি কায়রোর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসনে তার স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯১ সালে, উপসাগরীয় যুদ্ধের পর, তিনি এবং তার পরিবার জর্ডানের আম্মানে পালিয়ে যান, যেখানে তিনি তৎকালীন জর্ডানের যুবরাজ আবদুল্লাহর সাথে দেখা করেন। এর আগে, তিনি সিটি ব্যাংকে কাজ করেন এবং অ্যাপলে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি নেন।[২] ১৯৯৩ সালে জর্ডানের বর্তমান রাজাকে বিয়ে করার পর থেকে, তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সম্প্রদায় ক্ষমতায়ন, যুব, ক্রস-সাংস্কৃতিক সংলাপ এবং মাইক্রো-ফাইন্যান্স সম্পর্কিত কাজের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছেন।
রানিয়া আল-ইয়াসিন ১৩ আগস্ট ১৯৭০ সালে কুয়েতে ফিলিস্তিনি পিতামাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অবশ্য তুর্কি বংশোভুতও বটে।[৩] তিনি কায়রোর আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতক হওয়ার পর, তিনি সিটি ব্যাংকের বিপণনে কাজ করেন, তারপরে জর্ডানের আম্মানে অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডে চাকরি করেন।[৪]
১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে একটি ডিনার পার্টিতে তিনি জর্ডানীয় আবদুল্লাহ বিন আল-হুসাইনের সাথে দেখা করেন, যিনি সেই সময়ে জর্ডানের রাজপুত্র ছিলেন,। ছয় মাস পরে, ১৯৯৩ সালের ১০ জুন তাদের বিয়ে হয়। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানটি একটি জাতীয় ছুটি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। তাদের চারটি সন্তান রয়েছে:[৫]
আবদুল্লাহ বিন আল-হুসাইন ১৯৯৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ১৯৯৯ সালের ২২ মার্চ রনিয়া আল-আবদুল্লাহকে তার রানী ঘোষণা করেন।[৬][৭]
তার বিয়ের পর থেকে, রানী রানিয়া তার অবস্থান ব্যবহার করে জর্ডান এবং বিভিন্ন দেশের সমাজের উন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি একজন বিশ্ব-ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী নারী মধ্যে একজন। তিনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন বিষয়ে উন্নতি সাধনে তার প্রচেষ্টা ও সাফল্য উল্লেখযোগ্য।[৮]
গত কয়েক বছর ধরে, রানী রানিয়া শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন এবং পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন।
২০০৫ সালের জুলাই মাসে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে অংশীদারত্বের মাধ্যমে শিক্ষায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য রাজা এবং রানী একটি বার্ষিক 'রানী রানিয়া পুরস্কার' শিক্ষক পুরস্কার চালু করেন।
রানিয়া জর্ডানের প্রথম ইন্টারেক্টিভ শিশু জাদুঘরের চেয়ারপার্সন যেটি ২০০৭ সালের মে মাসে খোলা হয়েছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল শিশু এবং তাদের পরিবারের জন্য আজীবন শিক্ষাকে উৎসাহিত করা।