![]() ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন রাফায়েল | ||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রাফায়েল পেরেইরা ডা সিলভা[১] | |||||||||||||
জন্ম | ৯ জুলাই ১৯৯০ | |||||||||||||
জন্ম স্থান | পেট্রোপলিস, রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল | |||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭৩ মি (৫ ফু ৮ ইঞ্চি)[২] | |||||||||||||
মাঠে অবস্থান | রাইট ব্যাক/রাইট মিডফিল্ডার | |||||||||||||
ক্লাবের তথ্য | ||||||||||||||
বর্তমান দল | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | |||||||||||||
জার্সি নম্বর | ২ | |||||||||||||
যুব পর্যায় | ||||||||||||||
২০০৫–২০০৮ | ফ্লুমিনিজে | |||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||
২০০৮– | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ৮১ | (৫) | |||||||||||
জাতীয় দল‡ | ||||||||||||||
২০০৭ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ দল | ১২ | (০) | |||||||||||
২০১২ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দল | ৭ | (১) | |||||||||||
২০১২– | ব্রাজিল জাতীয় দল | ২ | (০) | |||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৬:৪৮, ৫ মে ২০১৩ (UTC) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৬:00, ১১ আগস্ট ২০১২ (UTC) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
রাফায়েল পেরেইরা দা সিলভা (ইংরেজি: Rafael Pereira da Silva) (জন্ম ৯ জুলাই, ১৯৯০), যিনি রাফায়েল বা রাফায়েল দা সিলভা হিসেবেও পরিচিত, একজন ব্রাজিলীয় ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলেন। তিনি সাধারণত ডিফেন্ডার হিসেবে রাইট ব্যাক পজিশনে খেলে থাকেন তবে তিনি রাইট মিডফিল্ডার হিসেবেও খেলতে সক্ষম।[৩] রাফায়েল ফ্যাবিও দা সিলভার যমজ ভাই যিনি নিজেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে খেলেন।
রাফায়েল ব্রাজিলের হয়ে দুইটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন যেখানে তার অভিষেক ঘটে ২০১২ সালের ২৬ মে ডেনমার্কের বিপক্ষে। তিনি ব্রাজিল অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়েও খেলেছেন এবং ২০১২ গ্রীষ্মকালীন লন্ডন অলিম্পিকের রৌপ্য পদক জয়ী ব্রাজিল অনূর্ধ্ব ২৩ দলের সদস্য ছিলেন।
রাফায়েল রিও দে জেনিরোর সন্নিকটে অবস্থিত পেট্রপলিসে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৫ বছর বয়স থেকে ফুটবল খেলা শুরু করেন। তিনি অপেশাদার দল বোয়া এস্পারেন্সাতে ফরওয়ার্ড হিসেবে খেলা শুরু করেন।[৪] তার ও তার ভাই ফাবিওর খেলায় মুগ্ধ হয়ে ফুটবল ক্লাব ফ্লুমিনিজের সদস্যরা তাদের নিজেদের ক্লাবে যোগদান করতে বলেন। তারা মাত্র ১১ বছর বয়সে ফ্লুমিনিজেতে যোগদান করেন।[৫]
ফ্লুমিনিজেতে যোগদান করার পর রাফায়েল ম্যানেজারের কথা অনুযায়ী একজন ফুল ব্যাক হিসেবে খেলা শুরু করেন।[৪] ফ্লুমিনিজে ২০০৫ সালে হং কং -এ অনুষ্ঠিত নাইকি প্রিমিয়ার কাপে অংশগ্রহণ করে যেখানে ডা সিলভা ভাইদের দুর্দান্ত খেলা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্কাউট লেস কারশোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি তারপর স্যার অ্যালেক্স ফারগুসনকে ফোন করে তাদের দলভুক্ত করার জন্যে অনুরোধ করেন।[৪] ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অতঃপর ২০০৫ সালে ফ্লুমিনিজেকে অনূর্ধ্ব করে যাতে তারা যমজ ভাইদের ইংল্যান্ডে গিয়ে তাদের সাথে অনুশীলনের অনুমতি দেয়। কিছুদিন পরে আর্সেনালের একজন স্কাউট ফ্লুমিনিজের অনুমতি না নিয়েই দা সিলভা ভাইদের সাথে কথা বলে তাদের আর্সেনালের সাথে অনুশীলনের জন্যে অনুরোধ করেন। কিন্তু তাদের মা তাদের নিজের ক্লাবের প্রতি দায়িত্বশীল থাকার নির্দেশ দেন যেহেতু তারা মাত্র ১১ বছর বয়স থেকে ক্লাবটিতে আছেন।[৬] ফ্লুমিনিজে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের দলবদলের ব্যাপারে একমত হন। অতঃপর তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ২০০৮ সালে যোগদান করেন ফ্লুমিনিজের প্রথম দলের হয়ে একটিও ম্যাচ না খেলেই।[৭]
রাফায়েল ও ফ্যাবিও ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টারে আসেন কিন্তু ২০০৮ সালের জুলাই অব্দি ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা কোন ম্যাচ খেলতে পারেন নি। রাফায়েলের অভিষেক ঘটে ৪ আগস্ট পিটারবোরোর বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে যেই খেলায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২-০ গোলে জয়ী হয়।[৮] এরপর তিনি ২০০৮-০৯ মৌসুমে ম্যান ইউএর প্রধান একাদশে নিবন্ধিত হন এবং তাকে ২১ নম্বর জার্সি দেয়া হয়।[৯] রাফায়েল এর প্রতিযোগিতামূলক অভিষেক ঘটে ২০০৮-০৯ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম খেলায় ১৭ই আগস্ট যেখানে তিনি ফ্রেজিয়ার ক্যাম্পবেলের পরিবর্তন হিসেবে নামেন। খেলাটি ১-১ গোলে ড্র হয়।[১০] রাফায়েল প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পান ইংলিশ লিগ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে মিডিলসবোরোর বিপক্ষে ২৩শে সেপ্টেম্বর, যেখানে ম্যান ইউ ৩-১ গোলে জয়ী হয়।[১১] ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় তার অভিষেক ঘটে অ্যালবোরগের বিপক্ষে ৩০শে সেপ্টেম্বর।[১২] প্রিমিয়ার লিগে প্রথম একাদশে তিনি সুযোগ পান ১৮ই অক্টোবর ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিওনের বিপক্ষে যেখানে ম্যান ইউ ৪-০ গোলে নিজেদের মাঠে জয়ী হয়।[১৩] ৮ই নভেম্বর তিনি ক্লাবের হয়ে নিজের প্রথম গোল করেন আর্সেনালের বিপক্ষে যদিও গোলটি ২-১ এ পরাজয়ের ম্যাচে সান্ত্বনাসূচক ছিল।[১৪] ১৯শে এপ্রিল, ২০০৯ এ ফ্যাবিও এবং তিনি এফ.এ. কাপের সেমি ফাইনালে এভারটনের বিপক্ষে প্রথমবারের মত একত্রে খেলতে নামেন, ম্যাচটি ম্যান ইউ ৪-২ গোলে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে যায়।[১৫]
|প্রথমাংশ1=
এর |শেষাংশ1=
নেই (সাহায্য)