রামবরণ য়াদব रामवरण यादव | |
---|---|
![]() | |
নেপালের প্রথম রাষ্ট্রপতি | |
কাজের মেয়াদ ২৩ জুলাই ২০০৮ – ২৯ অক্টোবর ২০১৫ | |
প্রধানমন্ত্রী | গিরিজা প্রসাদ কৈরালা পুষ্পকমল দাহাল মাধব কুমার নেপাল ঝালনাথ খানল বাবুরাম ভট্টরাই খিলরাজ রেগ্মি সুশীল কৈরালা খড়্গ প্রসাদ ওলি |
উপরাষ্ট্রপতি | পরমানন্দ ঝা |
পূর্বসূরী | অবস্থান প্রতিষ্ঠিত গিরিজা প্রসাদ কৈরালা নেপালের রাষ্ট্রপতি (ভারপ্রাপ্ত) |
উত্তরসূরী | বিদ্যা দেবী ভান্ডারী |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সপহী, নেপাল | ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮
রাজনৈতিক দল | নেপালি কংগ্রেস (১৯৬৮-২০০৮) |
দাম্পত্য সঙ্গী | জুলেখা যাদব |
সন্তান | চন্দ্র মোহন চন্দ্র শেখর অনিতা যাদব |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর, ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ |
ধর্ম | হিন্দু |
রামবরণ য়াদব (জন্ম: ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৮)[১] একজন নেপালি রাজনীতিবিদ এবং চিকিৎসক, ২০০৮ সালে নেপাল প্রজাতন্ত্র দেশ ঘোষণা হবার পর তিনিই নেপালের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন।[২] তিনি ২৩ জুলাই ২০০৮ থেকে ২৯ অক্টোবর ২০১৫ পর্যন্ত নেপালের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পূর্বে ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং নেপালি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯১ সালে যাদব স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।[৩] 1999 নির্বাচন এ নেপালি কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রতিনিধি সভা নির্বাচিত হন।[৪] নির্বাচনের পরে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।[৫][৬]
মে ২০০৭ সালে, জনকপুররে যাদবের বাসভবন জঙ্গিদল জনতান্ত্রিক তরাঈ মুক্তি মোরচা দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। জেটিএমএম বাড়িটিতে একটি জালিয়াতির নোটিশ জারি করে, এতে তাদের পতাকা ঝুলিয়ে একটি বোমা বিস্ফোরণ করে।[৭]
এপ্রিল ২০০৮ সংবিধান পরিষদ নির্বাচনে ধনুসা -৫ নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। তিনি আসন জিতে ১০,৩৯২ ভোট পান।[৮]
২১ জুলাই ২০০৮ তারিখে ভোটের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাদবকে প্রথম নেপালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হয়। সংবিধান পরিষদের ৫৯০ টি ভোটের মধ্যে তিনি ৩০৮ টি ভোট পেয়ে,[৯][১০] তিনি রাম রাজা প্রসাদ সিং কে পরাজিত করেন, যিনি ভোটের দ্বিতীয় রাউন্ডে কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী) দ্বারা মনোনীত হয়েছিল।
২৩ জুলাই ২০০৮ তারিখে রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন যাদব। নেপালের প্রধান বিচারপতি কেদার প্রসাদ গিরি রাষ্ট্রপতি প্রাসাদ শিলাল নিবাস, রাষ্ট্রপতি ভবন এ যাদবের শপথ পাঠ করান। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী গিরিজা প্রসাদ কৈরালা উপস্থিত ছিলেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট পরমানন্দ ঝা ও শপথ নিয়েছিলেন।[১১][১২]
ভারতের কলকাতায় অধ্যয়নকালে যাদব তার রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেন।
তিনি নেপালি রাজনীতিবিদ যারা ভারতে আত্মগোপনে ছিলেন যেমন বি. পি. কৈরালা, গণেশ মান সিং, সুবর্ণ শামশের রানা, পুুষ্প লাল শ্রেষ্ঠ, এবং সরোজ কৈরালা এর সাথে যোগাযোগ রেখে আসছিলেন। এই নেতাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, যাদব সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে নিজেকে জড়িত করা শুরু করেন। ১৯৮০ সালে অনুষ্ঠিত গণভোটের সময় তিনি বহু দলীয় গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। জনকপুরে কয়েক বছর ধরে একজন চিকিৎসক হিসেবে অনুশীলন করার সময়, তিনি নেপালি কংগ্রেস পার্টির সক্রিয় ক্যাডার হিসেবে রাজনীতিতে নিজেকে নিযুক্ত করেছিলেন। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮২২ সাল পর্যন্ত তিনি নেপালের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কৈরালার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছিলেন।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন][তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৯০ সালে নেপালে বহুজাতিক গণতান্ত্রিক বিধান পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত যাদবকে কারাগারে বন্দি করা হয়েছিল। তারপরে, নেপালের ধনুসা জেলার আসন নং ৫ থেকে তিনি হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস এর সদস্য হিসাবে দুবার নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি আবারও মন্ত্রিপরিষদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে নিযুক্ত হন। ১০ এপ্রিল ২০০৮ এ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ধনুসা জেলার একই নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন যাদব।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
নেপালের কংগ্রেস পার্টিতে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে যাদব। তিনি 15 বছর ধরে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সংসদীয় বোর্ডের সদস্য এবং দলের শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ছিলেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি নেপালি কংগ্রেস দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।[১]
২০১০ সালে তিনি ভারত সফর করেন এবং তিরুপতী বালাজী এবং চণ্ডীগড়ে যান, যেখানে তিনি তার মেডিক্যাল ডিগ্রি লাভ করেন। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]২৬ শে মার্চ, ২০১৫ তারিখে তিনি চীন সরকারের আমন্ত্রণে চীনের সরকারি সফরের জন্য গিয়েছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]