রাল্ফ হজসন | |
---|---|
জন্ম | ডার্লিংটন, কাউন্টি ডারহাম, যুক্তরাজ্য | ৯ সেপ্টেম্বর ১৮৭১
মৃত্যু | ৩ নভেম্বর ১৯৬২ মিনার্ভা, ওহাইও, যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৯১)
পেশা | |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ |
শিক্ষা | |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয় |
সময়কাল | ১৯৩২–১৯৩৮ |
ধরন |
|
বিষয় | কবিতা |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | দ্য স্টর্ম থ্রাশ টাইম, ইউ ওল্ড জিপসি ম্যান দ্য বুল দ্য সং অব অনার ইভ |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | কুইন্স গোল্ড মেডেল |
দাম্পত্যসঙ্গী | জেনেট (বিবাহপূর্ব - চ্যাটেরিস) (তাঁর মৃত্যু ১৯২০) মুরিয়েল ফ্রেজার (বিবাহবিচ্ছেদ ১৯৩২) লিডিয়া অরেলিয়া বলিজার (বি. ১৯৩৩; মৃ. ১৯৬২) |
রাল্ফ হজসন, অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান (ইংরেজি: Ralph Hodgson; জন্ম: ৯ সেপ্টেম্বর, ১৮৭১ - মৃত্যু: ৩ নভেম্বর, ১৯৬২) কাউন্টি ডারহামের ডার্লিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ কবি ছিলেন। দ্য বুলের ন্যায় ছোট ছোট জোরালো বাছাইকৃত কবিতা তাকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। তিনি অন্যতম জর্জীয় কবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে কবিতায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কুইন্স গোল্ড মেডেল লাভ করেন।
খনি শ্রমিক পিতার সন্তান রাল্ফ হজসন কাউন্টি ডারহামের ডার্লিংটন এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরিবারের সাত ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ সন্তান ছিলেন। বাবা কয়সা ব্যবসায়ী ছিলেন। কথিত আছে যে, তার পিতা কয়লা ব্যবসায়ী ছিলেন। বিদ্যালয় চলাকালীন বাড়ী থেকে পালিয়ে যেতেন। যুবক অবস্থায় মুষ্টিযুদ্ধ ও বিলিয়ার্ডে শিরোপাধারী ছিলেন। এক পর্যায়ে নিউইয়র্কের থিয়েটারে কাজ নেন ও পরবর্তীতে ইংল্যান্ডে প্রত্যাবর্তন করেন।[১]
১৮৯০ সালের দিকে লন্ডনের একগুচ্ছ প্রকাশনা সংস্থায় কাজ করেছেন। সি. বি. ফ্রাইয়ের সাপ্তাহিক সাময়িকী স্পোর্টস এন্ড আউট-অফ-ডোর লাইফে চিত্র সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
দ্য স্টর্ম থ্রাশ তার প্রকাশিত প্রথম কবিতা ছিল। ১৯০৪ সালে স্যাটারডে রিভিউতে এটি বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। ১৯০৭ সালে প্রথমবারের মতো কবিতা সঙ্কলন দ্য লাস্ট ব্ল্যাকবার্ড এন্ড আদার লাইন্স প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় খণ্ড পয়েমস’ ১৯১৭ সালে প্রকাশ করে প্রভূতঃ খ্যাতি লাভ করেন। ঐ খণ্ডে টাইম, ইউ ওল্ড জিপসি ম্যান, দ্য বুল, দ্য সং অব অনার ও ইভের ন্যায় কবিতা ছিল।
তার রচিত কবিতা ‘দ্য বেলস অব হ্যাভেন’ ক্লাসিক এফএমস কর্তৃক প্রণীত একশত জনপ্রিয় কবিতায় ৮৫তম স্থান দখল করে।[১] কবিতাটিকে ঘিরে তার জীবনীতে উল্লেখ করা হয় যে, পশম ব্যবসা ও প্রকৃতি ধ্বংসে মানুষের ভূমিকার বিষয়ে বাস্তুতন্ত্রের প্রভাবের বিষয়ে সচেতন শুরুরদিকের লেখকদের মধ্যে অন্যতম তিনি।
১৯৩২ সালে জাপানের সেন্দাইয়ে তোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষা প্রদানের জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা গ্রহণ করেন। জাপানে অবস্থানকালে রাল্ফ হজসন প্রায়শই বেনামে জাপানী ধ্রুপদী কবিতার সেরা সঙ্কলন মানিয়ুশু ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। প্রকাশিত উচ্চমার্গীয় অনুবাদকর্মগুলো প্রায় নিশ্চিতরূপেই তার ফাইনাল রিভিশনে মুদ্রিত আকারে চলে এসেছে। এগুলোকে আর্থার ওয়ালি অমূল্য সম্পদরূপে বিবেচনা করেছেন ও নিশ্চিতরূপেই রাল্ফ হজসনকে কবি হিসেবে স্বীকৃতি দানে বৃহৎ ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৩৮ সালে রাল্ফ হজসন জাপান ত্যাগ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন রাল্ফ হজসন। প্রথম স্ত্রী জেনেট (বিবাহপূর্ব - চ্যাটেরিস) ১৯২০ সালে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর মুরিয়েল ফ্রেজার নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করলেও ১৯৩২ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদে রূপ নেয়। ১৯৩৩ সালে জাপানে অবস্থানকারী মার্কিন মিশনারি ও শিক্ষক লিডিয়া অরেলিয়া বলিজারের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন।
জাপান থেকে চলে আসার পর যুক্তরাজ্যে সিগফ্রেড সাসুনসহ বন্ধুদের সাথে স্বাক্ষাৎ করেন। প্রসঙ্গত, ১৯১৯ সালে সাসুনের সাথে স্বাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। এরপর অরেলিয়াকে নিয়ে ওহাইওর মিনার্ভায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। ফ্লাইং স্ক্রল নামীয় প্রকাশনা সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন ও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থাকেন।
৩ নভেম্বর, ১৯৬২ তারিখে ৯১ বছর বয়সে ওহাইওর মিনার্ভায় রাল্ফ হজসনের দেহাবসান ঘটে।