রাশিয়া -১ Россия-1 | |
---|---|
উদ্বোধন | ১৩ মে ১৯৯১ |
নেটওয়ার্ক | ভিজিটিআরকে |
মালিকানা | রুশ সরকার |
চিত্রের বিন্যাস | ৫৭৬i ৪:৩ (এসডিটিভি) ১০৮০আই ১৬:৯ (এইচডিটিভি) |
দেশ | রাশিয়া |
প্রচারের স্থান | রাশিয়া এবং সমগ্র বিশ্ব |
প্রধান কার্যালয় | মস্কো, রাশিয়া |
পূর্বতন নাম | ১৯৬৫–১৯৬৭: প্রোগ্রাম থ্রি ১৯৬৭–১৯৭১: প্রোগ্রাম টু ১৯৭২–১৯৮৪: ইউএসএসআর টেলিভিশন অল-ইউনিয়ন প্রোগ্রাম টু ১৯৮৪–১৯৯১: অল-ইউনিয়ন চ্যানেল টু ১৯৯১: রাশিয়ান টেলিভিশন ১৯৯১–১৯৯৭, ১৯৯৮–২০০২: আরটিআর ১৯৯৭–১৯৯৮: আরটিআর ১ ২০০২–২০১০: রাশিয়া |
ভ্রাতৃপ্রতিম চ্যানেল(সমূহ) | রাশিয়া-২ (বন্ধ), ক্যারোসেল, রাশিয়া-কে, রাশিয়া-২৪, স্পোর্ট, আরটিআর-প্ল্যানেটা |
ওয়েবসাইট | http://russia.tv |
প্রাপ্তিস্থান | |
টেরেস্ট্রিয়াল | |
অ্যানালগ | চ্যানেল ৩ (১৯৬৫–১৯৬৭) চ্যানেল ২ (১৯৬৭ থেকে) |
ক্যাবল | |
Natsionalnye Kabelnye Seti | চ্যানেল ১ |
রাশিয়া -১ (রুশ: Россия-1) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রুশ টেলিভিশন চ্যানেল চ্যানেলটি ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অল-রাশিয়া রাজ্য টেলিভিশন এবং বেতার কোম্পানির (ভিজিটিআরকে) অন্তর্ভুক্ত।[১] চ্যানেলটি পূর্বে আরটিআর (রুশ: PTP) নামে পরিচিত ছিল। দর্শক পরিসংখ্যানে রাশিয়া -১ দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিভিশন চ্যানেল (দর্শক সংখ্যা ৭৫%)। দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল চ্যানেল ওয়ান (দর্শক সংখ্যা ৮৩%)। চ্যানেলদ্বয় একই রাজনীতি অনুসরণ করে এবং একে অপরের সাথে বিনোদনধর্মী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। অঞ্চল ভেদে চ্যানেলটির অনুষ্ঠান প্রচারে অনেক বিভিন্নতা রয়েছে এবং অনেক ভাষায় সম্প্রচারিত হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের ১৯৬৫ সালে প্রোগ্রাম ৩ নামে যাত্রা শুরু করে রাশিয়া -১। ১৯৬৭ সালে যখন প্রোগ্রাম ৪ (বর্তমানে এনটিভি) আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হয় তখন প্রোগ্রাম থ্রি চ্যানেল টু এ এবং মস্কো প্রোগ্রাম (১৯৫৬ সালে চালু) চ্যানেল ৩ হিসেবে স্থানান্তরিত হয়। শুরুতে চ্যানেলটিতে শুধুমাত্র সোভিয়েত ইউনিয়নের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিশুদের অনুষ্ঠান সাদাকালোতে প্রচার করত। নতুন তরঙ্গে স্থানান্তরিত হওয়ার পর চ্যানেলটির নামকরণ প্রোগ্রাম ২ হয় এবং ১৯৬৮ সাল থেকে জাতীয় সংবাদ ভ্রিমিয়া প্রচারের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান হয়ে ওঠে।
প্রোগ্রাম ২ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭২ সালে অল-ইউনিয়ন প্রোগ্রাম ২ এবং ১৯৭৫ সালে রঙীন হয়, এবং দুই বছর পরে সমগ্র সোভিয়েত ইউনিয়নে সম্প্রচারিত হয়। ১ জানুয়ারি, ১৯৮২ থেকে এইউপি ২ আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষা ও শিশুতোষ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শিল্প, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করে। এছাড়া যুগ এবং দর্শক চাহিদানুযায়ী অনুষ্ঠান সম্প্রচারের অনুমোদন লাভ করে। উপরন্তু, চ্যানেলটি প্রামান্যচিত্র, সঙ্গীত ভিডিও এবং প্রোগ্রামিং, এবং সিনেমা সম্প্রচার করতে শুরু করে।
১৯৮৪ সালের প্রথম দিন চ্যানেলটির নাম অল ইউনিয়ন প্রোগ্রাম টু থেকে অল-ইউনিয়ন চ্যানেল ২ এ পরিণত হয় এবং পরবর্তী বছরে প্রথমবারের মত রিদমিক জিমন্যাস্টিক্স প্রচার শুরু করে। ১৯৮৭ সালে রশিয়ায় চ্যানেলটি সর্বপ্রথম সাইন ল্যাঙ্গুয়েজের ব্যবহার শুরু করে।
১৯৮৯ সালে রাশিয়ার টিভি চ্যানেলগুলোকে নিয়ে একটি জাতীয় সংগঠন তৈরি করার কাজ শুরু করে আরএসএফএসআর। ইতোমধ্যে রাশিয়া বাদে বাকি সব ইউনিয়ন প্রজাতন্ত্রগুলো নিজের প্রজাতান্ত্রিক টিভি চ্যানেল ছিল। কেন্দ্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে ফেডারেল কর্তৃপক্ষের মতামত প্রতিফলিত হত বলে ১৯৯০ সালে আরএসএফএসআর এর গণ উপ সুপ্রিম সোভিয়েত বেল্লা কুরকোভা রাশিয়ার তৎকালিন সুপ্রিম সোভিয়েতের চেয়ারম্যান বরিস ইয়েৎসিনকে আরএসএফএসআর এর জন্য একটি আলাদা টেলিভিশন স্টেশন অনুরোধ করেন। এই সময় দেশটির ইউনিয়ন ও প্রজাতান্ত্রিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে বেশ টানাপোড়ন ছিল বলে এই অনুরোধ জানানো হয়।[২]
১৯৯০ সালের ১৩ জুলাই রাশিয়ার সুপ্রিম সোভিয়েত রাশিয়ার এসএফএসআর বেতার ও টেলিভিশন সম্প্রচারের উপর যে জাতীয় একচেটিয়া প্রভাব ছিল তার অবসান ঘটায়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব টিভি চ্যানেল এবং বেতার কেন্দ্র খোলার সুযোগ পায়।
১৪ জুলাই, ১৯৯০ ডিক্রি নং ১০৭-১ আরএসএফএসআর এর সুপ্রিম সোভিয়েত এর প্রেসিডিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে অল-রাশিয়া রাজ্য টেলিভিশন এবং বেতার সম্প্রচার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে। আরএসএফএসআর এর মন্ত্রী পরিষদ চেয়ারম্যান ইভান সিলায়েভ টিভি কেন্দ্রের ভবন ও সরঞ্জাম সংগ্রহে সহযোগিতা করেন।[৩]
এইভাবে, রাশিয়া -১ ১৯৬৩ সালে স্থাপিত সোভিয়েত দ্বিতীয় চ্যানেল এর উত্তরসূরি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সাল থেকে এর প্রধান হিসেবে রয়েছেন ওলেগ ডোব্রোডিভ। ওলেগ এনটিভির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।[১]
দীর্ঘ ২৭ বছর পর, ৬ মার্চ, ১৯৯১ অল-ইউনিয়ন স্টেট টেলিভিশন এবং রেডিও ব্রডকাস্টিং কোম্পানি অক২ এর সকল পরিচলন ভার সমগ্র-রাশিয়া রাজ্য টেলিভিশন এবং বেতার সম্প্রচার কোম্পানি উপর ন্যস্ত করে। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হন ওলেগ পপৎসভ। এই সময় কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদেরকে অঙ্গীকার করা হয়েছিল যে চ্যানেলটি দিনে কমপক্ষে ৬-ঘণ্টা সম্প্রচার করতে পারবে এবং নতুন চ্যানেলে দিনে দুইবার ২০ মিনিটের সংবাদ পরিবেশন করতে সক্ষম হবে। রিপাবলিকান দলের বিরোধী মতামতের কারণে চ্যানেলটির নতুন ব্যবস্থাপনা কর্মীরা প্রতিষ্ঠানটির নতুন জিএম সার্গেই পোদগোরবান্সকি টেলিসেন্টার "ওস্টারঙ্কিনো"তে স্টুডিও ভাড়া করতে না পারা সহ নতুন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে ব্যর্থ হন।[৪]
একই সময়ে, নতুন স্টেশনের জন্য নতুন কর্মী, প্রোগ্রাম উপস্থাপক এবং কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। অনেক উপস্থাপক সেন্সরশীপ মুক্ত ইউনিয়ন এসটিআরসিগুলোতে চলে গিয়েছিল। ফলস্বরূপ, স্টেশন ব্যবস্থাপকদেরকে সংবাদ এবং বর্তমান বিষয়াবলি ভিত্তিক সহ সকল অনুষ্ঠানগুলো সম্পূর্ণ নতুনভাবে শুরু করতে হয়। যার ফলে "ভিস্তি" আরটিভির জনপ্রিয় সংবাদ প্রোগ্রাম জন্ম লাভ করে। ভেস্তিতে যে সকল কর্মীরা কাজ করতেন তারা সকলেই কেন্দ্রীয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান "টেলিভিশন সংবাদ সেবা"র প্রাক্তন উপস্থাপক এবং কর্মী ছিলেন। যা একবছর পূর্বে অবলুপ্ত হয়। এ সময় খবর পরিবেশনের জন্য "সংবাদ", সমসাময়িক বিষয়াবলীর জন্য "রিপাবলিক", শিল্প জন্য "ল্যাড" এবং বিনোদন এবং জীবনধারা বিষয় নিয়ে "আরটেল" নামে চারটি স্টুডিও তৈরি করা হয়।[৫]
১৯৯১ সালের ১৩ মে এআরএসটিভি চ্যানেল ২ নামে একটি নতুন চ্যানেল চালু করেন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এবং বেতার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক ভালেন্টিন লাজুতকিন। চ্যানেলটি প্রতিদিন ১১.৩৫ থেকে ১৩.৩৫ পর্যন্ত এবং ১৭.০০ থেকে ১৯.০০ এবং ২১.৪৫ থেকে ২৩.৪৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করত। বাকি সময় অক ২ এর অনুষ্ঠান প্রচার করা হত। এ সময় নতুন লোগো এবং নতুন নাম "রাশিয়ান টেলিভিশন" দেয়া হয়।
সেৎলানা সরোকিনা'র উপস্থাপনায় শুরু হয় "ভিস্তি" সম্প্রচার। এর পর থেকে রুশ টেলিভিশন শুধুমাত্র সমগ্র-ইউনিয়ন রাজ্য টেলিভিশন এবং বেতার এর অনুষ্ঠান নয় বরং সমগ্র-রুশ রাজ্য টেলিভিশন এবং বেতার সম্প্রচার কোম্পানির অনুষ্ঠান প্রচার করতে শুরু করে। "ভ্রিমিয়া" অপেক্ষা "ভিস্তি" কোন ধরনের সেন্সরশীপ বা পক্ষপাত ছাড়া সংক্ষিপ্ত, নির্দিষ্ট এবং কার্যকর সংবাদ সম্প্রচার করত। সম্প্রচারের প্রথম সপ্তাহেই "গুড নাইট, কিডস!" এবং "জেন্টলম্যান শো" সম্প্রচার হয়। দুই সপ্তাহ পর চ্যানেলের নাম "আরটিআর" ("রাশিয়ান টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও") রাখা হয় এবং নতুন লোগো তৈরি করা হয়।
১৯৯১ সালের অগাস্ট মাসে আরটিআর তার লাৎভিয়া সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া এবং এলটিভি২ (বর্তমা এলটিভি৭) নামে পরিচিত হয়।
আগস্ট অভ্যুত্থানের সময়, ১৯ আগস্ট, ১৯৯১ জরুরী কমিটি আরটিআর এর সম্প্রচারে বন্ধ করে দেয়, এবং অক২ তার পুরনো সময়ে ফিরে আসে। অভ্যুত্থানের নেতাদের অগোচরে গোপনে আরটিআর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য দেশ এবং সারা ইউএসএসআর এ সম্প্রচার চালু রাখে, যাতে অভ্যুত্থানের সময় মস্কোতে কি ঘটছে সেই সমসাময়িক সংবাদ সোভিয়েত বাসিরা "ভিস্তি"র বিশেষ সংস্করণের মাধ্যমে জানতে পারে। অক ২ এর ব্যবস্থাপকেরা "ওস্তানকিনো" কেন্দ্রে অবস্থিত 'ভিস্তি" স্টুডিও বন্ধ করে দেয়। চ্যানেলটি সেসময় ওবি ভ্যান এবং মোবাইল সুবিধা ব্যবহার করে সম্প্রচার চালু রাখে। জরুরী কমিটি আরটিআর এর সদর দপ্তর বন্ধ করে দিলে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশব্যাপী গোপনে সম্প্রচার বজায় রাখে। আগস্ট অভ্যুত্থানের পর উপ-মহাব্যবস্থাপক ভ্যালেন্টিন লাজুতকিন "আরটিআর"এর সম্প্রচার সময় ১৯.০০ থেকে ০০.০০ নির্ধারণ করেন (১৭.০০ থেকে ১৯.০০ এবং ২১.৪৫ থেকে ২৩.৪৫ বদলে)।
১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১ অক ২ বন্ধ হয়ে যায় এবং চ্যানেলটির কিছু কর্মী এবং অনুষ্ঠান আরটিআর অধিগ্রহণ করে। এর ফলে, চ্যানেলটি পরেরদিন থেকে সকাল থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে শুরু করে। ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৯১ থেকে "ভিস্তি" দিনে তিনবার, ২০ জানুয়ারি, ১৯৯২ থেকে দিনে চারবার প্রচারিত হতে থাকে। ১৯৯৩ সালে চ্যানেলটি দুইবার লোগো পরিবর্তন করে।
১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আরটিআর সম্প্রচার তরঙ্গের উপর ভিত্তি করে ইউক্রেনে চ্যানেল ইউটি-২ (এখন ১ +১) প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯৩ সালের রাজনৈতিক সংকটের সময়ে আরটিআর বিভিন্ন পক্ষের, রাজনীতিবিদ থেকে সাধারণ মানুষের সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও প্রচার করে।
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা দেখানোর কারণে "ভিস্তি" আরটিআর এর সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রোগ্রাম হয়ে উঠে। একই বছরে, ইউরি রস্তভ, ভ্লাডিস্লাভ ফ্লায়ারকভস্কি, আলেকজান্দার গিয়ারনভ চ্যানেলটিতে সাংবাদিক হিসেবে চ্যানেলে যোগ দেয়। এই সময় প্রতিষ্ঠানটিতে সংবাদ এবং সমসাময়িক বিষয়াবলি অনুষ্ঠানের প্রধান সম্পাদক হিসেবে ছিলেন আলেকজান্ডার নেখ্রোশেভ।
১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর মাসে আরটিআর এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আরটিআর -১, পরিবর্তিত হয় লোগোও। আরটিআর -২ নামে নতুন চ্যানেল চালু হওয়ায় এই নাম পরিবর্তন করা হয়।
৮ মে, ১৯৯৮ আরটিআর এ আঞ্চলিক টেলিভিশন এবং বেতার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই থেকে "আরটিআর" ৫৪ টি ভাষায় রুশ জনগণের সামনে প্রচারিত হচ্ছে এবং ইউরোপের বৃহত্তম মিডিয়া গ্রুপ হয়ে উঠে। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়, "গুড মর্নিং, রাশিয়া!"।
৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৮ "আরটিআর -১" নাম পরিবর্তন করে আবার "আরটিআর" করা হয়। এ সময় চ্যানেলটিতে প্রচুর লাতিন আমেরিকার টেলিভিশন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হত।
২০১৩ সালে রাশিয়া -১ চ্যানেলটির দর্শক সংখ্যা প্রায় ১১৭ মিলিয়ন আছে বলে অনুমান করা হয়। [৬]
২৩ মে ২০১৫, রাশিয়া -১ ন্যাটোর অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সুরক্ষা হিসেবে 'ওয়ারশ প্যাক্ট: ডিক্লাসিফায়েড পেজগুলি' ' নামে একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে যেখানে ১৯৬৮ চেকোস্লোভাকিয়ার আক্রমণ।[৭][৮][৯] স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায় চলচ্চিত্রটিতে "ইতিহাস পুনর্লিখন করতে এবং আমাদের ইতিহাসের একটি অন্ধকার অধ্যায় সম্পর্কে মিথ্যা বর্ণনা করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।"[১০] চেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুবোমির জাওরালেক বলেন যে এটি তথ্যকে "একেবারেই বিকৃত" করেছে।[৯][১১]