ব্যক্তিগত তথ্য | |
---|---|
পূর্ণ নাম | রাসেল ক্রেগ ডোমিঙ্গো |
জন্ম | পোর্ট এলিজাবেথ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ৩০ আগস্ট ১৯৭৪
ভূমিকা | কোচ |
আন্তর্জাতিক তথ্য | |
জাতীয় দল | |
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ |
রাসেল ক্রেগ ডোমিঙ্গো (ইংরেজি: Russell Domingo; জন্ম: ৩০ আগস্ট, ১৯৭৪) দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথে জন্মগ্রহণকারী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে কর্মরত ছিলেন,২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। [১] বিশ বছর বয়সে ঘরোয়া ক্রিকেটের ইস্টার্ন প্রভিন্স দলে খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা চালালেও তিনি ব্যর্থ হন। পরবর্তীকালে ক্রীড়া প্রশাসন ও বিপণন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করে কোচিং কার্যক্রমে মনোনিবেশ ঘটান রাসেল ডোমিঙ্গো।[২] মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে ইস্টার্ন প্রভিন্স দলে পেশাদার কোচ হিসেবে মনোনীত হন। তিনি ২১ আগস্ট ২০১৯ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের প্রধান কোচ হিসেবে ২ বছরের জন্য মনোনীত হন।
ক্রিকেটের প্রতিটি ধাপে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। আদ্রিয়ান বিরেল এ দলের কোচ হলে তিনি বি দলের কোচ হিসেবে যোগ দেন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকান দলে কোচের দায়িত্ব পালন করেন ডোমিঙ্গো।[২] তৎকালীন জাতীয় দলের কোচ মিকি আর্থার ২২ বছর বয়সেই বয়সভিত্তিক দলে তাকে কোচিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত করান। ২০০৫ সালে মিকি আর্থার জাতীয় দলের কোচ হলে ডোমিঙ্গোকে ওয়ারিয়র্সের প্রধান কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়।[৩]
২০০৬ সালে ডোমিঙ্গো ওয়ারিয়র্সের কোচের জন্য মনোনীত হন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে দলটি শেষদিকের তিনটি প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট খেলাতেই হেরে যায়। ফলে ডোমিঙ্গো বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে সাবেক ক্রিকেটার গ্যারি কার্স্টেনকে দলের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেন। ডোমিঙ্গো তিন-বছর মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে ২০০৯-১০ পর্যন্ত ৪০ ওভারের স্ট্যান্ডার্ড ব্যাঙ্ক প্রো২০ ও ২০ ওভারের এমটিএন৪০ প্রতিযোগিতায় দলকে শিরোপা জয়ে সহায়তা করেন। দলকে সাত বছরের মধ্যে পাঁচবারই ফাইনালে পৌঁছিয়েছেন। এছাড়াও দল থেকে অর্ধ-ডজন খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পায়। ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ওয়ারিয়র্স রানার্স-আপ হয়েছিল।
২০০০-এর দশকে বব উলমার ও গ্রাহাম ফোর্ডের সাথে ড্রেসিং রুমে সময় ব্যয় করেন ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ফলশ্রুতিতে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা ডোমিঙ্গোকে কোচ হিসেবে মনোনীত করে। ফোর্ড মাত্র সাতটি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে কোচিংয়ে অগ্রসর হলেও ডোমিঙ্গো ক্রিকেটে তেমন পারদর্শী ছিলেন না। কোচ হবার পিছনে গ্রাহাম ফোর্ডকে তিনি তার আদর্শ মনে করেন ও উদ্দীপনা জুগিয়েছেন।
একই অবস্থানে থেকে দলের জয়-পরাজয়কে উপলদ্ধি করেছেন, যা থেকে আমি শিখেছি
- মন্তব্য ডোমিঙ্গোর। উভয়েই ক্রিকেটারের সম্মানের সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান না করেও অন্যভাবে সম্মান অর্জন করেছি।[৩]
ভারত জাতীয় দলকে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ১নং স্থান অধিকারসহ বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ে সহায়তাকারী গ্যারি কার্স্টেন ২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মনোনীত হন। তিনি ডোমিঙ্গোকে ফোনে তার সহকারী হবার জন্য নাম প্রস্তাবনা করেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ডোমিঙ্গোর কোন পদচারণাই ছিল না। ডিসেম্বর, ২০১২ সালে ডোমিঙ্গোকে দক্ষিণ আফ্রিকার টোয়েন্টি২০ দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।[৪] গ্যারি কার্স্টেন প্রধান কোচ থেকে পদত্যাগ করলে মে, ২০১৩ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা দলের প্রধান কোচের মনোনয়ন পান।[৪][৫]
পূর্বসূরী: গ্যারি কার্স্টেন |
দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ ২০১৩- |
উত্তরসূরী: নির্ধারিত হয়নি |