রাহিবাঈ সোমা পপেরে | |
---|---|
জন্ম | ১৯৬৪ আহমেদনগর, মহারাষ্ট্র, ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
অন্যান্য নাম | বীজ মাতা |
পেশা | খামারি, কৃষিবিদ, প্রকৃতি সংরক্ষণ বাদী |
পরিচিতির কারণ | বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির উদ্ভিদ সংরক্ষণ |
পুরস্কার |
|
রাহিবাঈ সোমা পপেরে হলেন ভারতের একজন খামারি ও প্রকৃতি সংরক্ষণবাদী। তিনি অন্যান্য খামারিদের দেশীয় জাতের ফসল চাষে সাহায্য করে থাকেন। তিনি ২০১৮ সালে আরো তিন জন ভারতীয় নারীর সাথে 'বিবিসি ১০০ নারী'র তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। তাকে 'বীজ মাতা' বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।[১]
রাহিবাঈ সোমা পপেরে মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার আকোল ব্লকে জন্মগ্রহণ করেন।[১] অক্ষরজ্ঞানহীন এই নারী কখনো বিদ্যালয়ে যান নি।[২] তিনি সারা জীবন তার খামারে কাজ করেছেন এবং ফসলের জাতবৈচিত্র্য সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করেছেন।[২]
রাহিবাঈ সোমা পপেরে নারীদেরকে তার কৃষি জীববৈচিত্র্য বিনির্মাণের এই কাজে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন।[২] তিনি তার খামারে সতেরটি ফসলের চাষ করে থাকেন।[৩] ২০১৭ সালে বিএআইএফ ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ফাউন্ডেশন তার খামার একটি পরিবারের সারা বছরের খাদ্যচাহিদা মেটাতে পারে বলে অভিহিত করেছিল।[৩] তিনি তার গ্রামের খামারিদের নিয়ে দেশীয় প্রজাতির ফসলের বীজ সংরক্ষণে কাজ করে চলেছেন। তিনি তাদের কয়েকজনকে নিয়ে একটি করে গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার গ্রামে এই গ্রুপের সংখ্যা একেবারে কম নয়।[৩] এছাড়াও, তিনি কালসুবাঈ অঞ্চল বীজ সংরক্ষণ কমিটি সাথে যুক্ত আছেন।[৪] তিনি গ্রামের অনুর্বর জলাভূমিকে উৎপাদনক্ষম করে গড়ে তুলতে অবদান রেখেছেন। তিনি খামারি ও শিক্ষার্থীদের কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।[৫] অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন না হয়েও তিনি বিভিন্ন ফসলের আশিটিরও বেশি দেশীয় জাতের বীজ সংরক্ষণ করেছেন।[৬]