রিওন কিং

রিওন কিং
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
রিওন ড্যান কিং
জন্ম৬ অক্টোবর, ১৯৭৫
গুড ফরচুন, ওয়েস্ট কোস্ট, ডেমেরারা, গায়ানা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার, রেফারি, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২২৪)
১৫ জানুয়ারি ১৯৯৯ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ টেস্ট৩ জুন ২০০৫ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮৯)
৩১ অক্টোবর ১৯৯৮ বনাম ভারত
শেষ ওডিআই১ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ বনাম পাকিস্তান
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৯ ৫০
রানের সংখ্যা ৬৬ ৬৫
ব্যাটিং গড় ৩.৪৭ ৭.২২
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ১২* ১২*
বল করেছে ৩৪৪২ ২৬০৩
উইকেট ৫৩ ৭৬
বোলিং গড় ৩২.৬৯ ২৩.৭৭
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৫/৫১ ৪/২৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ৪/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ মার্চ ২০২০

রিওন ড্যান কিং (ইংরেজি: Reon King; জন্ম: ৬ অক্টোবর, ১৯৭৫) ডেমেরারার গুড ফরচুন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী গায়ানীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, রেফারি ও কোচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সময়কালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে গায়ানা, ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহাম ও দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নর্দার্নস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার ছিলেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন রিওন কিং

খেলোয়াড়ী জীবন

[সম্পাদনা]

১৯৯৫-৯৬ মৌসুম থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত রিওন কিংয়ের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল।

গায়ানার পেসার হিসেবে তাকে অনেক সময় মাইকেল হোল্ডিংয়ের সাথে তুলনা করা হতো। ক্রিজে পৌঁছার পূর্বেই তার দৌঁড়ের গতি কমে যেতো। তাসত্ত্বেও, ১৯৯০-এর দশকে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্রুততম বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ঊনিশটি টেস্ট ও পঞ্চাশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন রিওন কিং। ১৫ জানুয়ারি, ১৯৯৯ তারিখে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৩ জুন, ২০০৫ তারিখে কিংস্টনে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে সুন্দর খেলা প্রদর্শন করেন। জ্যামাইকায় অনুষ্ঠিত সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে নিজস্ব প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করেন তিনি। দুই মাস পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টানটান উত্তেজনাকর খেলায় জয়লাভে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। তিনি ও ফ্রাঙ্কলিন রোজ পাকিস্তানকে পরাজিত করেন এবং তাদেরকে কার্টলি অ্যামব্রোসকোর্টনি ওয়ালশের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে, ২০০০ সালে ইংল্যান্ড সফরে তেমন কিছুই করতে পারেননি। কিং গোড়ালীর আঘাতে মাঠের বাইরে অবস্থান করতে বাধ্য হন।

১০ নম্বর অবস্থানে আদর্শমানের ছিলেন ও চারবছর তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন। ২০০৪-০৫ মৌসুমে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজ দেশে খেলার জন্যে তাকে পুনরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ পর্যায়ে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়গণ আর্থিক অসন্তুষ্টির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতায় আসতে পারেনি।

টেস্টের তুলনায় ওডিআইয়ে অধিকতর সফল ছিলেন। ২০০০ সালে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ স্থানে চলে আসেন। ২৩.৭৭ গড়ে ৭৭ উইকেট লাভ করেছিলেন তিনি। এ গড়টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল গার্নারের ১৮.৮৪, কলিন ক্রফটের ২০.৩৫ ও মাইকেল হোল্ডিংয়ের ২১.৩৬ গড়ের পর চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে। কিন্তু তার এ অবদানকে দল নির্বাচকমণ্ডলী স্বীকৃতি দেয়নি ও ২০০১ সালের পর তাকে মাত্র দুই খেলায় অংশগ্রহণ করায়।

টেস্টে ৫-উইকেট লাভ

[সম্পাদনা]
# পরিসংখ্যান খেলা প্রতিপক্ষ মাঠ শহর দেশ সাল
৫/৫১  জিম্বাবুয়ে সাবিনা পার্ক কিংস্টন জ্যামাইকা ২০০০

ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ

[সম্পাদনা]
ক্রমিক প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ অবদান ফলাফল
পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সেন্ট জর্জেস ১৬ এপ্রিল, ২০০০ ডিএনবি; ১০-০-৩৮-৩  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮৫ রানে বিজয়ী[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "1999-2000 Cable & Wireless One Day Series - 6th Match - West Indies v Pakistan - St. George's, Grenada"HowStat। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৬ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]