রিকি জারভেজ | |
---|---|
Ricky Gervais | |
জন্ম | রিকি ডিন জারভেজ ২৫ জুন ১৯৬১ রিডিং, বার্কশায়ার, ইংল্যান্ড |
মাতৃশিক্ষায়তন | ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন |
কর্মজীবন | ১৯৮২–বর্তমান |
সঙ্গী | জেন ফ্যালন (১৯৮২–বর্তমান) |
কৌতুকাভিনয় কর্মজীবন | |
মাধ্যম | |
ধরন | ব্ল্যাক কমেডি,[১] ক্রিঞ্জ কৌতুকাভিনয়,[১] পর্যবেক্ষণমূলক কৌতুকাভিনয়,[২] ব্যঙ্গ,[৩] অপমানধর্মী কৌতুকাভিনয়,[৪] সাঙ্গীতিক কৌতুকাভিনয়
|
ওয়েবসাইট | rickygervais |
রিকি ডিন জারভেজ (ইংরেজি: Ricky Dene Gervais - (/dʒərˈveɪz/; জন্ম ২৫ জুন ১৯৬১) হলেন একজন ইংরেজ স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা, লেখক, পরিচালক, প্রযোজক ও সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি ব্রিটিশ টেলিভিশন ধারাবাহিক দ্য অফিস (২০০১-২০০৩) রচনা ও এতে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক জনপ্রিয়।[৫] তিনি সাতটি বাফটা পুরস্কার, পাঁচটি ব্রিটিশ কমেডি পুরস্কার, দুটি এমি পুরস্কার, তিনটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও দুইবার রোজ দর অর্জন করেছেন এবং একটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন। তিনি ২০০৭ সালে চ্যানেল ফোরের ১০০ সেরা স্ট্যান্ড-আপস তালিকায় ১১তম স্থান[৬] এবং ২০১০ সালে এর হালনাগাদকৃত তালিকায় ৩য় স্থান অধিকার করেন।[৭] ২০১০ সালে টাইম তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[৮]
জারভেজ ১৯৯০-এর দশকের শেষভাগে স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি পাঁচটি বহুজাতিক স্ট্যান্ড-আপ সফর করেন এবং ফ্ল্যানিমেলস বই ধারাবাহিক রচনা করেন। জারভেজ, মার্চেন্ট এবং কার্ল পিলকিংটন দ্য রিকি জারভেজ শো নামে একটি পডক্যাস্ট তৈরি করেন। এর মাধ্যমে জারভেজ ও মার্চেন্টের প্রযোজনায় পিলকিংটনের অভিনয় সংবলিত বিভিন্ন স্পিন-অফ দেখা যায়। জারভেজ হলিউডের গোস্ট টাউন ও নাইট অ্যাট দ্য মিউজিয়াম ত্রয়ী, ফর ইউর কনসিডারেশন, ও মাপেটস মোস্ট ওয়ান্টেড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তিনি দি ইনভেনশন অব লাইং চলচ্চিত্র এবং নেটফ্লিক্সের স্পেশাল করেসপন্ডেন্টস রচনা, পরিচালনা ও এগুলোতে অভিনয় করেন। তিনি ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৬ ও ২০২০ সালে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার উপস্থাপনা করেন। জারভেজ গেম অনুষ্ঠান চাইল্ড সাপোর্ট-এও অভিনয় করেন। তিনি নেটফ্লিক্সের হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিক আফটার লাইফ-এর নির্দেশক, নির্বাহী প্রযোজক, পরিচালক ও লেখক এবং তিনি এতে টনি জনসন নামে এর প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন।
রিকি ডিন জারভেজ[৯] ১৯৬১ সালের ২৫শে জুন বার্কশায়ারের রিডিং-এর ব্যাটল হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন।[১০] তার পিতা লরেন্স রেমন্ড "জেরি" জারভেজ (১৯১৯-২০০২) একজন ফরাসি-কানাডীয়। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বৈদেশিক দায়িত্ব পালনকালে অন্টারিওর পেইন কোর্ট থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসিত হন এবং শ্রমিক ও চুবড়িবাহী হিসেবে কাজ করতেন।[১১] তার মাতা ইভা সোফিয়া (বিবাহপূর্ব হাউজ; ১৯২৫-২০০০) একজন ইংরেজ।[১২] তিনি ৭৪ বছর বয়সে ফুসফুসের ক্যান্সারের মারা যান।[১৩] রিকি রিডিং-এর উপশহর হুইটলিতে বেড়ে ওঠেন। তার দুই ভাই ল্যারি ও রবার্ট এবং এক বোন মার্শা।[১৪]