রিকি মার্টিন | |
---|---|
জন্ম | এনরিক মার্টিন মোরালেস Enrique Martín Morales ডিসেম্বর ২৪, ১৯৭১ সান জুয়ান, পুয়ের্তো রিকো |
নাগরিকত্ব |
|
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৮৪-বর্তমান |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | |
বাদ্যযন্ত্র | কণ্ঠসংগীত |
লেবেল | |
ওয়েবসাইট | rickymartinmusic |
এনরিক "রিকি" মার্টিন মোরালেস (ইংরেজি: Enrique "Ricky" Martín Morales; জন্ম ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১) হলেন একজন পুয়ের্তো রিকান-স্প্যানিশ[১][২] গায়ক, অভিনেতা ও লেখক। তিনি রিকি মার্টিন নামেই সমধিক পরিচিত। বারো বছর বয়সে মেনুডো নামে একটি পপ বয় ব্যান্ডে মার্টিন নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। পাঁচ বছর এই ব্যান্ডে থাকার পর ১৯৯০-এর দশকে তিনি স্প্যানিশ ভাষায় একাধিক একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এছাড়া মেক্সিকোর নাট্যমঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করে তিনি সেদেশের এক বিশিষ্ট তারকায় পরিণত হন। ১৯৯৪ সালে মার্টিন জেনারেল হসপিটাল নামে একটি আমেরিকান টেলিভিশন সোপ অপেরায় এক পুয়ের্তো রিকান গায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
স্প্যানিশ ভাষায় কয়েকটি অ্যালবাম প্রকাশের পর ১৯৯৯ সালের শেষ দিকে মার্টিন ৪১তম গ্র্যামি পুরস্কার অনুষ্ঠানে "দ্য কাপ অফ লাইফ" গানটি পরিবেশন করেন। এই গানটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংগীত জগতে লাতিন পপের প্রবেশপথকে সুগম করে দেয়।[৩] এই সাফল্যের পর মার্টিন "লিভিন' লা ভিডা লোকা" প্রকাশ করেন। এই গানটি সমগ্র বিশ্বে তাকে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জনে সাহায্য করে। সাধারণভাবে মনে করা হয়, এই গানটিই ১৯৯৯ সালে লাতিন পপের উত্তরণের সূচনা ঘটিয়েছিল এবং অন্যান্য স্প্যানিশ-ভাষী শিল্পীদের ইংরেজি-ভাষী বাজারে প্রবেশের পথ সুগম করে দিয়েছিল। প্রকাশের পর থেকে এই গানটির ৮০ লক্ষেরও বেশি কপি বিক্রি হয় এবং গানটি সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রীত একক সংগীতের অন্যতম গানে পরিণত হয়।[৪] তার প্রথম ইংরেজি অ্যালবামটির (যেটির অন্যতম শিরোনাম ছিল রিকি মার্টিন) ২ কোটি ২০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়। এটি সর্বকালের সর্বাধিক বিক্রীত অ্যালবামগুলির অন্যতম।[৫][৬][৭] তার অন্যান্য স্টুডিও অ্যালবামগুলি হল: মি অ্যামারাস (১৯৯৩), আ মেডিও ভিভির (১৯৯৫), ভুয়েলভে (১৯৯৮), সাউন্ড লোডেড (২০০০), অ্যালমাস ডেল সিলেনসিও (২০০৩), লাইফ (২০০৫), ম্যুজিকা + অ্যালমা + সেক্সো (২০১১) ও আ কুইয়েন কুইয়েরা এসকুচার (২০১৫)।
এক সময় মার্টিন বলেছিলেন তিনি মেক্সিকান টিভি ব্যক্তিত্ব রেবেকা ডি অ্যালবার সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েছেন। তার সাথে মার্টিনের প্রায় ১৪ বছরের ভাঙা-গড়ার সম্পর্ক বজায় ছিলো। এমনকী তারা বিয়ে করে একসাথে থাকারও পরিকল্পনা করেছিলেন।[৮][৯][১০] মার্টিন তাকে প্রস্তাব দেওয়ার কথাও ভাবছিলেন।[১১] যদিও লাইফ অ্যালবাম মুক্তি পাবার পর তাদের সম্পর্কের ভাঙন নির্দেশ করে মার্টিন উল্লেখ করেন যে, তারা দুজন দুপথের অনুসারী।[১২][১৩] ২০০৮ সালের আগস্ট মাসে মার্টিন একজোড়া জমজের বাবা হন। জমজদ্বয়ের নাম ছিলো মাত্তেও, এবং ভ্যালেন্টিনো।[১৪]
লিভিন লা ভিদা লোকা যুগে মার্টিনের সমকামিতা বিষয়ক সন্দেহের কারণে তার জীবন সম্পর্কে গণমাধ্যম খুব বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে। তার যৌন জীবন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন তৈরি হতে থাকে। ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে ডেইলি মিরর পত্রিকার এক সাক্ষাৎকারে মার্টিনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, “এসকল গুজব সম্পর্কে আপনি কী বলেন?” তিনি প্রতিউত্তরে বলেন, “এ বিষয়ে আমি খুব বেশি কিছু করতে পারি না, আমার মনে হয় সেসকল মানুষই এ ধরনের গুজব ছড়িয়েছে যারা কোনো সুস্থ জীবন-যাপন করে না, বা যেহেতু আমি তাদের মতো নই তাই হয়তো তাঁরা আমাকে তাদের মতো হওয়াতে চায়। আমি এ ধরনের বিষয়ে কোনো প্রকার মনোযোগ দেবার চেষ্টা করি না। বছর কয়েক ধরে আমি বিবাহিত, আমার বাচ্চা আছে, বা আমার ২৭ জন প্রেমিকাও আছে, এবং এরপরেও যদি তাঁরা আমাকে সমকামী বলা চালিয়ে যেতে থাকে, তবে তাঁরা বলবেই।”[১৫][১৬] প্লাস সেভেন ডেস ম্যাগাজিনের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মার্টিন বলেছিলেন, “আমি একজন আধুনিক ব্যক্তি, এবং আমি সম্পূর্ণ জীবন যাপন করি, এবং নিজের মধ্যে আমি কোনো বাধা অনুভব করি না। আমার বিশ্বাস বাইরের বিশ্বটা একটি খোলা ফোরামের মতো, যেখানে নিজের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ছাড়া সবকিছুই স্বীকার করা যায়। যদি আমি সমকামী হতাম, তবে কেনই বা আমি সেটা স্বীকার করবো না?... আমি একজন সাধারণ পুরুষ। আমি নারী ও যৌনতা দুটোই ভলোবাসি। আমি একজন রক্তগরম পুয়ের্টো রিকান, কিন্তু আমি কখনো একজন পুরুষের সাথে যৌনসম্পর্ক করার ব্যাপারে আকৃষ্ট হইনি।”[১৭]
২০১০ সালের ২৯ মার্চ, রিকি মার্টিন তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে তার সমকামী হবার বিষয়টি নিশ্চিত করে লেখেন, “আমি এটা বলে গর্ববোধ করছি যে, আমি সেইসকল সৌভাগ্যবান সমকামী ব্যক্তিদের একজন। এবং আমি যেমন আছি, সেজন্য আমি নিজেকে আশীর্বাদান্বিত অনুভব করি।”[১৮][১৯] মার্টিন আরো বলেন, “এই বছরগুলোতে এ সম্পর্কে আমার নীরবতা, এবং প্রতিক্রিয়া আমাকে আরো বেশি দৃঢ় করেছে, এবং মনে করিয়েছে যে, সত্য প্রকাশের মাধ্যমে আবেগকে জয় করার যে শক্তি আমার মধ্যে ভর করেছে, আমি কখনো জানতাম না যে, এরকম কিছুর অস্তিত্ব আছে।”[২০] ২০১০ সালেই, রিকি মার্টিনের সমকামিতার ব্যাপারটি স্বীকার করার পর মার্কিন সাংবাদিক বারবারা ওয়াল্টার বলেন যে, ২০০০ সালে মার্টিনের একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ই তিনি তাকে তার সমকামিতার ব্যাপারটি স্বীকার করার জন্য জোর করেছিলেন। টরেন্টো স্টার এ ব্যাপারে বারবারার ভাষ্য উল্লেখ করে লেখে, “যখন আমি এ ব্যাপারে প্রশ্ন করার কথা ভেবেছিলাম, তখন আমার মনে হয়েছিলো এটি কোনো যথাযথ প্রশ্ন নয়।”[২১][২২]
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)