Richard Ernst | |
---|---|
জন্ম | Richard Robert Ernst ১৪ আগস্ট ১৯৩৩ সুইজারল্যান্ড |
মৃত্যু | ৪ জুন ২০২১ | (বয়স ৮৭)
জাতীয়তা | Swiss |
মাতৃশিক্ষায়তন | ETH Zurich (PhD) |
পরিচিতির কারণ | Ernst angle Fourier transform NMR spectroscopy 2D NMR spectroscopy/Nuclear Overhauser effect spectroscopy/Exclusive correlation spectroscopy 3D NMR spectroscopy |
পুরস্কার |
|
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | |
অভিসন্দর্ভের শিরোনাম | Kernresonanz-Spektroskopie mit stochastischen Hochfrequenzfeldern (1962) |
ওয়েবসাইট | www |
রিচার্ড রবার্ট আর্নস্ট (১৪ আগস্ট ১৯৩৩ - ৪ জুন ২০২১) ছিলেন একজন সুইস নোবেল বিজয়ী ভৌত রসায়নবিদ। [২]
বহুমাত্রিক এনএমআর প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য ১৯৯১ সালে আর্নস্ট রসায়নে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। [৩][৪][৫]
রিচার্ড আর. আর্নস্ট ১৯৩৩ সালে সুইজারল্যান্ডের উইন্টারথুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে রসায়নে ডিপ্লোমা এবং ১৯৬২ সালে ইটিএইচ জুরিখ [৬] থেকে ভৌত রসায়নে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। [৭] তিনি ভৌত রসায়নে পারমাণবিক চৌম্বক প্রতিধ্বনি নিয়ে কাজ করেন।
আর্নস্ট ১৯৬৩ সালে একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ভ্যারিয়ান অ্যাসোসিয়েটস-এ যোগদান করেন। তিনি ১৯৬৮ সালে ইটিএইচ জুরিখে ফিরে আসেন এবং সেখানকার প্রভাষক হন। তিনি ১৯৭০ সালে সহকারী অধ্যাপক, ১৯৭২ সালে সহযোগী অধ্যাপক হন। ১৯৭২ সাল থেকে, রিচার্ড আর. আর্নস্ট ভৌত রসায়ন এর একজন অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্বপালন শুরু করেন।
তিনি দ্বিমাত্রিক এনএমআর এবং বেশ কিছু অভিনব পালস কৌশলকে বিকশিত করেন। তিনি আন্তঃআণবিক গতিশীলতা নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। তিনি ১৯৯৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন। বর্তমানে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং আবিষ্কারের পিছনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
আর্নস্ট ১৯৯৩ সালে এস্তোনিয়ান বিজ্ঞান একাডেমী, মার্কিন জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমী, রয়েল একাডেমী অফ সায়েন্সেস, লন্ডন, জার্মান ন্যাশনাল একাডেমী অফ সায়েন্সেস লিওপোলিনা, রাশিয়ান বিজ্ঞান একাডেমী, কোরিয়ান একাডেমী অফ সায়েন্স এর একজন রয়েল সোসাইটির (ফরমেআরএস) একজন বিদেশী সদস্য নির্বাচিত হন।
আর্নস্ট তাঁর কর্মজীবনে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পুরস্কার অর্জন করেন। যার মধ্যে সবচেয়ে সম্মানের পুরস্কারটি ছিল নোবেল পুরস্কার। তিনি ১৯৮৯ সালে জন জুয়া কির্কউড পদক লাভ করেন। ১৯৯১ সালে রিচার্ড আর. আর্নস্টকে রসায়নে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। আর্নস্টের মনোনয়নের পিছনে শক্তিশালী সমর্থক ছিলেন তার দীর্ঘদিনের ড্যানিশ সহকর্মী,যিনি ছিলেন নোবেল কমিটির একজন সদস্য।
তিনি মিউনিখের টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ইপিএফ লাউসানে, জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় এন্টওয়ারপেন, বাবস-বোলিয়াই বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মন্টপেলিয়ার থেকে ডক্টরেট সম্মাননা ডিগ্রী লাভ করেন। আর্নস্ট ওয়ার্ল্ড নলেজ ডায়ালগ সায়েন্টিফিক বোর্ডের সদস্য ছিলেন। আর্নস্ট ১৯৮৬ সালে মার্সেল বেনোইস্ট পুরস্কার, ১৯৯১ সালে রসায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য তাঁকে উলফ পুরস্কার এবং ১৯৯১ সালে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লুইজা গ্রোস হরউইটস পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ২০০০ সালে তাদেউস রেইখস্টাইন পদক এবং ২০০৪ সালে অর্ডার অফ দ্যা স্টার অফ রোমানিয়া পুরস্কার লাভ করেন।
২০০৯ সালের বেল এয়ার চলচ্চিত্র উৎসবে আর্নস্ট সায়েন্স প্লাস ধার্মা ইক্যুয়ালস সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি এর উপর একটি প্রামাণ্যচিত্রের ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার প্রদর্শিত হয়। প্রামাণ্যচিত্রটি কার্লো বার্টন দ্বারা প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছিল, সুইজারল্যান্ডে আর্নস্ট এর নিজ শহরেই অনুষ্ঠিত হয়।
রিচার্ড রবার্ট আর্নস্ট বেশ কয়েকটি গ্রন্থপঞ্জি রচনা করেন। তার মধ্যে কয়েকটির নাম নিম্নরূপ:
১.প্রিন্সিপলস অফ নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রিজনেন্স ইন ওয়ান এন্ড টু ডাইমেনসন্স, ক্লেয়ার ডন প্রেস, ১৯৮৭
২.রিচার্ড আর. আর্নস্ট: নোবেল প্রেইস্তেজার আউস উইন্টারথুর, হিয়ের এন্ড জেৎজট।
৩.আলোইস ফেউজি: রিচার্ড আর্নস্ট: Der Selbstzweifler, dem der Nobelpreis peinlich war. Summary of his autobiography. Neue Zürcher Zeitung, 21 May 2020. Retrieved