রিচার্ড গেভিন গার্ডিনার ক্যাসি, ব্যারন ক্যাসি কে.জি, জি.সি,এম.জি, সি.এইচ, ডি.এস.ও, এম.সি, কে.এসটি.জে, পি.সি, এফ.এ.এ(২৯শে আগস্ট ১৮৯০ – ১৭ই জুন ১৯৭৬) একজন অস্ট্রেলিয়ান রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক, যিনি ১৯৪৪ থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত বাংলার গভর্নর ও ঔপনিবেশিক শাসক ছিলেন এবং ৭ই মে ১৯৬৫ থেকে ৩০শে এপ্রিল ১০৬৯ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ১৬ তম গভর্নর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন.
ক্যাসি ব্রিসবেন, কুইন্সল্যান্ড জন্মগ্রহণ করেন, তখন তার নাম রিচার্ড গেভিন গার্ডিনার ক্যাসি ছিল, কিন্তু তিনি পরবর্তীতে "গেভিন" বাদ দেন। তার পিতার নাম রিচার্ড গার্ডিনার ক্যাসি একজন অনুরাগী ধনী ব্যক্তি এবং আইরিশ বংশদ্ভুত কুইন্সল্যান্ড আইনসভার সদস্য ছিলেন। তার মা, ইভলিন, অন্য আরেক ধনী অনুরাগী ব্যক্তি জর্জ হ্যারিসের কন্যা তিনিও কুইন্সল্যান্ড লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের সদস্যছিলেন। তার পিতা ১৮৯৩ সালে তার পরিবারকে মেলবোর্নে নিয়ে আসেন এবং একজন সমৃদ্ধ কোম্পানির পরিচালক নিযুক্ত হন।
ক্যাসি, স্টেট কিলডার কামলোডেন স্কুল এবং মেলবোর্ন গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। যদিও তিনি ট্রিনিটি কলেজে ১৯০৯ থেকে ১৯১০ পর্যন্ত আবাসিক ছাত্র ছিলেন তথাপি ইংল্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, সেখেনে তিনি ক্যামব্রিজ ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি হন। ক্যামব্রিজে ১৯১৩ সালে তিনি ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রী অর্জন করেন, তিনি ১৯১৮ সালে সম্মান দ্বিতীয় বিভাগে ম্যাকানিক্যেল সাইন্স ট্রাইপস এবং মাস্টার্স অব আর্টস ডিগ্রী লাভ করেন।[১]
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাদুরভাব দেখাদিলে, ক্যাসি ১৯১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান ইম্পেরিয়াল ফোর্সে লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন,[২] অর্ভিয়েটুর উদ্দেশ্যে প্রথম রণতরীর সদস্য হিসাবে এসএমএস এমডেনের কোকোস দ্বীপের জার্মান যুদ্ধবন্দীদের জাহাজ কলম্বো পৌঁছা পর্যন্ত তিনি দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন এবং গ্যালিপলিতে মেজর জেনারেল স্যার উইলিয়াম ব্রিজেসের দেহরক্ষী হিসেবে নিযুক্ত হন। ব্রিজেসের পাশে ক্যাসি দাঁড়িয়েছিলেন এমতাবস্তায় ব্রিজেস, স্নাইপার কর্তৃক গুলিবিদ্ধ্য হন (তিনদিন পর তিনি মারা যান)। ক্যাসির মূর্তি উদ্ধারের মাধ্যমে এক তুর্কি সৈন্য গ্যালিপলি যুদ্ধক্ষেত্রে গৌরব অর্জন করে ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ফ্রান্সে প্রেরিত হলেন, সেখানে তিনি অপারেশন পর্যবেক্ষণ ও তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে সামরিক ক্রস অর্জন করেন এবং ৮ম ব্রিজেস এর ব্রিজ মেজরে পদউন্নতি লাভ করেন। যুদ্ধক্ষেত্র এ পদ সমূহ বিপদসংকুল ছিল তাই তিনি ১৯১৮ সালে Distinguished Service Order এর গৌরভ অর্জন করেন। তিনি কমিশন থেকে ১৯১৯ সালে ইস্তেফা দেন এবং মেলবোর্নে অফিসার্স রিজার্ভ হিসাবে স্থানান্তরিত হন, পার্ট টাইম ইন্টেলিজেন্স অফিসার হয়ে কাজ করেন।
ক্যাসির পিতা ১৯১৯ সালে মারা যান এবং তার পিতার প্রকৌশল এবং খনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য যুদ্ধ শেষে তিনি মেলবোর্নে ফিরে আসেন। প্রধানমন্ত্রী স্ট্যানলি ব্রুস কর্তৃক ১৯২৪ সালে লন্ডনের রাজনৈতিক লিয়াজন অফিসার নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেই কাজের দায়িত্বে ছিলেন, জেমস স্কালিনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে ব্রুস এবং তার শ্রম উত্তরাধিকারী উভয় জন্য আভ্যন্তরীণ গোপনীয় প্রতিবেদন পাঠাতেন এবং ১৯৩১ সাল পর্যন্ত এই কাজে বাহাল থাকেন। তিনি ১৯২৬ সালে স্যার চার্লস স্নডগ্রাস রায়ান কন্যা ইথেন ম্যারিয়ন সামনার (মেইন) রায়ানের পরিণয় সুত্রে আবদ্ধ হন, তাদের দুই সন্তন ছিল।
ক্যাসি ১৯৩১ সালে অস্ট্রেলিয়া ফিরে আসেন এবং গিলং-এর কুরিও-আসনের সদস্য হিসাবে ইউনাইটেড অস্ট্রেলিয়া পার্টির(UAP)হাওজ অব রিপ্রেজেন্টটিটিভ নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রী জোসেফ লায়ন্স তাকে ১৯৩৩ সালে সহকারী মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করেন এবং ১৯৩৫ সালে তিনি কোষাধ্যক্ষ হন।[১]
রবার্ট মেঞ্জিজ ১৯৩৯ সালে প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি তাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে সরবরাহ ও উন্নয়নের অপেক্ষাকৃত কম গরুত্বপূর্ণ পদে সরিয়ে দেন। মেঞ্জিজ তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করার পর তিনি ১৯৪০ সালে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এটি যুদ্ধকালীন আশাপ্রদ প্রস্তাব ছিল কিন্তু তা ঘরোয়া রাজনীতি থেকে ক্যাসিকে চীরতরে সরিয়ে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র যখন যুদ্ধে জরিয়ে পড়ে তখন ক্যাসি উয়াসিংটন ডিসি- তে ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব স্থাপনের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এর ফলে তিনি পাবলিক রিলেশন কাউন্সিলর আর্ল নিউজমের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন।
ক্যাসি ১৯৪২ সালে ক্যারিওতে ফিরে আসেন, যখন উইনস্টন চার্চিল প্রধানমন্ত্রী জন কুড়টিনের বিরক্ত থেকে ও কিছু ব্রিটিশ বৈদেশিক দপ্তরকে ঝামেলা মুক্ত রাখার জন্য তাকে মধ্যপ্রাচ্যে তার মন্ত্রী নিযুক্ত করেন। ক্যাসি এ ব্যাপারে ব্রিটিশ ও মিত্রবাহিনীর সরকার এবং স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ ও মিত্রবাহিনীর কমান্ডারদের উভয়ের সাথে আলোচনার মাধ্যমে মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। মধ্যপ্রাচ্য অস্ত্র সমর্পণ করলে ১৯৪৪ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ভারতবর্ষে বাংলার গভর্নর নিযুক্ত করেন, উক্ত পদে তিনি ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত বহাল ছিলেন। ভারতীয় দেশপ্রেমিকগণ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্বে রাজনৈতিকভাবে ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা আদায়ের জন্য যে দাবি উত্থাপন করে তা মোকাবেলা করার জন্য তিনি আগের চেয়ে আরও বেশি সোচ্চার ছিলেন।
ক্যাসি ১৯৪৬ সালে আশা করে অস্ট্রেলিয়া ফিরেছিলেন যে ১৯৪৬ সালে নির্বাচনে তিনি সংসদীয় নেতা নির্বাচিত হবেন এবং নুতন ভাবে লিবারেল পার্টি থেকে নির্বাচন করবেন, যেভাবে ১৯৪৪ সালে মেঞ্জিজ অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে কনজারভেটিভ পার্টির পুনর্ঘটনের মাধ্যমে উঠে এসেছিলেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন থেকে বিরত থাকার জন্য ব্রিটিশ আভিজ্যাত্যের অনুরুধকে তিনি নাকচ করেন। যাহোক, তিনি ততক্ষনে নির্বাচনী আসনের বাছাইপর্বে অনেক দেরী করে ফেলেছেন। তাকে ১৯৪৭ সালে লিবারেল পার্টির ফেডারেল প্রেসিডেন্ট হতে রাজি করানো হয় এবং আংশিকভাবে অতীতের সামাজিক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগের পথিকৃৎ হিসাবে কার্যকর তহবিল সংগ্রাহক প্রমাণিত হন। যদিও মেঞ্জিজ, ক্যাসিকে একজন প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই দেখছেন এবং ক্যাসি ও নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিজেকে ভাবছে, এতএব তারা একটি কার্যকর অংশীদারত্ব গঠন করলেন।
লিবারেল পার্টি ১৯৪৯ সালে জয়ী হয় এবং মেলবোর্নের বাইরে লা-থ্রবে আসন লাভ করে লোকসভায় ফিরে আসেন। মেঞ্জিজ তাকে সরবরাহ ও উন্নয়ন মন্ত্রী এবং শ্রম ও আবাসন মন্ত্রী নিযুক্ত করেন। হাওয়ারড বিয়েলের নিকট থেকে কাঁচামাল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এরিক হেরিসনের যুদ্ধ পরবর্তী বিনিরমান প্রকল্প বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং এরই মধ্যদিয়ে তিনি ১৯৫০ সালে জাতীয় উন্নয়ন মন্ত্রী হন। In 1951, when the Minister for External Affairs, Percy Spender (another Menzies rival), was dispatched to the Washington embassy, Casey succeeded him. Casey held the External Affairs post during the height of the Cold War, the Suez Crisis, the Vietnam War and other major world events. He formed close relations with Anthony Eden, John Foster Dulles and other leaders. Casey was also Minister in charge of the Commonwealth Scientific and Industrial Research Organisation (CSIRO) from March 1950, and he was committed to its success.
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; adb
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি